আহত ভালোবাসার ঘ্রাণ
হ্যালো বন্ধুরা , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালো আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম , আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করবো ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
আসলে নাটক দেখতে আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে ৷ আমি সময় পেলেই নাটক দেখার চেষ্টা করি ৷ আগে প্রচুর নাটক দেখতাম , যদিও এখন তেমন একটা দেখা হয় না সময়ের অভাবে ৷ তবে অবসর সময় পেলে আমি অবশ্য নাটক দেখার চেষ্টা করি ৷ আসলে প্রত্যেকটা নাটকে কিছু বিষয়বস্তু থাকে , সেটা আমাদের শিক্ষা , বিনোদন বা অন্য কিছু বার্তা দিয়ে থাকে ৷ আমি মূলত সময়টাকে উপভোগ করার জন্যই নাটক দেখি ৷ পাশপাশি নাটকের শিক্ষনীয় বিষয় গুলো নিজের মাঝে অনুধাবন করার চেষ্টা করি ৷ যাই হোক , আজকেও চলে আসলাম নতুন একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ তো চলুন এবার নাটকের কাহিনী সংক্ষেপে শেয়ার করার চেষ্টা করি ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
নাটক | আহত ভালোবাসার ঘ্রাণ |
---|---|
পরিচালক | এম এইচ রাসেল |
প্রযোজনা | জিশান সুলতানুজ জামান |
শিল্পী | আরোশ খান, তাসনুভা তিশা এবং আরো অনেকেই |
চিত্রগ্রাহক | সিফাত হোসেন |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ্য | ৪৭ মিনিট |
প্রকাশ | ইউটিউব , ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং |
এই নাটকের শুরুটা হয় গল্পের নায়ক শিমুলর মাধ্যমে ৷ শিমুল কেনো একদিন গাড়ি করে বাসায় ফিরছে , মাঝ পথে হঠাৎ একটা মেয়ের সাথে দেখা হয় তার ৷ মেয়েটার নাম আলিনা , এই গল্পের নায়িকা ৷ সেদিন বৃষ্টি হচ্ছে , আলিনা মনের সুখে বৃষ্টিতে ভিজছে ৷ হঠাৎ একটা গাড়ি এসে তার সামনে দারায় , আর বৃষ্টিও থেমে যায় ৷ গাড়ি থেকে শিমুল বের হয়ে আসে ৷ বৃষ্টি ভেজা আলিনাকে দেখতে পায় ৷ প্রথম দেখায় গল্পের এই নায়ক আলিনার প্রেমে পড়ে যায় ৷ এদিকে আলিনা কিছুটা রেগে যায় , এতোক্ষন সে ভালোই ইনজয় করছে বৃষ্টি ৷ হঠাৎ এই মানুষটা সামনে আসার সাথে সাথেই বৃষ্টি থেমে গেলো ৷ এখানেই তাদের দু'জনের প্রথম দেখা হয় , আর কিছু কথাও হয় ৷
শিমুল একজন ডাক্তার ৷ বেশিরভাগ সময়ই শিমুল ব্যস্ত থাকে তার কাজে ৷ বাসায় ফিরলে মায়ের আবদার তাকে বিয়ে করতে হবে ৷ বিয়ে নিয়ে শিমুলের মাথা ব্যথা নেই , সে এখন বিয়ে করতে চায় না ৷ কিন্তু তার মা তাকে বিয়ে দিতে চায় তার ফুফাতো বোনের সাথে ৷ শিমুলের ফুফাতো বোন শিমুলকে ভালোবাসা তাকে বিয়ে করতে চায় ৷ কিন্তু শিমুলের এখানেই আপত্তি ৷ সে তার ফুফাতো বোনকে বিয়ে করতে পারবে না ৷ ফুফাতো বোন মানে তো বোন ই ৷ ফুফাতো বোন থেকে ফুফাতো বাদ দিলে কি দারায় ? বোন ! বোনকে কিভাবে বিয়ে করবো ৷ এমন অনেক যুক্তি রাখে শিমুল তার মায়ের কাছে ৷
এদিকে আলিনারও বিয়ে দিতে চায় তার পরিবার ৷ কিন্তু সেও এখন কেনো মতে বিয়ে করতে রাজি নয় ৷ বিয়ের জন্য এতো তাড়াহুড়ো কিসের ? সময় তো আছে ৷ তার বিয়ে হয়ে গেলে বেবি টাকে কে দেখবে ৷ আলিনাও তার পরিবারকে কড়া কথা শুনিয়ে রেগেমেগে রুমে চলে চায় ৷
শিমুল তার চেম্বারে বসে আছে ৷ হঠাৎ সেদিনের সেই বৃষ্টিভেজা মেয়েটা তার সামনে আসে ৷ এটা দেখে সে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে , মেয়েটা আবার কাশি দিলে শিমুল বাস্তবে ফিরে আসে ৷ আলিনা তার বেবিকে নিয়ে শিমুলের চেম্বারে গেছে ৷ বেবির একটু সমস্যা তাই ডাক্তার দেখানোর জন্য শিমুলের কাছে গেছে ৷ শিমুল কিছুক্ষণ আলিনার দিকে তাকিয়ে থাকার পর বেবির কাছে যায় ৷ এবং তার সমস্যা গুলো দেখে আবার বেবিকে আলিনার কলে তুলে দেয় ৷ আলিনা ডাক্তার দেখিয়ে চলে আসের তার বেবি নিয়ে ৷ এরপর আরো কয়েকবার বেবির সমস্যা জন্য আলিনা শিমুলের কাছে যায় ৷ এই থেকে তাদের পরিচয় হয় ৷
এদিকে শিমুলের ফুফাতো বোন তাকে বিয়ে করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ৷ যদিও শিমুলের তার প্রতি কোনো আগ্রহ নেই ৷ তবুও তার পাগলামি গুলো দেখে যাচ্ছে শিমুল ৷ তার ফুফাতো বোন তাকে বিয়ে করার জন্য বার বার বলে যাচ্ছে ৷ এইসব প্যারা নিতে না পেরে শিমুল বলে দেয় , সে অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসে ৷ সে তাকেই বিয়ে করতে চায় ৷ এসব কথা শিমুলের মুখে শুনে শিমুলের ফুফাতো বোন একটু কষ্ট পায় ৷ তারপরও সব মেনে নিয়ে সেই মেয়েটার সম্পর্কে জানতে চায় শিমুলের ফুফাতো বোন ৷ এবার শিমুল আলিনার কথা বলে ৷ শিমুলের ফুফাতো বোন এসব কথা শুন্ রেগে যায় ৷ এক বেবিওয়ালা মেয়েকে সে ভালোবাসে ৷ এটা সে মানতে পারছে না , রেগেমেগে সে শিমুলের থেকে চলে আসে ফুফার বাসায় ৷
এরপর সব বলে কথা বলে দেয় শিমুলের মাকে ৷ শিমুলের মা এসব কথা শুনে একটু রেগে যায় ৷ শিমুল বাসায় আসলে মা তাকে সব বলে ৷ তখন শিমুল বলে এসব কথা বলেছে সে তার প্যারা থেকে বাচার জন্য ৷ ছেলের মুখে এসব কথা শুনে কিছুটা স্তুতি পায় তার মা ৷ যদিও শিমুল আলিনাকে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছে প্রথম দেখায় ৷
এরপর আরো কিছু দিন চলে যায় ৷ শিমুল তার ফুফাতো বোনকে বিয়ে করে নেয় ৷ শিমুলের ফুফাতো বোন ভীষণ খুশি হয় ভালোবাসার মানুষটাকে পেয়ে ৷ অন্যদিকে শিমুলের একরাশ মন খারাপ লেগেই আছে ৷ বিয়ে পর আবার কাজে ফিরতে হবে ৷ তাই সে অফিসে যাওয়া জন্য বের হয় ৷ মাঝ পথে গিয়ে হঠাৎ একটা নাম্বার থেকে ফোন আসে ফোন রিসিভ করতেই আলিনা বলে ওঠে , আমি আলিনা আপনার সাথে কু এখন দেখা করা যাবে ৷ শিমুল আলিনার ভয়েস শুনেই একটু কেপে উঠে ৷ এরপর বলে হ্যা অবশ্যই ৷ এরপর আলিনা তার ঠিকানা বলে দেয় ৷ শিমুল সেদিন আর অফিস না গিয়ে আলিনার কাছে যায় দেখা করতে ৷
শিমুল প্রথম দেখায় একটা মেয়েকে অসম্ভব ভাসোবেসে ফেলেছে ৷ কিন্তু একটা সময় পর জানতে পারে সেই মেয়েটি বিবাহিত , একটা সন্তানও আছে ৷ তার জীবনের এই আহত ভালোবাসার গল্পটা নিয়ে একটা বই লেখে ৷ যেটা আলিনা পেয়েছে এবং পড়েও দেখেছে ৷ এরপর আলিনা শিমুলের সাথে দেখা করতে আসে ৷
শিমুল এবং আলিনা বসে আছে একটা লেকের ধারে ৷ এরপর আলিনা বলতে শুরু করে , তার সেই বেবিটা তার বড় ভাইয়ের ৷ তার ভাবি মারা গেছে এরপর থেকেই বড় ভাইয়ের বেবি তার কাছে থাকে এবং সেই তার দেখাশোনা করে ৷ তার এখনো বিয়ে হয়নি ৷ নিজের স্বামী সন্তান কিছু নেই ৷ শিমুল এসব শুনে থমকে যায় ৷ সে এতো দিন ভুল ভেবে আসছে ৷ ভালোবাসার মানুষটিকে পেয়ে গেলেও পেয়ে যেত ৷ কিন্তু এখন তো আর উপায় নেই , সে বিয়ে করে নিয়েছে ৷ এরপর আলিনা শিমুলকে বলে চলেন এবার একটু হাটি ৷ শিমুল উঠে যায় , আলিনা আর শিমুল পাশাপাশি হেটে যাচ্ছে ৷ এখানেই এই গল্পটা শেষ হয় ৷
রেটিং:-০৮
আমার মতামত:-
আহত ভালোবাসার ঘ্রাণ নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে ৷ নাটকের গল্প সবার অভিনয় সব মিলিয়ে বেশ ভালোই ছিলো ৷ পূর্ণতা না পাওয়া একটা ভালোবাসার গল্প নিয়ে এই নাটকটি ৷ না জেনেই ভুল বুঝে হারিয়ে ফেলেছে সে ভালোবাসার মানুষটিকে ৷ আর এই ভালোবাসার মানুষটিকে হারনোর মানসিক যন্ত্রণা আর একাকীত্বের কষ্ট কতটা কষ্টের সেটাই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে এই নাটকে ৷ যাই হোক , দুর্দান্ত ছিলো নাটকে সবার অভিনয় , যদিও নাটকের গল্পটা আমার ততটা ভালো লাগেনি ৷ তবে নাটকের মিউজিক অভিনয় ভালো ছিলো ৷ চাইলে নাটকটি দেখে আসতে পারেন ৷ নিচে নাটকের লিংক দেওয়া আছে ৷ ধ ন্য বা দ
নাটকের লিংক
আপনি তো দেখছি আজকে আমার খুবই পছন্দের নায়ক নায়িকার নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছেন। এই নায়ক এবং নায়িকা আমার অনেক বেশি পছন্দের। তাদের বেশিরভাগ নাটকই আমার দেখা হয়েছিল। তবে এখন আর ব্যস্ততার জন্য তাদের নাটক খুব একটা দেখা হয় না। কিন্তু আজকে আপনি এত সুন্দর করে তাদের এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে পড়তে। পুরো কাহিনীটাকে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
আহত ভালোবাসার ঘ্রাণ নাটকটা অনেক বেশি সুন্দর। আর আমার কাছে এই নাটকটার রিভিউ পড়তে তো অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এই নাটকের পুরো কাহিনীটা অনেক ভালো ছিল। আসলে প্রিয় মানুষকে হারানোর কষ্ট অনেক বেশি হয়। আর তখন একাকীত্ব আমাদের জীবনে চলে আসে। এই বিষয়গুলো অনেক সুন্দর করেই তুলে ধরা হয়েছে এই নাটকে।
বর্তমান প্রতিটা আরশ খানের নাটকের সাথে জুটি দেখতেছি তাসনুভা তিশা।আসলে আমার কাছে আরশ খানের নাটক আমার ভীষণ ভালো লাগে।যদিও আমার নাটকটি দেখা হয়নি তবে সময় করে খুব শীগ্রই নাটকটি দেখে নিবো।ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো৷ এখানে আপনি নাটকের মধ্যে ঘটে যাওয়া সবগুলো ঘটনা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ এখানে আপনি যেভাবে সবগুলো ঘটনা শেয়ার করেছেন তা খুব সুন্দর হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷