আইসক্রিম পার্লারে ব্রাউনি খেতে

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

সেদিন আমি আপনাদের ব্রাঞ্চে চিকেন খিচুড়ি খাবার কথা বলেছিলাম। অর্থাৎ সেই খিচুড়ির একটা রিভিউ পোস্ট আপনাদের সকলের সামনে তুলে ধরেছিলাম। এবং পোষ্টের শেষে এটাও বলেছিলাম যে আমি এরপরে অন্য একটি জায়গায় গিয়েছিলাম। তা অন্য কোনো পোস্টে শেয়ার করবো। তাই জন্যই ভাবলাম আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক।

তা মূলত আমি এরপরে গিয়েছিলাম একটি আইসক্রিম পার্লারে। তার কারণ এতো গরম বাইরে কি আর বলবো! আসলে মাঝেমধ্যে ভাবি এতো গরমে রাস্তায় যে মানুষগুলো কাজ করে তারা কি করে কাজ করে।

এই ধরনের চিন্তা গুলো মাথায় আসলে, আসলে খুব খারাপ লাগে। যাই হোক তাহলে চলুন আজকের আইসক্রিম পার্লারে যাওয়ার অনুভূতি টি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করে নি। প্রথমেই ঢুকে বসার সাথে সাথেই ওয়েটার এসে আমার সামনে মেনুটি দিয়ে গেল। তাই আমি মেনু দেখে ব্রাউনি আইসক্রিম অর্ডার দেওয়ার জন্যে সিলেক্ট করলাম।

অর্ডার দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ বসলাম সেই ফাঁকে তাড়াতাড়ি করে কিছু আশেপাশের ছবি তুলে নিলাম। পরিবেশটি সুন্দর আর চেয়ার-টেবিল গুলো দেখতে একেবারে আকর্ষণীয়। কারণ মনে হচ্ছিল দেখে যে কাঠ দিয়ে বানিয়েছিলো। আসলেই কাঠ দিয়েই বানিয়েছিলো, তবে চেয়ার এবং টেবিলের ডিজাইনগুলোও গাছের গুড়ির মত করে করেছিলো। সে কারণেই দেখতে খুব ভালো লাগছিলো। আর আইসক্রিম পার্লার যেহেতু বেশ ঠাণ্ডা ছিলো ভেতরে, একেবারে প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছিলো।

এর একটু পরেই ব্রাউনি টি এনে দেওয়া হল। জাস্ট একবার দেখেন আপনারা! দেখতেই লোভনীয় লাগছে। আমার তো দেখামাত্রই তর সইছিল না। তবে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্যই। তার উপরে তাড়াতাড়ি ছবি তুলতে হচ্ছিলো।কারণ আইসক্রিম তো বুঝতেই পারছেন। আইসক্রিম তো তাই জলদি গলে যাচ্ছিলো।

তারপরেও কয়েকটা ছবি তুলে ফেললাম। কারণ তাড়াতাড়ি ছবি তুলে আবার খেতেও ইচ্ছে হচ্ছিলো সে কারণেই তাড়াতাড়ি ছবি তোলা। বুঝতেই পারছেন সামনেই এত মজার আইসক্রিম আর ব্রাউনি।তার উপরে ব্রাউনি অনেক বেশি পছন্দ।

এরপরে এক চামচ মুখে নিতেই যেন একেবারে স্বর্গে হারিয়ে গেলাম। কারণ কি পরিমান গরম পরছে তা তো সকলেই জানেন। আর তার মাঝে যদি আইসক্রিম আর ব্রাউনি হয়ে যায় তাহলে আর কি লাগে বলুন? সে কারণেই ঝটপট খাবার খেয়ে নিলাম।

এর পরে নিজের কয়েকটা ছবি তুললাম। আসলে দিনের বেলা হওয়াতে রেস্টুরেন্ট এর ভিতর খুব বেশি লাইটিং ছিলনা। সে কারণেই ছবিগুলো খুব একটা ক্লিয়ার আসে নি।

আর এর পরেই বাড়ি চলে আসলাম বিল মিটিয়ে।কারণ বেশ অনেকক্ষণ বাইরে ঘোরাঘুরি করছিলাম গরমের মধ্যে। সে কারণেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আমার কাজগুলো করতে বসলাম।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।