আমার দৈনন্দিন কাজের মাঝে একটি ভালোলাগার (ভালো কাজ) যা সবার ই করা উচিত। ||10% Beneficiary To @shy-fox ||
হ্যালো,আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে খুব ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালোই আছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার দৈনন্দিন একটি কাজ শেয়ার করছি।এই কাজটি আমি রোজ ই করি আর গর্বের সাথেই বলি যে আমি আমার সারাদিনে একটি হলেও ভালো কাজ করি!
আর কাজটি হলো, " বারান্দায় প্রতিদিন আকাশে উড়ন্ত অগণিত পাখির জন্য খাবার রেখে দেওয়া ! "
হয়তো এখন অনেকেই বলবেন,' আরে এটা কোনো কাজ হইলো!হুমহহ,কি এমন কাজ করতেছে যে এইটা নিয়া আবার লেখালিখি ও করা লাগবে! '
ব্যাক্তিগত কিছু মতামত
আমি বলবো সত্যিই এটি একটি ভালো কাজের মধ্যেই পরে।কারণ এইযে একটু চিন্তা করে দেখুন, আমাদের চারপাশে প্রতিদিন কত পাখি উড়ে যায়।অনেক সময় হয়তো খেয়াল করে থাকবেন যে কোনো কোনো পাখি খুব জোরে উড়ে এসে আপনার আমার বারান্দায় বিশ্রাম নিচ্ছে।কিন্তু মানুষ দেখলেই পরক্ষণেই আবার খুব দ্রুতই উড়ে চলেও যায়।কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি এই কাজটা তারা কেনো করে?
তারা উড়ে চলে যায় কারণ তারা মানুষ ভয় পায়! মানুষ কি হিংস্র প্রাণী?তা না হলে কেনো ওরা ভয় পায়?
ভয় পাওয়াটাও কি একদম সাধারণ বা স্বাভাবিক নয়?চিন্তা করলে উত্তর আসবে - একদম ই স্বাভাবিক।
এইযে আমার ঘরের কথাই বলি, একদিন আমি ঘুম থেকে উঠতেই আমার ছোট ভাই বলে উঠলো, " আপু আপু।এইযে দেখো বারান্দা থেকে একটা পাখি ধরছি।এটা আমরা পালবো।" আমি সাথে সাথেই ওকে বকা দিয়ে পাখিটাকে ছেড়ে দিলাম।কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি অনেকেই ঘরের ছোট সহস্যদের মন রক্ষা করতে এরকম কাজকে হামেশাই সায় দিয়ে থাকে।আর এভাবেই ছোট বাচ্চাদের মাথায় আমরা ঢুকিয়ে দিই যে, এটা কোনো খারাপ কাজের মধ্যে পড়েনা।এটা একদম স্বাভাবিক, এভাবে পাখি ধরাই যায়!
আমি কি করি,
ধাপ ১ঃ
এইযে বারান্দার গ্রিলের সাথে আমি একটি কাঠের টুকরো বসিয়েছি আর তার এক পাশে আমি একটা আমার বাসায় পরে থাকা ফিরনির মাটির পাত্র রশির সাহায্যে গ্রিলের সাথে বেঁধে দিয়েছি।যাতে পাখি এসে পাত্রগুলোতে ঠোকরা ঠুকরি করলে বা পাশে এসে বসলে যেনো পড়ে না যায়।
ধাপ ২ঃ
একই ভাবে আমি পাশাপাশি দুইটা পাত্র বেঁধে দিয়েছি।কারণ আমাদের চারপাশে সবসময় যে পাখিগুলো উড়ো উড়ি করে তাদের প্রায় বেশির ভাগই হয় ক্ষুধার্ত থাকে আর না হয় জল তেষ্টায় থাকে।কিন্তু তারা কোথাও খাওয়া পায়না আর খাওয়া পেলেও তা নির্ভয়ে খেতে পারেনা কারণ ওইযে মানুষের ভয়! কিংবা কোনো প্রানীর।
ধাপ ৩ঃ
এরপর আমি পাত্র গুলো ভর্তি করে দিয়েছি। একটি পাত্রে চাউল দিয়েছি ।আসলে আমি বিশেষ একটা জানিনা যে পাখিরা কি খায় বা না খায়।তবে মোটামোটি জানি যে বেশিরভাগ পাখিই শস্য দানা ধরণের খাবার খায়।তাই ই এই চাউল দেওয়া।
ধাপ ৪ঃ
আর অন্য পাত্রটিতে পানি ও দিয়ে দিয়েছি কারণ গরমে পাখিরা কোথায় আর পানি পায়।আর শহরাঞ্চলে আজকাল দিন দিন পানির পরিমান কমে গিয়ে খাল,বিল,নালা,পুকুর সবটাই প্রায় শুকোনোর পথে । তাই কিছু পানি দিয়েছি।
আমি এই কাজটি কেনো করি?
আমার কাজটি করার কারণ একদম ই সামান্য।আর তা হলো, আমরা রোজ খাবার খাই। তাই না?
তাহলে তাদের কি খাবারের দরকার নেই? অবশ্যই আছে।কিন্তু তারা আমাদের মতো উন্নত মস্তিষ্কের নয় যে চাইলেই খাবার পেয়ে যাবে বা খুজে নিবে বা বানিয়ে নিবে।তারা বেশিরভাগ সময় আমাদের উচ্ছিষ্টের উপর ই নির্ভর করে থাকে। গ্রামে পশু পাখিদের খাবারের অভাব তেমন হয়না কিন্তু আমরা যারা শহরে থাকি তারা জানি ব্যাপারটা এখানটায় একদম ভিন্ন চিত্র। আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে, আমার এই খাবারের পাত্রগুলো প্রতিদিন ই ভর্তি করে দিতে হয়, অনেক সময় দুই থেকে তিনবার ও খাবার দি।কারণ প্রতিদিন অনেক পাখিই আসে।আর পাখির মধ্যে বেশিরভাগ থাকে, কবুতর,কাক,চড়ুই পাখি,ময়না পাখি ইত্যাদি।
সবার উদ্দেশ্যে বলছি,
এই কাজটি সবাই অবশ্যই করার চেষ্টা করবেন।তাহলে আমাদের কারণে অনেক অবলা প্রানী খেয়ে বেঁচে থাকবে।
আমার আজকের এই পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার এক মাত্র কারণ হলো সবাইকে এই কাজে অনুপ্রাণিত করা।এতুটুকুই, আর কিছুই না।আশা করি সবাই পোস্টটি পড়েছেন এবং আপনাদের ভালো ও লেগেছে।নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না।
ভালোবাসা নিবেন❤️
ইতি,
নূসুরা নূর।
পাখিদের প্রতি এমন প্রেম দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ। আপনার এই কাজকে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।জীবের প্রতি এমন দয়া থাকাটা আমাদের সকলের জন্য জরুরি।অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
শুভেচ্ছা রইল
@sabbirrr
আসলে জীবে দয়া করাটাই উচিত।আমরা সারাজীবন বা প্রতি মূহুর্তেই খারাপ কাজ করে যাচ্ছি।তার মাঝে একটু ভালো কিছু করার চেষ্টা মাত্র 😇
আপনাকেও ধন্যবাদ।
বাহ্, দারুন উদ্যোগ তো। বিষয়টি সত্যিই খুব ভালো লাগলো।
হ্যা, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে বিষয়টার সাথে আমার সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই। তবে আজ শেয়ার করলাম এই আরকি।
বাহ আপু অসাধারণ কাজ। আপনাকে সেলুট। বুঝাই যাচ্ছে আপনি একজন পশুপাখি প্রেমিক। আসলে আমরা মানুষ কত নিচে নেমে গেছি যে অন্য কোনো প্রাণী আমাদের উপর ভরসা করে না।😢😢। অনেক ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ এতোটা সম্মান দেওয়ার জন্য। 😍
হ্যা পশু পাখি প্রেমী তবে আশেপাশে কম যাই এদের।যথেষ্ট ভয় পায় আসলে এরা মানুষকে।
😔😔😔
আপনি যে কাজটি করেছেন সেটি অনেক মানবিক ঠিক আছে পাখিদের প্রতি আপনার এই ভালোবাসা দেখে আপনার প্রতি ভেতর থেকে শ্রদ্ধা জেগে উঠেছে।আমাদের সকলের উচিত এরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আজকাল আমরা মানুষ কে ওগুরুত্ব দেই না কিন্তু আপনি পাখিদের জন্য এরকম একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা সত্যিই প্রশংশা পাওয়ার যোগ্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।হ্যা এজন্যই তো শেয়ার করা যাতে এটা দেখে কেও অন্তত শিখুক।আসলেই সবার এটা করা উচিত কারণ একদম সামান্য একটা কাজ এটা।আর নিজের মধ্যে এতুটুকু মানবিকতা রাখা উচিত বলে আমি বলে করি।
আপনাকেও ধন্যবাদ এতো সুন্দর ভাবে প্রশংসা করার জন্য। 😍😍
এই কাজের জন্য আপনি সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
একদম অন্তরের গহীন থেকে ধন্যবাদ ভাইয়া।🥰
খুবই ধারুন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন আপনি।
হ্যা ভাইয়া,অনেক ধন্যবাদ। ❤️