নাটক রিভিউ || বাবুই পাখির বাসা
হ্যালো বন্ধুরা , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালোই আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে , আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ আসলে নিজের একটু ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য নিয়মিত ব্লগ লেখা হচ্ছে নাহ ৷ সময়টা খুব ব্যস্ততার মাঝে কাটছে , সব কিছু সামলে নিয়ে উঠতে পারছি নাহ ৷ যার জন্য আবারও একটু হারিয়ে গেছিলাম ৷ যাই হোক , এখন আপাতত অনেকটাই ভালো সময় এসেছে ৷ তাই আবারও আপনাদের মাঝে নিয়মিত হবার চেষ্টা করবো ৷ এবং নিত্যদিন নতুন এবং ভালো কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবো ৷
তো যাই হোক , আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ করবো ৷ নাটকটির নাম বাবুই পাখির বাসা ৷ দারুণ একটি নাকট , আমি বেশ কয়েকদিন আগে এই নাটকটি দেখেছি , আমার বেশ ভালো লেগেছে ৷ আশা করি আপনাদেরও সবার ভালো লাগবে নাটকের গল্পটা ৷ তো চলুন শুরু করি নাটকের রিভিউ..
নাটকের নাম | বাবুই পাখির বাসা |
---|---|
পরিচালক | মারুফ হাসান সজীব |
অভিনয়ে | আবির ও কণা৷ |
দেশ | বাংলাদেশে |
ভাষা | বাংলা |
ডুরেশন | ৪৫ মিনিট |
নাটকের লিংক | বাবুই পাখির বাসা |
গল্পের শুরুতে দেখা যায় , আবির অফিস শেষ করে বাসায় ফিরেছে ৷ বাসায় এসে রুমের সামনে তার স্ত্রীকে বার বার ডেকে যাচ্ছে ৷ বেশ কয়েক বার ডাকার পরও স্ত্রীর কোনো সারা না পেয়ে নিজের কাছে রাখা চাঁবি দিয়ে দরজা খুলে রুমের ভিতর প্রবেশ করে আবির ৷ রুমের ভিতর প্রবেশ করতেই বিছানার উপর একটা চিরকুট দেখতে পায় আবির ৷ চিরকুটি খুলে পড়তে শুরু করে দেয় ৷ চিরকুটে ছোট করে কিছু কথা লিখে রেখেছে তার স্ত্রী আর তাকে ছেড়ে চলে গেছে এমনও কিছু কথা লেখা ছিলো ছোট সবুজ চিরকুটে ৷ আবির সেই লেখা গুলো পড়ছে আর চা বানাচ্ছে ৷ দুই কাপ চা বানিয়ে নিয়ে আবির চলে যায় ছাঁদে ৷ আর ছাদে গিয়ে দেখা যায় কণা মেয়েটি অন্যদিকে তাকিয়ে আছে আনমনে ৷ আবির যেতেই আবিরের উপস্থিতি টের পায় কণা ৷ কণা আবিরকে বলে উঠে তোমার বৌউ গেছে ৷ আবির উত্তরে বলে হ্যাঁ গেছে , তবে যাওয়ার আগে ছোট একটা চিঠি লিখে গেছে ৷ এই বলে সেই চিরকুটটি কণার হতে দেয় আবির ৷ আসলে এই মেয়েটিই তার স্ত্রী ৷ তারা প্রেম করে বিয়ে করেছে ৷ তারা এখন স্বামী স্ত্রী ৷ তাদের সম্পর্কটা এমনই মধুর ৷ খুনসুটি আর ভালোবাসায় ভরপুর ৷
রাতের বেলা খাবার টেবিলে বসে আছে আবির ৷ আবিরের সামনে খাবার গুলো সাজানো , কিন্তু আবির খাচ্ছে নাহ ৷ অপেক্ষা করছে কণার জন্য ৷ কণা ক্ষানিক পরে এসে দেখে আবির এখনো খাওয়া শুরু করেনি ৷ কণা জিগ্গাসা করে এখনো কেনো খাওয়া শুরু করনি ৷ আবির উত্তরে বলে তোমায় ছাড়া খাবারের স্বাদ পাই নাহ ৷ এভাবেই আবারও তাদের মিষ্টি খুনসুটি চলে কিছুক্ষণ ৷ একটু পরে হঠাৎ কণার তার ছোট মেহমানের কথা মনে পড়ে যায় ৷ যে আর কিছু দিন পর আসবে তাদের ঘর আলো করে ৷ কণা আবিরকে বলে এই খবরটা কি বাবা মা কে জানানোর দরকার নয় এখন ৷ আবির বলে হ্যাঁ দেখো চেষ্টা করে ৷
আসলে তারা প্রেম করে বিয়ে করেছে ৷ তাদের এই বিয়ে কণার বাবা মা কেউ মেনে নেয়নি ৷ ঠিকমতো কথাই হয় না তার বাবা মায়ের সাথে কণার ৷ খাবার শেষ করে কণা তার মাকে ফোন দেয় ৷ প্রথম বার ফোন রিসিভ হয় না ৷ দ্বিতীয় বার আবারও ফোন দেয় কণা তার মাকে ৷ এবার ফোন রিসিভ করে তার মা ৷ তবে কথা বলে না , চুপ করে থাকে তার মা ৷ কণা তার কথা গুলো বলা শেষ হলেই ফোন কেটে দেয় তার মা ৷ কণা এমন আচরণ মেনে নিতে পারে না ৷ মন খারাপ করে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে ৷ আবির বুঝতে পারে কণার বিষণ্ণতা ৷ কণাকে রুমে ডাকে আবির একটা গেম খেলার জন্য কিন্তু কণা যেতে চায় না , মন খারাপ করে দারিয়ে থাকে ৷ আবির এবার জেদ ধরে , পাচ মিনিট সময় দেয় কণাকে এর মধ্যেই রুমে আসতে বলে ৷
পাঁচ মিনিট পর ঠিকই কণা রুমে যায় ৷ আবির বুঝতে পারে তার মন খারাপ কমেনি ৷ তাই সে বিভিন্ন ভাবে কণাকে হাঁসাতে চেষ্টা করে ৷ কণাও না হেঁসে পারে না আবিরর পাগলামী কাছে ৷ এভাবেই যাচ্ছে তবে কণাকে আরো খুশি করার জন্য আবির বাইরে ঘুরতে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেয় ৷ যদিও রাত বেশ ভালোই হয়েছে , তারা বেরিয়ে পড় ৷ আবির তার বাইকটা নিতে চাইলেও কণা বারণ করে ৷ দুজনে নির্জন ফাকা রাস্তায় হাটতে শুরু করে ৷ এর মাঝে তাদের খুনসুটি গুলো চলতেই থাকে ৷ হঠাৎ আকাশের গর্জন ৷ বৃষ্টি হবে হয়তো , তারা রাস্তার পাশে ঢঃ থেকে দু কাপ চা নিয়ে বসে পড়ে ৷ বৃষ্টির ফোটা মিশিয়ে চা পান করে ৷ এভাবেই চলছে তাদের মিষ্টি সম্পর্ক ৷
অন্যদিকে নাতি/নাতনি পাওয়ার আনন্দ ধরে রাখতে পারেনা কণার মা বাবা ৷ মেয়ের উপর রাগ অভিমান থাকলেও এবার কিছুটা কমেছে তাদের ৷ তবে বাবার রাগ অভিমান এখনোও অনেকটা ৷ তাই কণার মা একাই কণাকে দেখতে আসে তাদের বাসায় ৷ কণার মা তাদের বাসায় এসে মেয়ের ঘর বাড়ি পরিবেশ পছন্দ হয়নি ৷ তাই মেয়েকে এখনো এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার আজেবাজে গল্প শোনাচ্ছে ৷ তবে কণা মায়ের এসব কথায় বিরক্ত হলেও কিছু বলতে পারছে নাহ ৷ তার মা বুঝতে পারে মেয়েকে আর যাই বুঝাই বুঝবে না ৷ তাই সেও হাল ছেড়ে দিয়ে চলে আসে বাড়ি ৷ আবির সন্ধ্যায় অফিস শেষ করে বাড়ি আসে ৷ তবে কণা লক্ষ করে আবিরের মন খারাপ ৷ বার বার জিগ্গাসা করেও আবির কিছু বলছে না ৷
পরের দিন একই ভাবে কণার মা তাদের বাড়িতে আসে ৷ তবে গতদিনের মতোই আজও অনেক কিছু নিয়ে আসে ৷ বড় বড় বক্স গুলো দিয়ে কিছু না খেয়েই মেয়েকে দেখে চলে যায় ৷ আবিরের মন আজও ভীষণ খারাপ ৷ এবার কণা জেদ ধরে বসে তার মন খাবারের কারণ জানতে ৷ আবির বলে তার এসব পছন্দ নয় ৷ এতো বড় বড় গিফ্ট যেনো সব নিয়ে যায় তার মা ৷ কণা এবার বুঝতে পারে আবিররে মন খারাপের কারণ ৷ তবে সে মাকেও কিছু বলতে পারবেনা ৷ মা মন খারাপ করবে বলে ৷ তাই আবিরকে বুঝাতে চেষ্টা করে , মা তো মেয়েকে ভালোবেসে কিছু দিতেই পারে ৷ এখানে রাগ করার কি আছে ৷ কিন্তু আবির কিছুই বুঝে না ৷
আর এই থেকে তাদের মাঝে একটা ঝামেলা তৈরি হয় ৷ আবিরও রেগে যায় আর কণাও ৷ এক পর্যায়ে কণা রাগ করে বাপের বাড়ি চলে আসে ৷ আবির থাকতে পারে না কণাকে ছাড়া এক মুহূর্ত আর কণাও ৷ তাই আবির ছুটে যায় কণার কাছে ৷ তবে বাড়ি পর্যন্ত পা রাখেনি আবির ৷ রাস্তায় দারিয়ে কণার জন্য অপেক্ষা করে আবির ৷ কণাও তার ভুল বুঝতে পারে , আর তার বাবা মাও ৷ সব শেষে আবার তারা ফিরে যায় তাঁদের বাবুই পাখির বাসায় ৷ আর এখানেই এই গল্পটা শেষ হয় ৷
রেটিংঃ ০৯
আমার মতামত
বাবুই পাখির বাসা নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ৷ খুবই সুন্দর ছিলো নাটকের গল্প আর তাদের সবার অভিনয় ৷ মিষ্টি ভালোবাসার খুনসুটি আর মান অভিমানের চমৎকার একটি নাটক এটি ৷ বিশেষ করে স্বামী স্ত্রীর মিষ্টি একটা সম্পর্কের সুন্দর দৃশ্যে ফুটে উঠেছে ৷ ছোট ছোট ভুল বুঝা বুঝি গুলো মানিয়ে নেওয়া , দু'জন দুজনকে আগলে রাখার চেষ্টা ৷ এক কথায় একটা মিষ্টি সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য যেমন হওয়া উচিত দুজনকে তারওই চরিত্র ফুটে উঠেছে ৷ এছাড়া আরও বিশেষ কিছু বিষয় দারুণ ভাবে প্রকাশ পেয়েছে ৷ যা নাটকটি দেখলে বেশ ভালো বুঝতে পারবেন ৷ যাই হোক, এই নাটকটি আমার বেশ ভালো লেগেছে ৷ ভালোবাসার মিষ্টি একটা গল্প ৷ আশা করি আপনাদের ও সবার ভালো লাগবে ৷ তো আজ এ পর্যন্তই ৷ সবাই ভালো থাকবেন ৷
নাটকের লিংক
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বাবুই পাখির বাসা নামের দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা নাটকটি এর আগে কখনো দেখা হয়নি। নাটকের মধ্যে যদি আপনি মুক্তির তারিখ উল্লেখ করতেন তাহলে সব থেকে বেশি ভালো হতো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে নাটকটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে আপনার এই রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার রিভিউ পড়ে মনে হলো এর কাহিনী খুবই সুন্দর। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
বাবুই পাখির বাসা নাটকের রিভিউ অসম্ভব সুন্দর ছিল। আমি নাটক দেখতে এবং নাটকের রিভিউ পড়তে দুটোই অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনি আজকে বাবুই পাখির বাসা নাটক টার রিভিউ করেছেন এবং আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে পুরোটা পড়তে ভালো লেগেছে। এই নাটকটা যদিও এখনো পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি, তবে কাহিনীটা রিভিউর মাধ্যমে পড়তে পেরে দারুণ লেগেছে। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটা দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব।
বাবুই পাখির বাসা নাটকটি পড়ে বেশ ভালই লাগলো। যদিও আমি আবির ও কণা এই দুজনের নাটক তেমন দেখিনাই। তবে আজকের নাটকের গল্প পড়ে বুঝতে পারলাম আবির এবং কণা একজনকে একজন পছন্দ করে বিয়ে করেছে। যদিও আবির অফিস থেকে এসে দেখতেছে টেবিলের উপর ছোট্ট একটি সবুজ চিরকুট দেখতে পাই। এরপর আবির চা বানাতে বানাতে সেই চিরকুটটি পড়তে লাগলো। তবে নাটকের মধ্যে বুঝতে পারলাম তারা ভুল বোঝাবুঝির পর ও ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। তবে সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। নাটকের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
বাবুই পাখির বাসা নাটকটি আমি দেখি নাই। তবে আপনার পোষ্টের মধ্যে পড়ে নাটকটি বেশ ভালই লাগলো। আসলে স্বামী স্ত্রী ছোটখাটো ভুলগুলো ঠিক করে একজনকে একজন দেখে শুনে ভালবেসে থাকলে সংসার অনেক সুখী হয়। সংসারের মধ্যে সুখ থাকলে আর কিছুই লাগে না। যদিও একজনের সাথে একজন ভালই দুষ্টামি করে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। তবে সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে বাবুই পাখির বাসা নাটকটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।