ফ্ল্যাটমেট - নাটকের রিভিউ
হ্যালো বন্ধুরা আমার , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালোই আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম নতুন কিছু শেয়ার করতে ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ করবো ৷ নাটকটি মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল অভিনীত ৷ নাটকের নাম ফ্ল্যাটমেট ৷ বেশ কিছু দিন আগে রিলিজ হয়েছে ৷ তবে আজ আমি এই নাটকটি দেখলাম ৷ নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে ৷ তাই আপনাদের মাঝে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করতে আসলাম ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ তো চলুন শুরু করি...
নাটকের নাম | ফ্ল্যাটমেট |
---|---|
পরিচালক | মেহেদী হাসান রিদয় |
অভিনয়ে | মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল ৷ |
ভাষা | বাংলা |
ডুরেশন | ৪৪ মিনিট |
গল্পের শুরুটা হয় কেয়া পায়েলের থেকে ৷ পায়েল ঘুমাতে যাবে ঠিক সেই সময়েই মুশফিক তার রুমে উচ্চ সাউন্ডে গান বাজাতে শুরু করে ৷ তারা মূলত বাসা ভারা থাকে দুজনেই ৷ মুশফিকের রুমের পাশেই কেয়া পায়েল রুম ভারা নিয়েছে ৷ তো পায়েল ঘুমাতে গিয়ে ঘুমাতে পারছে না গানে শব্দে ৷ তার রাগ হয় , চলে আসে মুশফিকের কাছে ৷ এসে তর্ক শুরু করে দেয় ৷ এটা নিয়ে তাদের মাঝে বেশ ভালোই তর্ক হয় ৷ শেষমেশ পায়েল তার রুমে চলে আসে মুশফিকের কাছে না পেরে ৷
পরের দিন সকালে পায়েল নাস্তা করে রুমে যাচ্ছে , সে সময় মুশফিক এসে টেবিলে থাকা মগটা ফেলে দেয় নিজের ইচ্ছে ই ৷ মগটা পড়ে ভেঙ্গে যায় ৷ এবং এই দোষটা দেয় পায়েলের উপর ৷ এটা নিয়েও আবার সকাল বেলা তাদের মাঝে তর্ক শুরু হয়ে যায় ৷
পায়েল দোষ না করেও সরি বলে , কারণ মুশফিকের তর্কের কাছে পেরে উঠে না পায়েল ৷ এভাবেই চলে তাদের নিত্যদিন ৷ এরপর পায়ের চলে যায় তার জবে ৷
পায়েল রেস্টুরেন্টে জব করে ৷ রেস্টুরেন্টে এসে দেখে আরেক কাহিনি ৷ সেখানের সবাই রান্না বান্না না করে লুকোচুরি খেলা খেলছে ৷ তাদের প্রশ্ন করতেই বলে এখানে তিন মাস ধরে কাস্টমার আসে না ৷ তাই তারা রান্না না করে খেলা করছে ৷
এরপরের দৃশ্যে দেখা যায় , পায়েল তার রুমে বসে আছে ৷ কিন্তু মুশফিক আর ফারহান মদ খেয়ে এসে পাগলামি শুরু দেয় ৷ নিজের রুম চিনতে পারে না ৷ এখানেও তাদের মাঝে ঝামেলা আর তর্ক ৷
ফ্ল্যাটমেটের এমন আচরণ পায়েল সহ্য করতে পারে না ৷ বাসার মালিকে অভিযোগ করতে চলে যায় ৷ অভিযোগ করেও আসে , মালিকও এটার বিচার করবে জানায় ৷ কিন্তু লাভ হয় না , মালিকও শেষমেশ মুশফিকের পক্ষে কথা বলে কারণ তাকে ভুলভাল বুঝিয়ে মুশফিক তার দলে নিয়ে নিয়েছে ৷
পায়ের আবারও চলে যায় রেস্টুরেন্টে তার জবে ৷ কিন্তু রেস্টুরেন্টে কাস্টমারের খুব অভাব ৷ বিভিন্ন কায়দায় পায়েল কাস্টমার আনার চেষ্টা করে ৷ কিন্তু লাভ হয় না ৷ কেউ তার রেস্টুরেন্টে খেতে আসে না ৷ শেষমেশ একটা বাঙালির সাথে দেখা হয় তার , কিন্তু পায়েল বুঝতে পারে না ৷ যখন বুঝতে পারে তখন একটু দেরি হয়ে যায় ৷
সকাল বেলা , পায়েল নাস্তা তৈরি করে খেয়ে তার জবে যাবে সে ৷ কিন্তু কিচেনে এসে দেখে মুশফিক ভুরি সিদ্ধ করতে দিয়েছে ৷ ভুরির বাজে গন্ধে পায়েল থাকতে পারছে না ৷ পায়েল মুশফিকে বলে তারাতারি রান্না শেষ করতে ৷ সে নাস্তা তৈরি করবে এবং খেয়ে জবে যাবে ৷ কিন্তু মুশফিক তার মতোই ৷ কিছুক্ষণ পরে আবার পায়েল এসে দেখে তার ভুরি সিদ্ধ এখনো হয়নি , আবার শুরু হয়ে যায় তাদের মাঝে তর্ক ৷
পায়েল আবারও চলে যায় বাড়ি ওয়ালার কাছে ৷ ফ্ল্যাটমেটের নামে অভিযোগ করে চলে আসে ৷ কিন্তু বারবারের মতোই কোনো লাভ হয়নি ৷ মুশফিক বাড়িওয়ালাকে মানিয়ে নেয় ৷
এরপর আরো একবার মুশফিক ভুরি রান্না করে , পায়েল বাড়িওয়ালাকে জানায় ব্যাপারটা ৷ কিন্তু দেখে কোনো লাভ হয়নি জানিয়ে ৷ বাড়িওয়ালা তার দলে চলে গেছে আবারও ৷ ভুরি খেতে নাকি খুবই মজার হয়েছে , তার বাড়িওয়ালা ভুরি খেতে আসবে যতবারই ভরি রান্না হবে তারর বাসায় ৷ এদিকে ভুরির গন্ধ নিতে পারে না পায়েল ৷
ফ্ল্যাটমেটের এমন আচরণ সহ্য করতে পারে না পায়েল ৷ কি করবে বুঝতেও পারে না ৷ বিরক্তি লেগে গেছে তার ৷ সে আর সহ্য করতে পারছে না এসব ৷ তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় ছেড়ে দেবে এই বাসা ৷ রুমের চাবি মুশফিকের কাছে দিয়ে বেরিয়ে আসে পায়েল ৷ এবং মুশফিক কে পায়েল বলে, সে ছেড়ে দিচ্ছে এই বাসা , বাড়িওয়ালাকে রুমের চাবি সে জেনো বুঝিয়ে দেয় ৷ এই বসে চলে আসে পায়েল ৷ কথায় যাবে কি করবে বুঝতে পারে না পায়েল ৷ রাস্তার ধারে এসে বসে পড়ে ৷
সময়টা রাত তখন , অনেকেই আবার বিরক্তি করছে তাকে ৷ পায়েল চুপচাপ বসে আছে , কিছু সময় পর মুশফিক আসে ৷ মুশফিক এসে তার পাশে বসে এবং সরি বলে ৷ প্রথম দিন যদি পায়েল তার সাথে বাজে আচরণ না করতো তাহলে বুঝি এমনটা হতো না ৷ পায়েলের সেদিনের আচরণের জন্য এমনটা করছে মুশফিক , জানায় সে ৷ এখন সে সবটা বুঝতে পেরেছে এবং একটু বেশিই হয়ে গেছে বুঝতে পারে মুশফিক ৷ সেজন্য সরি বলে সে ৷ এবং এখানেই গল্পটা শেষ হয় তাদের ভালো একটা বন্ধুত্ব মাধ্যমে ৷
রেটিং:-০৮
মতামত:-
ফ্ল্যাটমেট নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে , তবে খুব একটা নয় ৷ গল্পের মূল কাহিনী ছিলো তাদের দুজনের খুনসুটি ৷ একটা বাসায় তারা ভারা থাকতো , সেখান থেকেই তাদের পরিচয় আর সেখানেই তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক আর খুনসুটি ৷ শেষের দিকে তারা তাদের ভুল গুলো বুঝতে পারে এবং দুজন দুজনকে সরি বলে ৷ শেষমেশ তাদের ভালো একটা বন্ধুত্ব দিয়ে গল্পটা শেষ হয় ৷ তাদের অভিনয় ছিলো মোটামুটি ৷ তবে নাটকের গল্পটা আমার তেমন ভালো লাগে নি ৷ অন্যান্য বিষয় গুলি মোটামুটি ভালো ছিলো ৷ ধন্যবাদ সবাই কে , এটুকুই ছিলো ৷
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার ফ্ল্যাটমেট নাটকের রিভিউ টা পড়ে আমার কাছে। আপনি নাটকটির সম্পূর্ণ রিভিউ টা খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। এরকম নাটক গুলোর রিভিউ পড়তে আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। আপনি সম্পূর্ণ নাটকটির রিভিউ টা খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন। প্রত্যেকটা লাইন খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন আপনি। ভালো লাগলো আপনার সম্পূর্ণ রিভিউটা।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে , আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
এই নাটকটা আমি দুতিন দিন আগেও একবার দেখেছিলাম। যখন আমি নাটকটি দেখেছিলাম তখন আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। তাই আজকে আবারো আপনার রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে নতুন করে দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আমি ফারহানের নাটকগুলো সব থেকে বেশি দেখে থাকি। তার অভিনয় বিশেষ করে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু , আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
খুব সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে সময় পেলে মাঝে মাঝে আমি ফারহানের নাটক গুলো দেখি আমার কাছে ভালো লাগে। আজকের নাটকে তাদের মাঝে তৈরি হওয়া বন্ধুত্বের গল্প বেশ চমৎকার ছিল আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ৷
বাংলাদেশের নাটকগুলো অনেক শিক্ষনীয় ও মজার।আমি সময় পেলেই দেখি।তবে এখন অনেক নতুন নতুন অভিনেতার সৃষ্টি হয়েছে।আশা করি এই নাটকটিও দেখে নেব।আপনার রিভিউটি ভালো ছিল, যদিও গল্পটি বন্ধুত্বের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে।ধন্যবাদ
হ্যাঁ দিদি বাংলাদেশের নাটক গুলো অনেক মজার এবং শিক্ষনীয় হয়ে থাকে ৷ আপনি বাংলাদেশ নাটক দেখেন জেনে ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে