ছোট বেলায় শীতের রাতে পিকনিক খাওয়ার গল্প - এক
সময়টা আরো একটু দেরিতে ছিলো ৷ তখন বেশ ছোট ছিলাম , তবে সব কিছু বুঝতাম ৷ ডিসেম্বরের শেষের দিকে হবে হয় তো ৷ স্কুলের পরীক্ষা শেষ করে গ্রামের কিছু ছোট ছেলে মেয়ে পিকনিক খাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ তখন বাড়ির পাশের জমি গুলো থেকে ধান কেটে নিয়ে গেছে ৷ আশা পাশের জমি গুলো বেশ ফাকা ছিলো ৷ বাড়ির পাশেই খোলা জমিতে পিকনিক করবো ভেবে রেখেছি ৷ পরীক্ষা শেষ তাই বোধায় স্কুলে যেতাম নাহ ৷ সকাল বেলা সবাই ঘুম থেকে উঠে চাষ করা সেই জমি পরিস্কার করতে লাগলাম ৷ বেশ আনন্দ আর মজার হয়েছিলো এই কাজ গুলো করার সময় ৷ যদিও ছোট ছোট মজার বিষয় গুলো এখন মনে পড়েছে না , তবে মাঠ পরিস্কার করার সময় বেশ মজা হয়েছিলো ৷
পিকনিক খাওয়ার জায়গাটা পরিস্কার করার পর আরো নতুন কাজে ব্যস্ত সবাই ৷ বাড়ি থেকে দা-কদাল নিয়ে গিয়ে মাটির চুলা তৈরি , রাতে শীত যেনো না পড়ে সে জন্য উপরে এবং চার দিকে বিভিন্ন চট কিংবা কাপড় দিয়ে ঘেরা দেওয়ার ব্যবস্থা করা , বেশ ভালোই ব্যস্ততা সবার মাঝে ৷ তবে এই ছোট ছোট কাজ গুলো করার মাঝে বেশ আনন্দ ছিলো সবার মাঝে ৷ দা দিয়ে এসব কাজ করার সময় হঠাৎ কিছুটা হাত কেটে যায় একজনের ৷ তখন রক্ত বন্ধ করতে দুব্বা ঘাস বেটে হাতে লাগিয়ে দেওয়ার মাঝে বেশ ভয় ছিলো ৷ হাত কেটেছে বাড়ি থেকে বোকা দিবে জেনে ৷ তবুও হাতে কাপড় বেঁধে আবার বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে যায় ৷ বেশ মজা আর আনন্দ নিয়ে সবাই মিলে একটার পর একটা কাজ করেই যাচ্ছি ৷
পিকনিক খাওয়ার জায়গাটা পরিস্কার করে ছোট একটি মাটির চুলা তৈরি করে দুপুরে সবাই সবার বাড়ি চলে যাই ৷ কোনো মতে স্নান আর অল্প কিছু খাবার খেয়ে আবার সবাই সেই জায়গায় এসে এক হই ৷ এরপর নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন কথা যায় ৷ একটু পরেই সেই হাতকাটা ছেলেটা চলে আসে ৷ হাত কাটা যাওয়ার জন্য সে নাকি বাড়িতে অনেক বকা খেয়েছে , তাকে পিকনিক করতে দিবে না তার মা ৷ এক কথা শুনে আমরাও একটু চিন্তায় পড়ে যাই , তাকে যেভাবেই হোক পিকনিকে নিতে হবে ৷ আবার নিজেদের মাঝে বিভিন্ন বুদ্ধি করতে থাকি , কিভাবে সব ঠিক ভাবে পার করা যায় ৷ অবশেষে তার চাল ডাল আমরা সবাই দিবো বলে ঠিক করি ৷ বাড়ি থেকে পিকনিক করতে না দিলে সমস্যা নেই ৷ আমরাই সব দিয়ে তাকে চালিয়ে নিবো ঠিক করি ৷ এরপর আবার বিকাল বেলা সবাই যেনো এখানে এসে এক হোই সে কথা জানিযে দেওয়া হয় সবার মাঝে ৷
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই থাক ৷ অন্যদিন এই গল্পের আরো কিছু শেয়ার করবো ৷ আসলে ছোট বেলার এই শীতের রাতে পিকনিক খাওয়ার গল্পের পিছনে অনেক কথা-স্মৃতি জমে আছে , যা এক পর্বেই শেষ করা যাবে না ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে আমার ছোট বেলার শীতের রাতে পিকনিক খাওয়া গল্প ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকেআমার পোস্টটি সময় নিয়ে পড়ার জন্য ৷
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সত্যি ভাইয়া আমাদের ছোটবেলা গুলো হয়তো একই ধরনের। ছোটবেলায় শীতের দিনগুলোতে মাঝে মাঝেই পিকনিক খাওয়া হত। নিজেদের বাড়ি থেকে অনেক কিছুই নিয়ে আসতাম তখন। পিকনিক খাওয়ার জায়গাটি সবাই মিলে পরিষ্কার করতাম। আসলে পুরনো সেই স্মৃতিগুলো আবারো মনে করিয়ে দিলেন। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া।
আসলেই আপু ছোট বেলায় শীতের দিনে বেশ পিকনিক খাওযা হতো ৷ এখন আর হয় না ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ছোটবেলায় আমরাও ধান কাটার পরে শীতের দিনে এমন পিকনিক করতাম। আসলে শীতের দিনে রাতের বেলায় পিকনিক করার মজাই আলাদা। যাইহোক খারাপ লাগলো আপনার সেই বন্ধুর কথা শুনে যে কাজ করতে করতে হাত কেটে ফেলেছিল। হাত কেটে গেলে কি হবে এই ধরনের পিকনিক গুলোতে কাজের ক্ষেত্রে কোন কিছুই বাধা মানে না।
হ্যা ভাইয়া শীতের দিনে পিকনিক করার মজাই আলাদা ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য ৷
আপনার ছোটবেলার স্মৃতিগুলো পড়ে আমার নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। কত যে পিকনিক খেয়েছি এমন করে তার হিসাব নেই। বাসা থেকেই চাল ডাল দিয়ে অনেকটা খিচুড়ির মতো করে রান্না করে খেতাম। যাইহোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আসলেই আপু ছোট বেলায় এমন অনেক পিকনিক করেছি সবাই ৷ এখন আর হয় না ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
নস্টালজিক হয়ে পড়লাম ভাই। আমাদের গ্রামে এভাবে জমির মাঝে পিকনিক খাওয়া কে বলা হত রাখাল ভাত।বাড়ি থেকে তেল,নুন,লংকা,চাল ডিম নিয়ে নিজেরা রান্না করে খাওয়া।খাবারে স্বাদ হত না,কিন্তু সবাই মিলে কাজ করা এটাই ছিল মজার।ধন্যবাদ ভাইয়া পুরোনো স্মৃতি গুলো শেয়ার করার জন্য।(বানান গুলো দয়া করে একবার দেখবেন)।
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য ৷ আসলে বানানের দিকে একটু বেশিই যত্নশীল থাকার চেষ্টা করি ৷ একটা পোস্ট লিখে কয়েক বার দেখি কথাও ভুল লিখেছি কি নাহ ৷ সব ঠিকঠাক থাকলে পোস্ট করি ৷ এই পোস্ট টাও কয়েক বার দেখে নিয়ে পোস্ট করেছি , আপাতত কোনো ভুল দেখতে পাইনি ৷ আপনি বানান গুলো আবারও দেখতে বলেছে দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো ৷ আমি চেষ্টা করবো আবারও কয়েক বার পড়ে ভুল বানান গুলো ঠিক করার ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য ৷
আপনি খুব সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।এরকম শীতকালের পিকনিক খাওয়ার স্মৃতি আমাদের সকলের জীবনে কম বেশি জড়িত আছে।আপনার সেই স্মৃতি শেয়ার করতে গিয়ে আমারও শীতকালের পিকনিক খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল।গ্রামের সব বন্ধু বান্ধবীরা মিলে এভাবে পিকনিক করে খেতাম।যখন কুয়াশায় গভীর রাত হত।গান-বাজনা চলতো,নাচতো, ভাল-মন্দ খাওয়া হত। অনেক আনন্দ করতাম সবাই মিলে।
আসলেই কম বেশি সবাই শীতের রাতে এমন পিকনিক করেছি ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য