২০২৩ কে স্বাগতম এবং জন্মদিনের মূহুর্ত।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।আসলে বলার জন্যেই বলা ভালো আছি!

নতুন বছরে আশা করি সকলের দিনটি ভালোই কেটেছে এবং দিনটি যেমন ভালো কেটেছে তেমন যেন সারাটি বছর খুব সুন্দর ভাবে সকলের কাটে। সেই দোয়া করি এবং সেই আশা রেখেই আজকের লেখা শুরু করছি অর্থাৎ এই বছরের প্রথম পোস্ট বলাই যায়।

নতুন বছরের নতুন উদ্দীপনায় আশা করি সকলে বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন। সময়টা যদিও গতকাল রাতে আমি খুব একটা উপভোগ করতে পারিনি। তার কারণ হলো এতো বেশি বাজির শব্দ আসলে খুব বিরক্ত লাগে।তখন আসলে শুধু ভাবছিলাম যে,যে হার্টের রোগীগুলো রয়েছে কিংবা যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা হয়। আর যাদের কথা না বললেই না, তারা হলো রাস্তার পশু পাখিগুলো। আর কি করে আসলে অনেক অনেক পশু মারা যায় এই দিনটাতে। তাই কারো উদযাপনে কারো ক্ষতি হয় এই ধরনের উদযাপন না করাই ভালো। অন্তত কোনো উদযাপন অন্য কাউকে কষ্ট দিয়ে কখনোই হতে পারে না।

যাইহোক আসলে আমাদের যদি সকলে চিন্তা ভাবনা গুলো ধীরে ধীরে চেঞ্জ হয়। তবেই কিছু একটা আশা করা সম্ভব। অর্থাৎ তাহলে আশা করা যায় যে আমাদের সমাজ বদলাবে তা না হলে কখনোই সম্ভব না।

গতকাল আমার জন্মদিন ছিলো, তা আপনারা সকলেই জানেন। যদিও খুব একটা কিছুই করিনি। কারণ জীবনের থেকে একটা একটা করে দিন কি করে চলে যাচ্ছে তা টেরই পাচ্ছিনা।

তো ফ্রেন্ডরা চেয়েছিলো অনেক আয়োজন করতে। তবে আমি মানা করেছিলাম। তার কারণ হলো আসলে আমার সাথে তো আমি আমার ছোট ভাইবোনদের নিয়ে যেতে পারি না এই দিনটায় বাইরে। আমার বাবা খুব বেশি অপছন্দ করে জন্মদিন বিষয়টাকে। কারণ আমার বাবা খুবই ইসলামিক মাইন্ডের একজন মানুষ।তাই বাবা একেবারেই জন্মদিন উদযাপন পছন্দ করে।আর ওদের ছাড়া প্রতিবছর এভাবে কেক কাটতে আমারও ভালো লাগে না। সে কারণেই এবার ফ্রেন্ডদের মানা করে দিয়েছিলাম।

তো বললাম এমনিতেই যাবো অর্থাৎ দেখা করবো ফ্রেন্ডের সাথে, খাওয়া-দাওয়া করবো এরপর বাড়িতে চলে আসবো। যে ভাবা সেই কাজ। চলে গেলাম ইন্ডিয়ান হান্ডিতে, এই জায়গার খাবারটা আমার খুবই মজা লাগে।

গিয়ে বসে বেশ কিছুক্ষণ ইন্টেরিয়র এর ছবি তুললাম কারণ ইন্টেরিয়রের ছবি গুলা খুব সুন্দর হয়। কারণ তারা ইন্টেরিয়রটা এতো সুন্দর করে সাঁজায় তা জাস্ট বলার বাইরে।

তো ইন্টেরিয়র এর ছবি বেশ কিছু তুলেছিলাম। তবে অনেক বেশি মানুষ ছিলো। তাই খুব একটা তুলতে পারিনি মন মতো,কোনো রকমে ক্যাপচার করা আর কি।

এরপরে খাবার অর্ডার দিলাম। কারণ বেশ ক্ষিদা পেয়েছিলো, আমি সকাল থেকেই তখন কিছু খাইনি। তখন শুধু একটা ফ্রেন্ড ই এসেছিলো। কারণ অন্যান্যরা দুপুরে বাসায় লাঞ্চ করবে বলেছিলো এরপর দেখা করতে আসবে,সে জন্যই শুধু আমরা দুজন লাঞ্চ করতে গিয়েছিলাম।

আমরা অর্ডার দিয়েছিলাম দুইটি প্লেটার। আমার প্লেটার এ ছিল চিকেন রোস্ট, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি, প্রণ মাসালা।

আর আমার ফ্রেন্ড নিয়ে ছিলো হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি মাটন আর চিকেন মাসালার প্লেটারটি।সেই সাথে দুটো প্লেটেই ছিল দুইটা করে গোলাপ জামুন। যদিও আমি মিষ্টি খাই নি।কারণ আমার মিষ্টি পছন্দ নয়। আর সে সাথে অর্ডার করেছিলাম দুটি কোক এর কেন।

এরপরে খাওয়া দাওয়া করে বিল মিটিয়ে নিলাম। কারণ আমাদের আবার অন্যান্য ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা করার প্রোগ্রাম ছিলো তো আমরা সেখানে চলে গেলাম।

এরপর গেলাম সেগাফ্রেডোতে।ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা করলাম।অনেক ছবিও তুলেছি, অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম।

এরপর Latte Macchiato H অর্ডার করলাম।এই কফিটা আমার ভালোই লাগে।তবে সাথে যে বিস্কিট দেয় তা আমি কখনোই খাই না।কেনো জানি মজা লাগে না।

সেগাফ্রেডো রেস্টুরেন্টটা আমার খুবই পছন্দের।কারণ খাবার গুলো মজা,ফ্রেশ আর ইন্টেরিয়রটা সুন্দর।

এরপর তো ফ্রেন্ডদের এতো এতো গিফট রয়েছেই!যদিও গিফট ব্যাপারটা দারুণ উপভোগ করি আমি।

কে কি দিয়েছে তা জানিনা,তবে অনেক গুলো গিফট দিয়েছিলো।

আর এই কেকটা আমার অসম্ভব পছন্দের।বাসার পিচ্চিরাও খুব পছন্দ করে এই কেকটা।

এইতো এভাবেই দিনটা কেটেছিলো সেদিন।আর যা না বললেই না তা হলো দাদা,ব্ল্যাক্স ভাই,স্বাগতা আপু।সকল এডমিন,মডারেটর গণের উইশ তো ছিলোই সে সাথে এবিবি এর কয়েকজন আপু এতো সুন্দর করে উইশ করেছিলো যে আমার জাস্ট অসম্ভব ভালো লেগেছিলো।কারণ,এই মনে রাখা,এই ভালোবাসা গুলো পৃথিবীর সব চাইতে দামী জিনিস আমার কাছে।এতোগুলো মানুষের ভালোবাসার মানুষ হতে পারাটা কি আর এতো সোজা!সব ই এই কমিউনিটির অবদান।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।