শিশুপার্কের কিছু মূহুর্ত, পর্ব - ১

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

গতকালকের পোস্টে আপনারা দেখিয়েছিলাম যে আমি নুয়াইরাকে পার্লারে নিয়ে গিয়েছিলাম। তো তাকে আসলে শর্ত দিয়েই বের হয়েছিলাম যে তাকে আমরা শিশু পার্কে নিয়ে যাবো। তো তাকে যেহেতু শর্ত দিয়েছি। সেহেতু শর্ত যদি না রাখি। তাহলে তো আমার খবর আছে। তাই পার্লার থেকে চলে গিয়েছিলাম শিশু পার্কে।

শিশু পার্ক টি আমাদের বাসার কাছেই। যাই হোক শিশু পার্কে যাওয়ার পরে আমাদের তিনজনের জন্য টিকিট নিলাম। তিনজন বলতে আমি, নুয়াইরা আর আমার এক কাজিন বড় আপুকে নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ নুয়াইরাকে ঘরের বাইরে একা সামলানো আমার জন্য কিছুটা টাফ।

প্রথমে গিয়েই আমি প্রায় ৫-৬ টার মত টিকেট কেটে নিলাম। কারণ আমি জানি নুয়াইরা যেহেতু শিশু পার্কে ঢুকেছে। সেহেতু মোটামুটি সব রাইডগুলোতে চড়ে এর পরে বাসায় যাবে। প্রথমেই সে উঠেছিলো ছোট বাচ্চাদের একটা ছোট ট্রেনে, যা দেখতে বেশ কিউট ছিলো।

প্রথমে যখন ট্রেন চলা শুরু করেছে। তখন সে কিছুটা ভয় পাচ্ছিলো। কারণ যেহেতু ট্রেনটি গোল গোল করে ঘুরছিলো। কিন্তু পরে আমি তার সাথে কথা বলছিলাম। তো এরপর ইজি হওয়ার পরে সে বেশ মজা করেছে।

এ পরে বলল যে সে হাঁস এর পিঠে চড়বে। মানে এটা পানির মধ্যেই হাঁসগুলো রাউন্ড ভাবে ঘুরতে থাকে এবং তার মাঝে বসার জায়গা রয়েছে। আসলে শিশু পার্কে তো সব বাচ্চাদের জন্যই থাকবে। যাইহোক বাচ্চার সাথে একজন উঠা এলাও ছিলো।যেহেতু বাচ্চা একা উঠতে পারবে না। আর আমি যেহেতু ছোটবেলা থেকেই শিশু পার্কটিতে আসছি। তাই আমি আর উঠলাম না। আমার ওই বড় আপুটাকেই বললাম নুয়াইরাকে নিয়ে উঠার জন্য।

যেহেতু পানির রাইড তাই আসলে নুয়াইরা প্রথমে কিছুটা ভয় পাচ্ছিলো পানি দেখে। কারণ সে পানি একটু বেশ ভালোই ভয় পায়। কিন্তু আমি তাকে কিছুক্ষণ কথা বলে ইজি করার পরে সেখানেও সে বেশ ইনজয় করেছে। আপনারা এই ছবিটি দেখে তা আশা করি বুঝতেই পারছেন যে সে কতোটা মজা করছিলো।

মজা করার একমাত্র কারণ হলো। সে আসলে ভাবছিলো যে হাঁসগুলো নিজে নিজেই চলছে এবং সে সত্যিকার হাঁসের পিঠে বসে আছে। আসলে বাচ্চাদের চিন্তা ভাবনা গুলো যেমনটা হয় আর কি।

এই শিশু পার্কটিতে আসলে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। কারণ খুব ছোটবেলা থেকেই শিশু পার্কটিতে আমার আশা যাওয়া।তাই এই পার্কে র একেবারে নাড়ী-নক্ষত্র আমার নখ দর্পণে থাকে।

তো বেশ অনেকক্ষণই সেই হাঁসের পিঠে চড়লো। এরপর তো আর অন্যান্য রাইড। অন্যান্য রাইডের ছবিগুলো আমি নেক্সট পর্বে শেয়ার করবো। আসলে এক পোস্ট এ অনেক বেশি ছবি হয়ে গেলে ছবি শেয়ার করতেও কিছুটা সমস্যা হয়।আশা করছি আপনাদের ভালোই লেগেছে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।