খালামণির শ্বশুরবাড়িতে,পর্ব - ৩

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

গত পোস্টে শেয়ার করেছিলাম আমার খালামনির শ্বশুরবাড়ির কিছু বাগানের ফটোগ্রাফি। যাইহোক, তো বাগান থেকে ঘুরে আমরা আরো একটু রেস্ট করছিলাম। সকাল মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম, খেলছিলাম। অর্থাৎ অনেক মাস পরে কিংবা অনেক বছর পরে সব খালামনি, মামা, কাজিনরা মিলে একসাথে হলে যা হয় আর কি।

এরপরে হঠাৎ করে ঠিক করলাম যে আমরা একটু নদীর পাড়ে ঘুরতে যাবো।নদীরটির নাম আমার ঠিক মনে নেই।

তাই আমরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। এরপরে মূলত হলো আসল মুশকিল। আমরা দুই গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলাম এখন আমার গাড়িতে আসলে যারা ছিলো তারা সকলেই হলো শহরের। অর্থাৎ সেখানকার লোকাল কেউ আমার গাড়িতে ছিলো না। আর সেটা আমরা আসলে বসার সময় খেয়াল করিনি।

এরপরে তো আমরা মোটামুটি আনন্দ করতে করতে, দুষ্টামি করতে করতে, ফটোগ্রাফি করতে করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে একটা রাস্তার মাঝে এসে ড্রাইভার বলে যে সামনে আর গাড়ি যাবে না। কারণ রাস্তাটি খুবই সরু। কারণ ছবিগুলোতে দেখতেই পাচ্ছেন যে আমরা ধান ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিলাম।

তো ড্রাইভার আমাদের এটাও জানালো যে, নদীর পাড়টি খুব একটা দূরে নয়, তাই আমরা হেঁটেই চলে যেতে পারবো। আমরাও সে কথা শুনে হুরমুর করে নেমে হাঁটা শুরু করলাম আর কোনো কিছু না ভেবেই।

মূল বিপত্তিটা এখানেই বাঁধল। অর্থাৎ অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পরে আমরা বুঝলাম যে আমরা আর পথ চিনতে পারছি না। কারণ ওই যে বললাম, রাস্তা আমরা কেউই চিনি না। এরপরে খালামণিকে ফোন করলাম। খালামণি তো অনেক বকাঝকা করা শুরু করলো। যে কেনো ওনাকে না জানিয়ে আমরা গাড়ি থেকে নেমেছি।

যাইহোক, এরপর প্রায় এক ঘন্টা পরে ওনারা আমাদেরকে খুঁজে পায়।অর্থাৎ উনারাও নদীর পাড়েই ছিলো। তবে আরও অনেক দূরে ছিলো। হাঁটতে হাঁটতে এদিকে চলে এসেছে, আমাদেরকে খুঁজতে খুঁজতে।

যাইহোক এরপরে সকলে মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম, মজা করছিলাম। সেই সাথে একটু ফটোগ্রাফি করার ও চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সেই চেষ্টা একেবারেই বৃথা। তার কারণ এই ছবিটা দেখেই আশা করি বুঝতে পারছেন। অর্থাৎ কোনো ছবি তুলতে বসলেই ছোট বাচ্চারা আশপাশ দিয়ে দুষ্টামি করছিলো।

যাইহোক, বেশ অনেকক্ষণ পরে যখন একেবারে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছিলো। তখন আমরা আবার বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম এবং এরপরে আবার রাতেই গাড়িতে করে বাসায় চলে এসেছিলাম। সেদিনের মতো দিনটি শেষ হলো এবং অনেক বেশি আনন্দ করেছিলাম। আসলে গ্রামে সচরাচর যাওয়া হয় না। সে কারণে কখনো কখনো যেতে পারলে খুব ভালো লাগে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।