বিকাল বেলা একটু ঘোরাঘুরি || কাঠের ব্রিজ
আমার বাংলা ব্লগে
বাংলা ০১ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
তো গত কয়েকদিন আগের ছোট্ট একটি গল্প নিয়েই মূলত আজকের এই ব্লগটি লিখবো ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ আসলে মাঝে মাঝে একটু ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক বেশিই ভালো লাগে ৷ যদি খুব দূরে কিংবা ভাল কোনো আকর্ষনীয় স্থানে যেতে না পারি তাহলে আশেপাশে কথাও একটু ঘুরে আশি ৷ আসলে এ বিষয়টা মনে হয় কাউকে বোঝাতে হবে না , কারণ ঘোরাঘুরি করতে কম বেশি সবাই অনেক পছন্দ করি ৷ আমিও তেমনি ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশিই পছন্দ করি ৷ ঘোরাঘুরির মাঝে এক অন্যরকম প্রশান্তি আছে , ভালো লাগা আছে ৷ একটু ঘোরাঘুরি করলে মন অনেক হালকা হয়ে যায় ৷ হাজার বিরক্তি থাকলেও কেটে যায় ৷ তো যাই হোক , এতো কিছু না বলি , যে আসলে ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে সে ঠিকই বুঝে ৷ তো মূল গল্পে আসি , কিছু দিন আগে একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম করতোয়া নদী ৷
আসলে শেষ বিকেলে একটু ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক বেশিই ভালো লাগে ৷ প্রায় সময় আমি বিকেল বেলা আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করি ৷ প্রচুর ভালো লাগে শেষ বিকেলে ঘুরতে ৷ সেদিনও শেষ বিকেল একটু ঘুরতে বের হয়েছি ৷ যদিও যাওয়ার মতো তেমন ভালো জায়গায় নেই ৷ করতোয়া নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম ৷ আসলে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে ৷ প্রায় সময়ে আমি এই নদীর তীরে এসে সময় কাটাই ৷ সেদিনও গিয়েছিল করতোয়া নদীর এমন একটি জায়গায় ৷
এই জায়গাটা আমার খুব অপরিচিত নয় ৷ প্রায় সময় আমি এখানে আসি এবং সময় কাটাই ৷ ভালো লাগে জায়গাটা ৷ আসলে নদী প্রিয় মানুষ আমি ৷ বিশেষ করে করতোয়া নদীর পাড় আমার বেশ পছন্দের ৷ কারণ বেশি ভাগ সময় এই নদীর সাথেই আমার অবসর সময় গুলো কেটেছে ৷ করতোয়া নদীর তীরে এসে প্রায় বসতাম আর সময় গুলো উপভোগ করতাম ৷
বর্তমান সময়ে করতোয়া নদীতে তেমনটা পানি নেই ৷ নদী টা শুকিয়ে গেছে ৷ দুপাশে চর জমে গেছে ৷ নদীর মাঝখানে ছোট একটা নদী হয়েছে ৷ সেই নদীতে ছোট একটা কাটের ব্রিজ দিয়েছে ,আশেপাশের মানুষজন ৷ মূলত চলাচল করার জন্য ৷ যখন জলে নদী ভরা থাকে তখন নৌকা দিয়ে মানুষেরা নদী পাড়াপাড় হতো ৷ আপাতত পানি কম থাকায় নৌকা বাদে কাঠের ছোট একটা ব্রিজ দিয়েছে ৷ নদীর এ পাড়ে ছোট একটা বাজার আছে , স্কুল আছে , নদীর ওপারের মানুষজনের এদিকে নানান কারণে আসতে হয় ৷ এদিকে মানুষও ওদিকে যায় নানান কারণে ৷ আর এদের মিলবন্ধন হয়ে আছে বর্তমান এই কাঠের ব্রিজ ৷
প্রায় সময় এই জায়গায় আসতাম ৷ নদীর পাড় থেকে এই কাঠের ব্রিজ দেখতাম , তবে কখনো এই কাঠের ব্রিজে উঠিনি আমি এবং কাছ থেকে এসে দেখিনিও ৷ সেদিন প্রথম এই কাঠের ব্রিজের কাছে আসলাম , এবং উঠেও দেখলাম ৷ আমার কাছে এই কাঠের ব্রিজটা ততটা সুবিধার মনে হয়নি ৷ কাঠ ভেঙ্গে আছে , অনেকটা পর পর কাঠ ৷ বাঁশ আর কাঠ দিয়ে তৈরি ব্রিজ টি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ৷ তবুও মানুষ প্রতিনিয়ত এই ব্রিজ দিয়েই চলছে ৷ কারণ চলতে হবে যে ৷ নদীতে পানির স্রোত বেশ ভালোই ৷ ব্রিজে উঠতেই ভয় লাগছে ৷ মনে হচ্ছে পানির স্রোতে ব্রিজটা কাপতেছে ৷ হাঁটতে প্রচুর ভয় লাগছে ব্রিজ দিয়ে ৷ তবুও নদীর দুপাশের মানুষ ঠিকওই চলছে ৷ ছাত্ররা স্কুলে যাচ্ছে , বৃদ্ধরা বাজার যাচ্ছে , যদিও ঝুঁকিপূর্ণ তবুও ৷ কারণ আর যে কোনো উপায় নেই ৷
ক্যামেরাঃ realme C11
লোকেশনঃ https://w3w.co/slotted.inward.quartered
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ৷
কমিউনিটি | abb |
---|---|
বিষয় | photography |
ক্যামেরা | realme C11 |
ফটোগ্রাফার | 𝙽𝚒𝚛𝚘𝚋 |
তারিখ | 31 - 12 - 2022 |
লোকেশন | Bangladesh 🇧🇩 |
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বিকেলবেলা ঘোরাঘুরি করতে আসলে কমবেশি সবাই পছন্দ করে এরকম নদীর তীরে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনি করতোয়া নদীর তীরে ঘুরতে গিয়ে খুব আনন্দের সময় কাটিয়েছেন। আর কাঠের ব্রিজ দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে এগুলা পার হওয়া অনেকটা ভয়ের। । এই ধরনের কাঠের ব্রিজগুলোতে আমি কখনো উঠিনি। যাই হোক যেহেতু আর কোন উপায় নেই। তাই মানুষ চলাচল করাই লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে বিকেলের ঘুরার আনন্দ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া ঠিক বলেছেন ঘোরাঘুরি করতে আমরা সবাই কম বেশি খুবই ভালোবাসি। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল এবং বিশেষ করে কাঠের ব্রিজটা খুব সুন্দর ছিল দেখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন বিকেলবেলা ঘোরাঘুরি করতে কমবেশি সবাই খুব পছন্দ করে। আপনি খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। করোতোয়া নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়াতে ছোট্ট একটা নদী হয়েছে এখন। সেই নদীর উপর পারাপার হওয়ার জন্য কাঠের খুব সুন্দর একটি ব্রিজ তৈরি হয়েছে। এবং চারপাশে বালুচর দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এরকম সুন্দর জায়গায় ঘুরতে কার না ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
বিকেলে এরকম মনোরম পরিবেশে ঘুরতে কার না ভালো লাগে বলুন। নদী আর চমৎকার কাঠের ব্রিজকে ঘিরে দারুন পোস্ট সাজিয়েছেন। তবে ব্রিজটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে। ওটার উপর সাবধানে চলাচল করতে হবে।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আসলে ঘুরাঘুরি করতে কে না পছন্দ করে। আপনি ঠিকই বলেছেন ঘুরাঘুরির মাঝে অন্যরকম প্রশান্তি আছে এবং ভালোলাগা আছে। অন্যরকম একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করা যায়।জায়গাটি তো দেখছি খুবই সুন্দর। কাঠের ব্রিজটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি তো দেখছি খুবই ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। আমি এরকম বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলাম যেখানে কাঠের ব্রিজ রয়েছে। দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে কাঠের ব্রিজগুলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সত্যি কথা বলতে বিকেলবেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। বিকেল বেলার এই সময়টা আমার খুবই পছন্দের। যদি সেই সময়টাতে ই নিজের পছন্দের একটি জায়গায় যেতে পারি তাহলে তো কোন কথাই নেই। জায়গাটি তো দেখছি খুবই দারুণ ঘুরতেও বেশ ভালোই সময় কাটানো যাবে। আমি এরকম বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি যেগুলো আমার খুবই পছন্দের।আপনার কাটানো এত সুন্দর মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি দেখে একটু বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে খুব ভালো লাগছে। কাঠের ব্রিজ টা সত্যি মনোরম। প্রি ওয়েডিং এর ফটোশুট এত সুন্দর আসবে এইসব জায়গাতে, ফটোগ্রাফারদের আলাদা করে এডিট করার প্রয়োজন হবে না। কাঠের ব্রিজটা দেখে গজেন্দ্র বর্মার ওই গানটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে, "ইস মে তেরা ঘাটা!মেরা কুছ নেহি যাতা।"খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন।