ছোট বেলার ছোট একটি ভৌতিক ঘটনা ৷
হ্যালো বন্ধুরা.. সবাইকে স্বাগতম,
আমার বাংলা ব্লগে
আমার বাংলা ব্লগে
বাংলা ২৮ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রিয় বন্ধুরা আমার , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন ৷ আমিও ভালো আছি ৷ তো প্রতিদিনের নেয় আজকও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমি নিরব বাংলাদেশ থেকে ৷ তো বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ভৌতিক ঘটনা ৷ আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ৷
সময়টা আজ থেকে কয়েক বছর আগের ৷ যখন আমি অনেক ছোট ছিলাম ৷ হয় তো ক্লাস টু কিংবা থ্রি অথবা আরো ছোট ছিলাম ৷ সময়টা ঠিকঠাক মনে নেই তবে সে দিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাটা আজও মনে পড়ে ৷ সেদিনের ঘটনা আসলে কি ছিলো আজও ভেবে পাই নাহ ৷ এমন কয়েকটা ঘটনা আমার সাথে ঘটেছিল যেগুলো সত্যি অনেক ভয়ের ছিলো আমার জন্য ৷ এর মধ্যে ছোট একটা ভয়ের ঘটনা আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো জানি নাহ আপনাদের কেমন লাগবে ৷
বর্তমান সময়ে রাস্তা ঘাটে মানুষের অভাব নেই ৷ সারা রাত মানুষ চলাচল করে রাস্তা ঘাটে ৷ তখনকার সময়ে এমন মানুষ চলাচল করতো না ৷ রাত নয়টা বাজলেই অনেক নিচুপ হয়ে যেতো পাড়া ৷ আগে জঙ্গল গুলোও ছিলো একটু বেশি ভয়ের ৷ তো সেদিন আমাদের বাড়িতে কিসের যেন একটি অনুষ্ঠান ৷ বিকাল বেলা খাওয়া দাওয়া করে আড্ডায় বসেছিলাম আমি সহ আমার মতো ভাই বোনরা ৷ সবাই ছিলাম ছোট ছোট কিন্তু একটা দাদা ছিলো বড় চাকুরীজীবি ৷ হঠাৎ আমরা ছোট ভাই বোনরা দাদার কাছে কিছু খাবো বলে বায়না করলাম ৷ বাড়ি থেকে একটু দূরেই বাজার ছিলো ৷ রাস্তা দিয়ে গেলে একটু বেশিই ঘুরা হয় ৷ আর সোজা সুজি গেলে কাছেই কিন্তু একটু জঙ্গল দিয়ে যেতে হয় ৷ তো দাদা খাওয়াবে নাহ আমরাও ছাড়বো নাহ ৷ শেষমেশ দাদা আমাদের সাথে না পেরে রাজি হয়ে গেলো ৷ তখন প্রথম সন্ধ্যা নেমেছে ৷ তারাতারি বাজার যাওযার জন্য সোজাসুজি হাটা শুরু করলাম ৷ আমরা দাদা সহ চার জন ছিলাম ৷ যাওয়ার পথে জঙ্গলটা ছিলো একটু ভয়ের ৷ সেই জঙ্গলে বেশ কয়েক জন মানুষের কবর আছে ৷ তো বাজার যাওয়ার সময় সন্ধ্যার চিকন আলোয় চলে গেলাম ৷ আসার সময় ছিলো বিপতি
বাজার থেকে তারাতারি বাড়ি ফেরার জন্য সেই সোজাসুজি রাস্তায় বেছে নিলাম ৷ তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে ৷ সময়টাও ছিলো শীতকালীন শুরুর দিকে ৷ আমরা চার জন জঙ্গলের পথে বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশ্যে নিয়ে আসতেছি ৷ চারদিকে অন্ধকার আর কুয়াশা ৷ একটু একটু ঠান্ডা আর বাতাস লাগছে গায়ে ৷ দাদার ছোট বাটান ফোনের আলোয় আমরা চার জন আসতেছি ৷ আসার সময় চার জনের মধ্যে নানান গল্প হচ্ছে ৷ জঙ্গলের ভিতর দিয়ে আসার আগেই একটু ভয় ভয় লাগছিলো ৷ জঙ্গল পার হলেই বাড়ি ৷ দাদুর কাছে এই জঙ্গের অনেক গল্প শুনেছি ৷ জঙ্গলে প্রবেশের আগেই কেউ একজন বলো জঙ্গলটা অনেক ভয়ের ৷ শুনেই মনের মধ্যে যতসব ভয় ভিতির চিন্তা ঢুকেছে ৷ দাদা বললো কিছু হবে না চল যাই ৷ আমরাও কিছু না ভেবে জঙ্গলের পথে হাটা শুরু করলাম ৷ যদিও মনের ভিতর অনের ভয় কাজ করছিলো ৷ চার দিক নীরব , শীর শীর বাতাস , অন্ধকার কুয়াশা সব মিলে থম থম একটি পরিবেশ ৷ আমরা আসতেছি হঠাৎ ছোট একটা ভাই বলে উঠলো দাদা দেখ ওইটা কি ? হঠাৎ বলায় অনেক ভয় পেয়ে আমরা বলাম কই ? আমি তাকাতেই দেখলাম সাদা কাপড় পড়ে কেউ দারিয়ে আছে যেন ৷ বাটাম ফোনের হালকা আলোতে তাই মনে হলো ৷ কুজো বুড়ি সাদা ধবধবে শাড়ি পড়ে দারিয়ে আছে এমন কিছু একটা দেখলাম ৷ দাদা বললো চল তারাতারি ৷ আমি তো ভয়ে শেষ ৷ সোজাসুজি হাটা শুরু করলাম বাড়ির উদ্দেশে ৷ তখন কার পরিস্থিতি আমার কি ছিলো বলে বোঝাতে পাড়বো না ৷ অন্য তিন জনের খবর জানি নাহ ৷ কিন্তু আমি ভয়ে ঠিকঠাক মতো হাটতে পারছি না ৷ হাত পা সব কাঁপছে ভয়ে ৷ মনের মধ্যে যতসব ভয় ভিতির চিন্তা কাজ করছে ৷ কি দেখলাম ভাবতে ভাবতে আমি শেষ ৷
বাড়ি এসে এসব গল্প করার সময় দাদা আর একটা বোন বললো ওরা কিছুই দেখেনি ৷ আমি আমার কথা বললাম , ভাইটাও বললো সেই সাদা কাপড় পড়ে কাউকে দারিয়ে থাকতে দেখেছে ৷ আমরা দুজন দেখলাম ওরা দুজন দেখলো নাহ বিষয়টা কেমন লাগলো ৷ সেদিনের পর থেকে আমি একা রাতে ঘর থেকে বেরতে পারতাম নাহ ৷ অনেক বেশি ভয় পেয়েছি ৷ কি ছিলো ওইটা ? আসলে তখন ভয়ে দারিয়ে দেখার মতো পরিস্থিতি ছিলো না , সেটা কি ছিলো ভুত নাকি অন্য কিছু ৷
এখনো সেই সময়ের কথা মনে পড়লে ভয় লাগে , আর নিজে নিজে ভাবি কি ছিলো ওটা ? ভূত নাকি অন্য কিছু , নাকি মনের ভুল নাকি চোখের ভুল ৷ সেদিন হয় তো ভালো করে দেখলে বোঝা যেতো কিন্তু ভয়ে নিজের যা অবস্থা তাতে সেখানে দারারোর মতো শক্তি ছিলো না ৷সেই ঘটনা আমার জন্য সত্যিই অনেক ভয়ের ছিলো ৷আপনাদের কেমন লাগলো জানি নাহ ৷ কিন্তু আমি এখনো মাঝে মাঝে ভাবি , কি দেখলাম আমি , কি ছিলো ওটা ?
আপনার ভূতের গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনার গল্পটি পড়ে আমার ছোটবেলার দাদা বাড়ির কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের দাদাবাড়ীতে ওরকম চিকন রাস্তা ছিল ।দুই পাশে ছিল জঙ্গল আর জঙ্গলের মধ্যে ছিল কবর ।একদম হবুহু আপনার গল্পের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। সেই জঙ্গলে অনেক ভয়ের ভয়ের ঘটনা শুনেছিলাম। আমরা যখন রাতের বেলা জঙ্গলের মধ্যে ঐ রাস্তা দিয়ে আসতাম তখন আমাদের ভয়ে গা ছমছম করতো ।যেন আপনার গল্পের মতই ।সত্যিই চমৎকার ছিল ।অবশ্য আমরা কোনদিন কিছু দেখিনি ।আপনি সত্যিই কিছু দেখেছিলেন নাকি আপনার মনের ভুল ?কে জানে।যাই হোক গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু গল্পটা পড়ে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য ৷
ভূতের গল্পটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে শেষের দিকে পড়ে আমি একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আপনি বলেছেন আপনি ভয় পেয়ে গেছেন ওই দিনটি ছিল আপনার ভয়ের আমরা হলেও এক রকমই ভয় পেতাম। আর আমি হলে তো কথাই নেই। হয়তো হেঁটে আর বাড়িতে আসতে পারতাম না ওখানে মাথা ঘুরে পড়ে যেতাম। তবে আমি কখনো কোন ভূতের কিছু দেখিনি। নানু ও দাদুর কাছে উনাদের সময়ের কিছু ভূতের কথা শুনেছি। আপনাকে ধন্যবাদ আপনার ছোটবেলার একটি ভুতুড়ে ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমি দেখেছি ভুতের মতো কিছু একটা ৷ কিন্তু কি ওটা কে জানে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ৷
আমি খুবই আগ্রহ নিয়ে গল্পটি পড়েছি আর ভাবছি এখন যদি আমি ছোট হতাম আর গল্পটি আমাকে কেউ পরে শুনাতো তাহলে আজ রাতে ওয়াশরুমে যাওয়া হতো না ভয়ে 😂....তবে এখন হাসি পাচ্ছে
হ্যা ওমন অবস্থা হতোই ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
এই ভূতের গল্প পড়ে তো আজ আমার ঘুম শেষ।সত্যি বলতে দাদা ভূতের গল্প পড়তে যতটা মজার পড়া শেষ হলে একটা ভয় ডুকে যায় মনে।দাদা আমার মনে হচ্ছে সাদা টা ছিল ভূত।একসাথে চারজন ছিলেন তো তাই।একা হলে কিন্তু শেষ করে দিত😥😥😥।ধন্যবাদ