বিকেলের মূহুর্তের কিছু ফটোগ্রাফী(ব্রিজ,রেললাইন,প্রকৃতি,ভাস্কর্য)

---

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

---

---

---

ফটোগ্রাফি করতে কে না ভালোবাসে। আমিও ফটোগ্রাফী করতে অনেক ভালোবাসি। তবে আমি ফটোগ্রাফী খুব একটা ভাল পারি কিনা জানিনা, তবে ট্রাই করছি একটু ছবি তোলার।আমি আপনাদের সাথে অনেক সময় আমার তোলা অনেক ফটোগ্রাফী শেয়ার করি। তো আজকে ও ঠিক অন্য দিনের মতোই আপনাদের সাথে আমার কিছু ফটোগ্রাফী শেয়ার করবো।আর ছবিগুলোর পিছনের গল্প গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো অর্থাৎ ছবিগুলো তুলেছি তার পেছনে কি কি কারণ রয়েছে সেসব।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক,

---

---

রেল লাইনের উপরের ব্রিজ

---

---

সেদিন বিকেলের দিকে প্রাইভেট শেষ করার পরে দুই বান্ধবী বললো চল একটি জায়গায় ঘুরতে যাবো।তাই আমিও রাজি হয়ে গেলাম। এরপর আমরা আস্তে আস্তে হাঁটতে শুরু করলাম। একজন বলল খুব কাছেই হেঁটেই চলে যাওয়া যাবে। সেই অনুযায়ী আমরা হাঁটতে শুরু করলাম। তবে মাঝপথে এসে দুজন বলল যে জায়গাটি তারাও চিনে না! শুধু নাম শুনেছে এবং একটু একটু হয়তো চিনে। আমি বললাম না যাওয়ার কথা। কিন্তু তারা কোনোভাবেই রাজি হয়নি। তো আমরা হাঁটতে হাঁটতে এই ব্রিজের উপরে চলে এলাম, রেল লাইনের উপরে ক্রসিং।বিকেলের দিকে আমাদের ক্লাস শেষ হয়েছিল, তা তো দেখতেই পাচ্ছেন সূর্যটি প্রায় হেলে পরেছে।

---

---

ট্রেন আসছে

---

---

এই ট্রেনটি এর সামনের স্টেশনে থামবে। আমরা যেখানে এখন দাঁড়িয়ে আছি এই ব্রিজের এইখানেতও একটি স্টেশন আছে। সামনে আরো একটি স্টেশন আছে। এই ট্রেনটিতে আমি বেশ কয়েকবার চড়েছি।আর হঠাৎ হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম ট্রেনটি আসছে। সেই কারণেই একটু ফটোগ্রাফী করলাম একটু।

---

---

রেল লাইনে রেল ছুটে আসছে

---

---

আমরা ট্রেনটি আসতে দেখে একটু দাঁড়ালাম ব্রিজে। কারণ একটু বিকেলের দিকে রেল লাইনটি দেখতে কি সুন্দর লাগছিল তা হয়তো আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সে কারণেই আমি আপনাদের সাথে ছবিটি শেয়ার করছি। এতো এতো গাছপালার মাঝে দিয়ে ট্রেন আসছে।এতো সুন্দর রেললাইন সবমিলিয়ে দারুন লাগছিলো দেখতে। পরিবেশ ও একটু একটু ঠাণ্ডা ছিলো। সে কারণে আমরা পরিবেশটা আরো বেশি ইনজয় করছিলাম।

---

---

রেল লাইনের পাশের ঘর

---

---

যখন আমরা ব্রিজে দাঁড়িয়ে ট্রেনটিকে আসতে দেখছিলাম।
হঠাৎ করে একটু পাশেই চোখ পরতেই দেখলাম একটি টিনের ঘর রয়েছে। ঘরটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে ঘরটা করেছে বেশিদিন হচ্ছে না। আর আমরা আন্তাজে এটাই ধরে নিলাম যে এটি তৈরি করা হয়েছে রেলের কোনো কাজের জন্য, বা স্টেশনের কোনো মানুষদের জন্যই। যারা এসব সবকিছু দেখাশোনা করে। কারণ এর আগের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন সেখানে অনেকগুলো লোহা তারপর আরও বিভিন্ন কিছু রয়েছে। হয়তো কাজের জন্য ঘরটা তৈরি করা হয়েছিলো।তবে একেবারে গাছপালার ভিতরে হওয়াতে দেখে মনে হচ্ছিল এটি কোনো বাগানবাড়ি।

---

---

ব্রিজের পাশের বিশাল কিছু গাছ

---

---

ব্রিজ থেকে একটু পাশে করে সামনের দিকে তাকালেই দেখা যায় অনেক বড় বড় গাছ রয়েছে। যে গাছগুলো আমরা ব্রীজে দাঁড়িয়েও মনে হচ্ছিল আরও অনেক উঁচুতে।তাহলে বুঝতেই পারছেন নিচ থেকে কতটা উঁচু। আসলে গাছগুলো গাছ গুলো দেখে আমার যা মনে হলো তা হচ্ছে গাছগুলো বেশ পুরনো আর গাছগুলো এতো সুন্দর দেখতে লাগছে কি আর বলবো! আসলে বিকেলের দিকে পরিবেশ টা আরো বেশি সুন্দর হয়ে যায়। আমার কাছে এটা মনে হয় আমি একেবারে নিজ থেকে বললাম।

---

---

ব্রিজের সৌন্দর্যতা

---

---

ব্রিজ সব সময় আমার পছন্দের। আর এই ব্রিজটি তো আরো বেশি ভালো লাগছে দেখতে। কারণ দুইপাশের লোহার রেলিং, মাঝ দিয়ে কাঠের তক্তা এবং সামনের হচ্ছে গাছপালার সৌন্দর্য। সব মিলিয়ে এই ছবিটা দেখে নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে যে ছবিটি আমি কোথাও ঘুরতে গিয়ে তুলেছি। কিন্তু হ্যাঁ ঘুরতে গিয়েছি, তবে সেরকম কোনো বিশেষ জায়গাতে যায়নি। একেবারেই শহরের মাঝে একটি সাধারন ব্রিজেই ছবিটি অপরূপ লাগছে।

---

---

একটু ভয়ংকর গলি

---

---

এই ভয়ঙ্কর গলিটি দেখতে একটু ভয় লাগছিলো। আশাকরি আপনারা সেটি বুঝতে পারছেন। আসলে আমরা তো চিনতাম না জায়গাটি। সেই কারণে মানুষের বলা পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। তখন আমাদের সামনে এই রাস্তাটি পরলো। এই রাস্তাটি দেখতেও সুন্দর লাগছিলো। আবার সামনে যেতে আমরা একটু ইতস্তত বোধ করছিলাম। কারণ আমরা তিনটা মেয়ে সাথে, তেমন কোনো বড় কেউ ছিলনা। জায়গাটিও খুব নিশ্চুপ ছিলো। তবে যত যাই হোক না কেন এই ভয়ঙ্কর রাস্তাটি আমার কাছে কিন্তু খুব সুন্দর লেগেছে।

---

---

হঠাৎ পরিচিত রাস্তা

---

---

সামনের দিকে হাঁটতে হাঁটতেই হঠাৎ এই গাছটি চোখে পরলো। এই গাছটি চোখে পরতেই মনে পরলো এই জায়গাতে আমরা এর আগেও একবার এসেছিলাম। আপনাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করেছিলাম যে হারিয়ে গিয়ে একটি সুন্দর জায়গা খুঁজে পেয়েছি। তা থেকে একটু দূরে এই রাস্তাটি।তবে এই রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। সেই কারণে এবার একটু স্বস্তি পেলাম যে কোনো পরিচিত জায়গা দিয়ে হাঁটছি।

---

---

প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দারের ভাস্কর্য

---

---

এই ছবিটি হলো একটি রাস্তার মোড়ের ভাস্কর্য, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের একটি ভাস্কর্য। অনেকেই হয়তো জানেনা যে এই প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কে ছিলেন। তিনি একজন বাঙালি ছিলেন। আর তিনি ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। প্রথম বিপ্লবী শহীদ তিনি ছিলেন। এই বিপ্লবীর ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে এই সুন্দর রাস্তায়।

---

---

ডিভাইস	আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স
লোকেশন	What's 3 Word Location
ছবি	নূসুরা নূর

---

---

সমাপ্তি

---

---

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।

---

---

আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||