নতুন মেহমান

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে একটি ইন্টারেস্টিং জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যাক আসলে দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুই মোটামুটি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করা হয়তো সে ব্যাপার থেকে এই ভাবনাটা এলো যাই হোক বেশি কথা না বাড়িয়ে কি প্রবলেম কিংবা কি ব্যাপার তা ই শেয়ার করি।

কয়েকদিন আগে অর্থাৎ হিসাব করলে দুই কি তিন দিন আগে আমাদের বাসার নিচে কিছু সাউন্ড পাওয়া যাচ্ছিলো বিড়ালের কান্নার। অর্থাৎ ছোট বিড়ালের বাচ্চা কান্না করলে তো একেবারেই মানুষের বাচ্চার কান্নার মতোব লাগে। তো তেমনটাই সাউন্ড পাওয়া যাচ্ছিলো। অর্থাৎ বুঝতে পারছিলাম যে, কোনো বিড়ালের বাচ্চা কান্না করছে। তো সাধারন ভাবেই আমরা ভেবেছিলাম কোনো বিড়ালের বাচ্চা অর্থাৎ কোনো বিড়াল মা তার কোনো বাচ্চা নিয়ে এসেছে কিংবা কোনো বিড়াল মা ও বাচ্চা রয়েছে বাসার নিচে।

কিন্তু ভুলটা বেশ অনেকক্ষণ পর ভাঙ্গলো যখন আমার ছোট ভাইয়ের হাতে একেবারে কালো কুচকুচে ছোট একটা বিড়ালের বাচ্চা দেখতে পেলাম। কারণ আম্মু তো দেখেই আৎকে উঠেছে। কারণ আমার আম্মু বিড়াল খুব বেশি ভয় পায়। এর কারণটা আসলে জানা নেই। কিন্তু আম্মুর পায়ের কাছে বিড়াল আসলেও আম্মু চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলে। যাই হোক, এর পরে তো বকা দিয়ে বিড়ালটি আবার নিচে রেখে আসতে বলা হলো। কিন্তু তার সে কি কান্না। অর্থাৎ মরণ কান্না যাকে বলে।

তাকে তো কোনোভাবেই কান্না থামানো যায় না। এর পর আর না পেরে আব্বু তাকে দিলো বকা। কিন্তু তাও তার কান্না থামেনা। যাইহোক এভাবে একটা দিন পার হয়ে গেলো, সে কিছু খায় না! শুধু কান্নায় করছে অর্থাৎ মোটামুটি বাসার সব মানুষের মাথা সে খারাপ করে রেখেছে। তো এর পরের দিন সে স্কুলে গিয়েছে। তখন আমার বাবা নিচে থেকে বিড়ালটা নিয়ে আসলো। কারণ সেখানে শুধু বাচ্চাগুলোই ছিলো, মা ছিলো না। হয়তো কেউ বিড়ালের বাচ্চাগুলো নিচে রেখে গিয়েছে । তো আসলে বেশিদিন সেখানে থাকলে হয়তো বা কোনো কুকুর খেয়ে ও ফেলতো।

এরপর আমার ছোট ভাই সায়েম স্কুল থেকে বাসায় ফিরে তো মহা খুশি। কারণ তাকে বিড়াল এনে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুশকিল অন্য জায়গায়! আমরা কেউই জানি না, বিড়ালকে কি খাওয়াতে হয়। কিন্তু কিভাবে কি করতে হয় অর্থাৎ বিড়াল সম্পর্কে ধারণা খুব কম রয়েছে। তাও আমি আমার এক ফ্রেন্ড থেকে জিজ্ঞেস করে করে যা মোটামুটি খাওয়া-দাওয়া দিচ্ছি।

আমার ছোটবেলায় এসব সম্পর্কে খুব বেশি ইন্টারেস্ট ছিলো।কিন্তু যত বড় হয়েছি তত ইন্টারেস্ট কমে গেছে। যেহেতু শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তাই সেই সব থেকে একটু দূরেই থাকি। কিন্তু ওই যে বলে না মানুষ, মায়া খুব খারাপ জিনিস। তাই দূরে থেকে আর পারলাম না। তো গতকাল রাতে একটা বালিশ বানিয়ে দিলাম। তো এরপরে দেখলাম সে বেশ আরামে ঘুমাচ্ছে। আমি ছবি দিয়ে দিচ্ছি ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন যে বেশ আরামেই আছে।

যাইহোক এই হলো আমাদের ঘরের নতুন সদস্য। যার জন্য সবার চিন্তা কিভাবে খাওয়াতে হয়, না খাওয়াতে হয় এসব। আসলে আমরা একটু কম ই বুঝি এসব,তাও চেষ্টা করছি। তাকে এখন মোটামুটি মাছ সেদ্ধ করে পেস্ট করে খাওয়ানো হচ্ছে।

এখন মোটামুটি বলতে গেলে ভালোই আছে মনে হয়। তবে যদি কারো কোনো টিপস থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। যেহেতু বিড়াল পালাতে মোটেও কোনো দক্ষতা নেই আমার।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।