হিংসাত্মক মনোভাব আমাদের আর বদলালোনা।

^{ক্যানভা দিয়ে তৈরি}

আজকে কিছুক্ষণ আগে একটা নিউজ দেখছিলাম। সাধারণত আমি টিভির সামনে বসে নিউজ দেখার সময় একেবারে পাই না বললেই চলে। তবে মোবাইলে টুকটাক নিউজ দেখার ট্রাই প্রায় সব সময় করি। তার কারণ দেশে কি হচ্ছে না হচ্ছে তা একজন নাগরিক হিসেবে যদি আমাদের সকলের জানা না থাকে। তাহলে মনে হয় না বিষয়টি খুব সুখকর কিংবা ভালো হবে। তার কারণ আমি যে দেশে থাকছি কিংবা আমার যে মাতৃভূমি। সেখানকার প্রতিটি খবর, প্রতিটি না হোক বেশিরভাগ খবর আমাদের জেনে রাখা উচিত। আমাদের নিজের দেশের কি অবস্থা তা যদি আমরা নিজেরাই না জানি। তাহলে অন্যরা কী জানবে। অর্থাৎ নিজেদের খবর যদি আমরা নিজেরাই না রাখি। তবে অন্যরা আমাদের খবর রাখবে তা আশা করাটাও ভুল।

আজকে আমি যেই নিউজটি দেখছিলাম। সেটা হলো হাওয়া যে সিনেমাটি রিলিজ করা হয়েছে কয়েকদিন আগে। সেটি কতোটা জনপ্রিয় হয়েছে তা আমরা, আপনারা সকলেই জানেন। কারণ চঞ্চল চৌধুরী মানে দারুণ কিছু। আর চঞ্চল চৌধুরীর এই হাওয়া মুভিটি এতোটাই হিট হয়েছে, যে প্রতিটি হলেই আগের থেকে তারা এ নোটিস দিয়ে দিচ্ছে যে আগামী কয়েকদিন হল খালি থাকবে না। তার কারণ এতো বেশি উপচে পরা ভিড় রয়েছে। বাংলাদেশের সচরাচর হল গুলো যেগুলো আগে খুব জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলো, সেগুলো আজকাল প্রায় অনেকগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পথে। যেমন চট্টগ্রামের আলমাস থিয়েটার যেটা ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্রের এতো খারাপ অবস্থার মাঝেও বাংলাদেশ হলমুখী মানুষগুলো অবশ্যই চলচ্চিত্রে একটি অবদান রাখছে। কিন্তু তাতেই একদল দিচ্ছে বিগড়া!!

হাওয়া মুভিতে একটি সিন ছিলো। যেখানে দেখিয়েছিলো চঞ্চল চৌধুরী তার পোষা পাখি কে পুড়িয়ে খেয়েছে অর্থাৎ পাখির মাংস খেয়েছে। বনবিভাগ তা নিয়ে বেশকিছু টাকার মামলা করেছে হাওয়া সিনেমাটির উপরে। তার কারণ এতে নাকি প্রাণীর সুরক্ষা হয়নি। এটার কোনো মানে আছে বলে আমার মনে হয় না। অর্থাৎ একটা পাখি নিয়ে এতো টাকার মামলা দেওয়ার চেয়ে তাদের আগে উচিত আমাদের দেশে যেসব বন উজাড় করে ফেলছে কিংবা পাহাড় কেটে দালানকোঠা শহর করছে। সেসব নির্মূল করা কিংবা যে জায়গা গুলোতে বড় বড় গাছ কেটে ঘর করা হচ্ছে কিংবা আরও নানা কিছু করা হচ্ছে সেই দিকে নজর দেওয়া।
কিন্তু তারা তা না করে কেনো চলচ্চিত্রের একটা দিক খুব বেশি জনপ্রিয়তা পেলো। তার পিছনে পরে রয়েছে। এখন চলচ্চিত্র সবকিছুই যদি এভাবে নিয়মের মধ্যে হতে থাকে। তাহলে তাতে টুইস্ট কিংবা কোনো কিছুই থাকবে না। কারণ একটা পাখির মাংস তারা খেয়েছে ভালো কথা। কিন্তু এই যে এতো এতো পোষা পাখি ঢাকা বা বিভিন্ন জায়গাতে পোষা পশু পাখি বিক্রি করা হয় সেই দোকান গুলো কিভাবে রয়েছে?
সেখানে আমাদের এই বনবিভাগ কিংবা প্রাণীবিভাগ সহ ইত্যাদি এতো বেশি সক্রিয় ভাবে কাজ করছে না কেনো?

এসবের পিছনে আসলে হিংসা ছাড়া আর কিছুই দেখি না অর্থাৎ তাদের কাছে এমন হয়ে গিয়েছে যে বড় বড় সমস্যা ছেড়ে, তারা একেবারে চুনোপুটি ধরনের সমস্যার পিছনে লেগেছে।

যতোদিন হিংসাত্মক মনোভাব যাবেনা ততোদিন কোনোভাবেই একটা জাতির উন্নতি সম্ভব না।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||