ব্যস্ততাময় দিনের গল্প || ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ইং
ডিভাইসঃ realme C11
লোকেশনঃ https://w3w.co/slotted.inward.quartered
সাদা কালো আলোকচিত্র
আজ ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ইং
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা আমার কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালো আছি ৷ তবে দুদিন ধরে একটু বেশিই ভালো আছি ৷ ভালো থাকার বেশ কিছু কারণ আছে ৷ যেগুলো আজ কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
আসলে দুদিন ধরে একটু ঠান্ডা কম মনে হচ্ছে ৷ দুপুর বেলা সূর্যের আলো বেশ ভালোই থাকছে ৷ যার কারণে অনেকটা ঠান্ডা কম লাগছে ৷ কিছুদিন আগে যা অবস্থা ছিলো , তার থেকে কিছু টা কমেছে আর কি ৷ তবে শীত এখনো ভালোই আছে ৷ ঠান্ডা কিছুটা কম হওয়াতে বেশ ভালোই লাগছে আমার৷ আসলে অতিরিক্ত ঠান্ডা আমার মোটেও পছন্দের নাহ ৷ খুবই বিরক্তি লাগে সারা বেলা প্রচুর ঠান্ডা থাকলে ৷ ঠান্ডা কিছুটা কম হওয়াতে বেশ ভালোই লাগছে আমার ৷
ঠান্ডা কম হওয়াতে দিন গুলো কিছুটা উপভোগ করা যাচ্ছে ৷ নয়তো কম্বলের নিচে থেকে বের হওয়ার ইচ্ছে-ই করে নাহ ৷ এরপর চলছে পৌষ পার্বণ শীতকালীন পিঠা খাওয়ার উৎব ৷ চারদিকে এখন শুধু পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে ৷ সবার ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে নানার রকমের মজার মজার পিঠা ৷ অনেকেই নিমন্ত্রণ করছে পিঠা খাওয়ার জন্য ৷ যদিও আমি তেমন ঘোরাঘুরি করি নাহ ৷ তবে কিছু বাড়িতে না গেলে হচ্ছেই নাহ ৷ ঠান্ডা কম হওয়াতে একটু ঘোরাঘুরি ও হচ্ছে সাথে পিঠা খাওয়াও হচ্ছে ৷ প্রচুর ঠান্ডা থাকলে এই সময় গুলো উপভোগ করা যেতো না ৷ যাই হোক সব মিলিয়ে দুটা দিন আমার ভালোই কাটছে ৷
এখন আসি আজকের পর্বে ৷ আজকেও মূলত একটি সুন্দর দিন অতিবাহিত করলাম ৷ আমার সাধারণত প্রতিদিনের রুটিন একই ৷ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে উঠতে দুপুর হয়ে যায় ৷ যাই হোক বেলা করে ঘুম থেকে উঠে নিজের হালকা পাতলা কাজ শেষ করতে করতেই দুপুর হয়ে যায় ৷ এরপর দুপুরেও কিছুটা চাপ ছিলো পরিবাবের কাজে মূলত পিঠা উৎসবের জন্য ৷ এরপর বিকাল বেলা একটু বের হয়েছি ঘোরাঘুরি করার জন্য ৷ ঘোরাঘুরি বলতে একজনের সাথে একটু দেখা করতেই বের হয়েছি ৷ মূলত ও আমার ছোট বেলার বন্ধু অন্য দিকে ভাগ্নে ৷ ছোট বেলায় এক সাথেই ছিলাম এক সাথেই প্রাথমিক স্কুল জীবন কাটিয়েছি আপাতত ও এখন দূরে থাকে পড়ালেখার জন্য আমিও আলাদা ৷ যাই হোক , ও সাথে বহুদিন পর একটু দেখা আর ঘোরাঘুরি করার উদ্দেশ্য নিয়েই বের হয়েছি ৷
দুপুরে শেষে বাসা থেকে বের হয়েছি ঠান্ডাও কম ছিলো যার জন্য ভালোই লাগছে চারপাশের আবহাওয়া ৷ যাই হোক ও সাথে দেখা করতে গেলাম ৷ ও বাসা মূলত করতোয়া নদীর ও পারে আর আমার বাসা নদীর এ পাড়ে ৷ পার্থক্য বারো কিংবা তোরো কিলোমিটার হবে ৷ বাজারে দেখা হবার পর দুজনে একটু ঘোরাঘুরির জন্য বের হলাম ৷ তেমন কথাও যাই নি বাজারের আশে পাশে একটু ঘোরাঘুরির পর , করতোয়া ব্রীজে কিছু সময় পার করলাম এরপর নদীর চরে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম ৷ বেশ ভালোই সময় কাটলো ৷ এরপর বাজারে হালকা পাতলা খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিকাল বেলা আমরা যার যার নীড়ে ফিরে গেলাম ৷ সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর ও আনন্দময় কিছু সময় অতিবাহিত করলাম আজকের বিকালে ৷
এরপর সন্ধ্যায় সম্পূর্ণ ফ্রি হওয়ার কথা ছিলো ৷ হঠাৎ আবারও ব্যস্ত হয়ে গেলাম ৷ রাতের ঠান্ডা বাতাসের মাঝে যেতে হলো এক আত্মীয়ের বাড়িতে যদিও যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো নাহ ৷ তবে যেতেই হবে এমন একটা অবস্থা ৷ সেখানে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ফিরতে ফিরতে দশটার কাছাকাছি বেজে গেলো ৷ বাইকে একা একা রাস্তায় বাড়ি ফেরা আর ঠান্ডা বাতাস কুয়াশায় আমার অবস্থা তেনা তেনা হয়ে গেল ৷ এরপর নীড়ে এসেই কম্বলের নিচে ব্লগ লেখা শুরু করলাম ৷ যদিও আমি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি তবে মাঝে মাঝে ভুলেই যাই ফটোগ্রাফি করার কথা ৷ আজও তেমন কয়েকটা ছবি তুলেছি মাত্র ৷ আমার একটা বদ অভ্যাস আছে আবার , যেকোনো ছবি তোলার পর ভালোভাবে এডিট না করে কথাও দেই নাহ ৷ (আসলে ক্যামেরা ভালো না তাই হিহি) ৷ যাই হোক , আমি সাধারণত প্রতিদিন সন্ধ্যায় পোস্ট করি ৷ তবে আজ একটু বেশিই দেরি হওয়াতে ছবি গুলো সাদা কালো ভাবে এডিট করে তারাতারি দিয়েই দিলাম ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া অতিরিক্ত ঠান্ডা একদম ভালো লাগেনা। কয়েকদিন যে পরিমাণ ঠান্ডা ছিলো আর কিছুদিন যদি একইরকম অবস্থা থাকতো তাহলে জনজীবনে দুর্ভোগের শেষ থাকতো না বিশেষ করে যারা রাস্তায় রাত কাটায়। ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় দুদিন হলো অনেকটাই ঠান্ডা কম তাই এই আবহাওয়া টা অনেক ভালো লাগছে। ছোটবেলার বন্ধু আবার ভাগ্নের সাথে অনেক দিন পর দেখা করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন দুজন মিলে। রাতের বেলা আত্মীয়র বাড়িতে খেতে গিয়ে ঠান্ডায় বেশ ভালোই অবস্থা খারাপ হয়েছিলো আপনার।
দীর্ঘদিন পর আপনজনকে কাছে পাওয়ার অনুভূতিটা যেন অন্যরকম হয়ে থাকে। যাই হোক ঘোরাফেরার পরে হালকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো পাশাপাশি আরও ভালো লাগলো আপনাদের নিকটে করতোয়া নদী আছে যেনে। আমাদের এখানে কোন নদী নাই তবে একটি খাল রয়েছে যেটা নাকি নদীর অংশ। যেখানে কোন পানি থাকে না। ঠান্ডার সময় ঘুরতে যেতে মন চায় কিন্তু ঘোরা হয়না। আমি মনে হয় কোনদিন নদীর চরে যাইনি। তাই এই ইচ্ছে জাগলো মনে আপনাদের কাহিনীটা পড়ার পর।
আপনি ঠিকই বলেছেন অতিরিক্ত ঠান্ডা ভালো না। আমার কাছেও বেশ বিরক্তিকর লাগে অতিরিক্ত ঠান্ডা। আপনার ছোটবেলার বন্ধু আবার ভাগ্নে তার সাথে তো দেখছি বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। তার সাথে খাওয়া-দাওয়া করলেন মনে হয়। আমি তো যেখানে যাই ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি এই ব্যাপারে আমি কখনো ভুলি না। আপনি তো ভুলে গিয়েও কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলেন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তের পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।