শীতের রাতে পিকনিক খাওয়ার অনুভূতি
আজ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ইং
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা আমার কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালোই আছি ৷ তো আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম নতুন কিছু শেয়ার করতে ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
আজকে আমি মূলত আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আমার শীতের রাতে ছোট একটি পিকনিক খাওয়ার অনুভুতি ৷ এই পিকনিক টা আমরা করেছিলাম গতকাল মঙ্গলবার ৷ হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত আর হঠাৎ করেই আয়োজন ছিলো ৷ গতকাল বিকাল বেলা বসে আড্ডা দিচ্ছি আমি , দাদা সহ ছোট একটা ভাতিজা ৷ তো আড্ডার মাঝে হঠাৎ পিকনিক খাওয়ার কথা কিভাবে যেনো চলে আসলো ৷ আমরাও ভাবলাম আজ একটা পিকনিক করলে মন্দ হয় না ৷ আড্ডায় তিন জন ছিলাম , তিন-জনই সায় দিলাম পিকনিক করার ৷ সবার যেহেতু ইচ্ছে আছে সেহেতু আড্ডা থেকেই বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ৷ এরপর বাজার থেকে পিকনিক খাওয়ার জন্য যাবতীয় বাজার খরচ করে নিলাম ৷ যেহেতু মাত্র তিনজন এক বেলা করে খাবো সেহেতু সব অল্প অল্প করে কিনে নিয়ে চলে আসলাম ৷
বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে ৷ এরপরই আয়োজন শুরু করি আমাদের ছোট পিকনিকের ৷ আরো অনেকেই ছিলো বললে তারাও পিকনিক খেতো , তবে আমরা কাউকে বলিনি ৷ আমরা আমরাই শুরু করে দিলাম ৷ যেহেতু মাত্র তিন জন সবাইকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে বিভিন্ন কাজে ৷ ঠিকমতো ফটোগ্রাফি ও করতে পারনি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ যাই হোক , আমরা পিকনিকটা করেছিলাম বাড়ি থেকে কিছু টা দূরে একটা খোলা মাঠে ৷ সেখানে পিকনিক টা করার বেশ কিছু কারণ ছিলো ৷ আর একটা বড় সমস্যা ছিলো সেখানে কারেন্ট নেই ৷ মোবাইলের নিভু নিভু আলোয় সম্পূর্ণ পিকনিক টা শেষ করতে হয়েছে ৷
![]() | ![]() |
---|
যাই হোক , আমাদের রান্না শুরু করি ৷ আমাদের সেরা রাঁধুনি বড় দাদা ৷ সে সব সময় রান্না করেন আমরাও তাকে সাহায্য করি ৷ যত বারও আমরা পিকনিক করেছে তত বারও রাঁধুনি ছিলো এই বড় দাদা ৷ দাদা অবশ্য বেশ ভালোই রান্না করে , তবে মাঝে মাঝে একটু (বুঝে নেন ) ৷ যাই হোক অল্প মানুষ নিয়েও পিকনিক করার একটা মজা আছে , যেটা আমি কাল বুঝতে পেরেছি ৷ সব নিরিবিলি ভাবে গুছিয়ে নিচ্ছি আমরা আমরাই ৷ কোনো ঝামেলা নেই ৷ বাকিরা থাকলেও বেশ মজা হতো , গান-বাজনা থাকতো তবে গতকালের ছোট পিকনিকে সেসবের কিছুই ছিলো না ৷ তবুও ভালোই হয়েছে ৷
![]() | ![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() | ![]() |
---|
দাদা একটার পর একটা রান্না করেই যাচ্ছে ৷ আমরা দুজনও তাকে সমান ভাবে সাহায্য করেই যাচ্ছি ৷ প্রথমে দাদা ভাত রান্না করলো এরপর মুরগির মাংস সবজি আর বিভিন্ন চপ ৷ যাই হোক রান্না করার সময় অনেক ইতিহাস হয়ে গেছে সেগুলো না বলি ৷ এরপর রান্না শেষ করতে করতে দশটার কাছাকাছি বেজে গেছে ৷ চারদিকে আবহাওয়া কেমল ছিলো বুঝতেই পারছেন ৷ কারণ শীতের দিন ৷ বিশেষ করে আমাদের চারপাশটা ছিলো খোলা মেলা জায়গায় ৷ যাই হোক রান্না শেষ করে খেতে বসি ৷ সব কিছুই ছিলো প্রয়োজনের একটু বেশি তাই খাওয়ার পরও বেচে গেছে ৷ যাই হোক , অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করি শীতের রাতে ছোট এই পিকনিকের আয়োজন করে৷ বেশ ভালোই কেটেছে সময়টা আর খাওযা দাওয়া ৷ দাদা যে ভালো রান্না করে তা গতকাল আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে ৷
![]() | ![]() |
---|
ক্যামেরাঃ realme C11
লোকেশনঃ https://w3w.co/slotted.inward.quartered
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ৷
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমার কিন্তু পুরো পিকনিকটা দারুন লাগলো 😍
আপনার দাদা বেশ পারদর্শী একজন মানুষ বেশ একা হাতে সমস্ত রান্না করে গেলেন। ভাত, মুরগির মাংস, চপ আরো কতো কি 😋
তবে আলোক সল্পতায় হয়তো আরো কিছু ভালো ছবি মিস করলাম। তবুও এরকম হুট হাট পিকনিক দারুন লাগে।
পুরো বিষয়টি দারুন উপভোগ করলাম 🤗
শীতের রাতে পিকনিক খাওয়ার অনুভূতি পরে ভালো লাগলো। আপনার দাদা তো চমৎকার চমৎকার রান্না করেছেন। ভাইয়া আপনারা তো জমিয়ে খেয়েছেন। আপনার অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
তিন জনে মিলে পিকনিক খেয়েছেন তিনজনে মিলে বাজার করে অনেক সুন্দর একটি পিকনিকের আয়োজন করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে যে অনেক মজার হয়েছিল।তবে অনেক এনজয় করে খেয়েছেন মনে হয় মানুষ যখন কম।
তিনজন মিলে তো দেখছি বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। শীতের রাতে এভাবে পিকনিক করার মজাটাই অন্যরকম। অনেক কিছুই রান্না করলেন আপনার দাদা তো দেখছি বেশী ভালোই রান্না করতে পারে। ছবিতে দেখতে পাচ্ছি উনি মুখে লাইট নিয়ে রান্না করছেন আপনারা একটু লাইট টি ধরতেও পারেননি হাহাহা। যাই হোক খাওয়া দাওয়া তাহলে মোটামুটি ভালোই হল।বিশেষ করে শীতের রাতে করার কারণে মনে হয় আপনারা একটু ভালো মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরেছেন।
ভাইয়া তিনজন মিলে তো দারুন পিকনিক করলেন। আমাকে বললেও পারতেন।😃 দাদা খুব ভাল রাধুনি দেখা যাচ্ছে। খাবারগুলো লোভনীয় হয়েছে। আপনি তাদের নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। এই শীতে পিকনিক খুব ভাল লাগে। তবে মানুষ বেশি হলে বেশি ভাল লাগে। যাক তিন জনে তো ভালোই মজা করলেন।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
রাতের বেলায় এভাবে পিকনিক করেছেন আপনারা তিনজনে মিলে বেশ ভালই মুহূর্ত কাটালেন তাহলে। এরকম খাওয়া দাওয়া করতে ভীষণ ভালো লাগে। আর তা যদি হয় পিকনিকের মত তাহলে তো কোন কথাই নেই। বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন তাহলে তিনজনে মিলে।খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই লোভনীয় হয়েছে খেতে এবং আপনারা খুবই মজা করে খেয়েছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো এত সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করেছেন।