১ম ব্যবহার আমার শিক্ষা,পরের ব্যবহার আপনার অর্জন।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যাক।কারণ আজকেও যথারীতি বেশ ব্যস্ততার মধ্যে আছি। কারণটা পরপর দুইটা পরীক্ষা রয়েছে। আর তার আগে আমি বেশ কয়েকটা বন্ধ পেয়েছি। কিন্তু মজার কথা হলো, মজার কথা নয় অর্থাৎ দুঃখের কথা হলো আমি কোনো বন্ধে কোনো কিছুই পড়িনি। পরীক্ষার আগের দিনই পড়তে বসবো।

যাইহোক সেদিন আসলে বসে বসে ফেসবুকে স্ক্রল করছিলাম। তো ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে একটা লেখা আমার চোখে সামনে পরলো। যেটা আপনার আমার টাইটেলেই দেখতে পাচ্ছেন। তো লেখাটা চোখে পড়ার সাথে সাথে লেখাটার কি বিষয়বস্তু তা আমি ঠিক বুঝতে পারিনি।

পরে লেখাটা সম্পূর্ণ পড়লাম। তো পড়ে লেখাটা আমার বেশ ভালই লেগেছিলো। তাই ভাবলাম লেখাটা সম্পর্কে আপনাদের সাথেও কিছু আমার মনের কথা শেয়ার করা যাক। অর্থাৎ আমরা মানুষের সাথে প্রথমেই যে ব্যবহারটা করি সেটা হয় আমাদের পারিবারিক শিক্ষা কিংবা ব্যক্তিগত শিক্ষা। অর্থাৎ আমরা কোনো মানুষের সাথে প্রথমে যে ভালো ব্যবহারটা করি কিংবা সেটা হতে পারে কাজের ক্ষেত্রে বা এমনিতেই।

কিন্তু যখন দেখবেন যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে অপরপক্ষ যখন আপনাকে সম্মান দিচ্ছে না। তখন আপনি আপনার পারিবারিক শিক্ষাটা বেশ কিছুদিন ধরেই হয়তো অব্যাহত রাখবেন। কিন্তু একটা পর্যায়ে আসলে সেই শিক্ষাটা আপনি আর ধরে রাখতে পারবেন না। ব্যাপারটা এমন নয় যে আপনার শিক্ষায় কমতি আছে। ব্যাপারটা এমন যে আপনার বিপরীত পক্ষ আপনার কাছ থেকে ঠিক কোনো শিক্ষাটা নিতে চাইছে। কিংবা বিপরীত পক্ষ কোনো ব্যবহারটা নিতে চাইছে।

ধরুন কোনো ব্যাপারে একটা মানুষ অর্থাৎ আপনার বিপরীত মানুষরা সব সময় আপনাকে কটু কথা বলছে। সব সময় ১০ জনের সামনে আপনাকে অসম্মান করার চেষ্টা করছে। যে কোনো না যে কোনো কাজেই আপনাকে বিরক্ত করছে। কিংবা যে কোনো ক্ষেত্রে যেকোনো ভাবেই আপনাকে একটা সূক্ষ্ম অসম্মান করার চেষ্টা করছে। যেটা হয়তো আপনি সহ আশেপাশের সবাই বুঝতে পারছেন।

তো সেই ক্ষেত্রে দেখবেন যখন ব্যাপারটা দীর্ঘদিন হয়ে যাবে। তখন আপনি আসলে চাইলেও আর সম্মান দিয়ে কথা বলতে পারবেন না। তার কারণ হলো, প্রথমে আপনি তাকে যে সম্মান দিয়ে কথা বলেছেন, সম্বোধন করেছেন। সেই সম্বোধনটা ছিলো আপনার পারিবারিক শিক্ষা এবং পরবর্তীতে যখন সে সম্মানের সম্বোধন আপনি করতে পারবেন না। তখন তা হবে তার অর্জন। কারণ সে সেই ব্যবহারটা আপনার কাছ থেকে অর্জন করে নিয়েছে।

এজন্যই আমার কাছে মনে হয় সমস্যা যতোই থাকুক না কেনো নিজেদের মধ্যে, ব্যবহার কিংবা ভাষাটা কখনোই নোংরা করা উচিত নয়। কারণ আপনি যদি একবার নিজের ভাষা খারাপ করে ফেলেন। তাহলে দেখবেন আপনার সম্মান অনেকখানি কমে গিয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে কিংবা যে কোনো পরিবারে সমস্যা হতেই পারে। কোনো পরিবারই কিন্তু সমস্যা ছাড়া নয়। কিন্তু সেখানে যদি ভাষাগত সমস্যা এবং ব্যবহারগত সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে দেখবেন সেই পরিবারের যে মানুষটা এভাবে অন্য মানুষকে খারাপ ভাবে কথা বলে, তার সম্মানটা কিন্তু অনেকটাই কমে যায়। এবং সে প্রতি পদে পদে বিপদে পরে,অসম্মানে পরে।

সবমিলিয়ে ওই লেখাটা আমার কাছে ভালোই লেগেছে। সত্যি বলতে এটা একেবারেই সত্যি কথা যে, আমাদের প্রথম যে ব্যবহারটা থাকে সেটা হচ্ছে আমাদের শিক্ষা। আর আমরা ওই মানুষের সাথে পরবর্তীতে যে ব্যবহারটা করি সেটা সে নিজেই অর্জন করে নেয়।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।