বাচ্চাদের হাতে ডিভাইসটাই যেনো সর্বসঙ্গী

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি। আর সে সাথে বর্তমানে আমার এক্সাম চলছে।সে যাই হোক,এসব তো চলতেই থাকবে।

আমি যদি আজকের লেখাটার উদাহরণ নিজের ঘর থেকেই শুরু করি, তাহলে হয়তো ব্যাপারটি মন্দ হয় না।যেমন,আমি যদি আমার ছোটবেলায় কথা বলি।অর্থাৎ আমার বয়স যখন ২ কিংবা ৩ বছর ছিলো।তখন আসলে আমাদের বাসায় টেলিফোন ছিলো মাত্র ১ টি।তাও ছিলো একটি TNT অর্থাৎ লেন্ড ফোন।তো সে ফোনের মাধ্যমে সবাই যোগাযোগ করতো।

আর তখন কিন্তু আমরা সে ফোনটা ছুঁয়ে দেখার চিন্তাও করতাম না।আর তাও টুকটাক গেমস খেললে তা খেলতাম বড় আপু বা ভাইয়াদের কম্পিউটার, তাও কালে ভাদ্রে।

তাই ছোটবেলায় সারাক্ষণ ফোন নিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটিও মোটেও মাথায় আসেনি বা ঘটেও নি।আর তখন দারুণ সব বন্ধু ও ছিলো জীবনে অর্থাৎ খেলার সাথী।পড়া,খাওয়া-দাওয়ার পর তাদের সাথেই খেলাধুলা করে দিন পার হয়ে যেতো কোনদিকে তার টের ই পেতাম না।এক কথায় বলা যায়,জীবনটা বেশ একটিভ ছিলো।

কিন্তু আজকালকার আমার বাড়ির অবস্থা যদি বলি।তবে আমার ছোট ভাই বোন গুলো সারাক্ষণ পারলে ফোন নিয়েই বসে থাকে।আমার মনে হয় মোটামুটি সব বাড়ির অবস্থা ই প্রায় একই।যেমন,আমার ছোটবোন খাওয়ার সময় মোবাইল বাদে একটা ভাত ও মুখে দেবে না।সেইম অবস্থা আমার ভাই গুলোর ই।এমন কি ভাইগুলো আম্মুকে পাহারা দেয় যেনো আম্মুর অনুপস্থিতিতে ফোন চালাতে পারে।

মোটামুটি বলতে গেলে বাচ্চারা আজকাল অসম্ভব রকম ভাবে ফোন এডিকটেড হয়ে পরছে, যার ভবিষ্যৎ মোটেও ভালো নয়।কারণ তারা আজকাল কোনো খেলাধুলা করে না।এমনকি বাইরে যেতেও বিশেষ ইন্টারেস্ট আমি দেখিনা।শুধুমাত্র ঘরের কোণে বসে ফোন চালাতে পারলেই তাদের কাজ শেষ।মোটামুটি আর কোনো কিছুতেই তাদের কোনো ইচ্ছে নেই।শুধু ডিভাইসটাই তাদের সর্বস্ব। এ অবস্থাটা বর্তমান এ আমাদের কতোটা ভোগাবে আমি শুধু তা ই ভাবি।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।