তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্রিজে কিছু সময়
সেদিন হঠাৎ করেই বের হয়েছিলাম ডালিয়া ব্রিজ দেখার উদ্দেশে ৷ আগেভাগে কোনো চিন্তা ভাবনা ছিলো নাহ ৷ হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত আর হঠাৎ করেই ঘুরতে বের হওয়া ৷ দিনটা ছিলো বৃহস্পতিবার , আকাশের ওয়েদারও ছিলো মোটামুটি ভালো ৷ বড় দাদা সহ বের হয়েছিলাম তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্রিজ দেখার উদ্দেশ্যে ৷ আগে কখনো যাওয়া হয়নি আমার সেখানে , সেদিন ই প্রথম বার গিয়েছিলাম ৷ দাদাও প্রথম বার গিয়েছিলো ৷ আমরা বের হয়েছিলাম বারোটার নাগাদ ৷ রাস্তাঘাট সব অচেনা , গুগল ম্যাপ দেখে আমাদের ছুটে চলা ৷ আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটা অবস্থিত ৷ লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী নামক স্থানে তিস্তা নদীর উপর ডালিয়া ব্রিজ অবস্থিত।
জায়গাটা মোটামুটি দর্শনী ৷ তিস্তা ব্রিজ ও সেচ প্রকল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে বিনোদন স্পট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর তিস্তার ব্রিজের উজানে বাঁধ দিয়ে ঘেরা কৃত্রিম জলরাশি, সেচ বাইপাস খাল, বনায়ন আর পাথর দিয়ে বাধাঁনো পাড় সব মিলে এক মনোরম পরিবেশ। অনেকেই এখানে ঘুরতে আসে , আমরাও সেদিন গিয়েছিলাম ৷ সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের দুপুর দুইটা বেজে যায় ৷ তখনকার ওয়েদার রোদ্দুর ৷ প্রচন্ড রোদ পড়ছে আর ভ্যাপসা গরম , সব মিলিয়ে আমাদের অবস্থা বারোটা ৷
প্রথম বার যেহেতু এখানে , সেহেতু সব কিছুই আমাদের অচেনা ৷ আমরা গিয়েই ব্রিজের মাথায় দারিয়ে পড়লাম , ছায়া ঘেরা বাগানের নিচে অনেক গাছপালা তবে ভ্যাপসা গরমে থাকা যাচ্ছে না ৷ কথায় কি আছে তাও জানি নাহ , মানুষকে জিগ্গাসা করে চলে গেলাম একটা হোটেলে ৷ সেখানে দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিয়ে কিছুটা সময় আড্ডা দিলাম ৷ সময় বেজে গেলো সাড়ে চারটা ৷ হোটেল থেকে বেরিয়ে চলে আসলাম আবার ব্রিজে ৷ সময়টা বিকাল বেলা হওয়াতে ব্রিজে এবং নদীর তীরে লোক সংখ্যা বেড়েছে বেশ কিছুটা ৷ আমরাও ব্রিজে কিছুটা সময় আড্ডা দিলাম এবং চারপাশের দৃশ্যে গুলো উপভোগ করলাম ৷ এরপর চলে গেলাম নদীর তীরে ৷
নদীর তীরে সাড়ি সাড়ি নৌকা বাধা , আপনি চাইলেই এই নৌকায় নদী ঘুরে আসতে পারবেন কিছু টাকার বিনিময়ে ৷ আমরা দেখলাম মাত্র , উঠলাম নাহ ৷ মাঝি নেই নৌকায় , আর নদীতে পানিও বেশি নেই ৷ এসময় মানুষের আনাগোনা এখানে একটু কম ই হয় ৷ নদী যখন পানিতে ভরা থাকে তখন এই নদী দেখতে আরো বেশি সুন্দর এবং আর্কষনীয় লাগে ৷ আর তখনই মানুষের আনাগোনা এখানে বেশি হয় , আমরা অনেকটা অবেলায় চলে এসেছি ৷
তবুও বেশ ভালোই লাগছে ৷ ব্রিজের ৫২ টা গেটের মধ্যে দুটা গেট খোলা ছিলো তখন ৷ আর সেই দুটা গেট দিয়েই এতো পানি যাচ্ছে , যে পানির শব্দ শুনেই ভয় লাগছে ৷ কিছু দূরেই জেলারা মাছ ধরছে নৌকায় বেশ ভালোই লাগছে এসব দেখে ৷ অনেকেই আবার স্নান করছে নদীর পাড়ে ৷ তাদের স্নান করা দেখে আর আকাশের রোদ্দুর অবস্থা দেখে আমারও স্নান করার ইচ্ছে করছে , তবে উপায় নেই বলে করতে পারিনি ৷ নয়তো আমিও স্নান করে আসতাম তিস্তা নদীর তীরে ৷
আমার পছন্দের জায়গায় গুলো মধ্যে নদী অন্যতম ৷ নদীর তীরে সময় কাটাতে আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে ৷ তাই এখানেও এসে প্রচন্ড ভালো লাগছে ৷ ভালো লাগার মাঝে চার পাশে দৃশ্যে গুলোর মাঝে মাঝে ফটোগ্রাফি করতে ভুলিনি ৷
সময় যখন বিকাল সাড়ে পাঁচটা , তখন আমরা বেরিয়ে পড়ি সেই জায়গায় থেকে ৷ যেটুকু সময় সেখানে ছিলাম বেশ ভালো কেটেছিলো ৷ এরপর শেষ বিকেলে ফুরফুরে বাতাস গায়ে লাগিয়ে বাড়ির পথে চলতে শুরু করি ৷
ক্যামেরাঃ realme C11
লোকেশনঃ https://w3w.co/slotted.inward.quartered
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই ৷ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ ধন্যবাদ সবাইকে ... শুভ রাত্রি
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হয়তো সবগুলা গেট খুলে দিলে নদীতে স্রোত চলে। ৫২ টায় গেট মানে অনেক দীর্ঘ ব্রিজ। তবে সৌন্দর্যের কথা বলতে গেলে নদীর ঘাটে বাধা সারসারি নৌকাগুলো আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ ভাইয়া ব্রিজের দীর্ঘ অনেকটাই ৷ ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ৷
বন্ধু ঈদের ঘুরাঘরি করছিস বুঝি ৷ডালিয়ার ব্রিজ বেশ জনপ্রিয় জায়গা একটা ৷ আর বেশ বড় ব্রিজ আমি অনেকদিন আগে গিয়েছিলাম ৷ তবে আমি বর্ষার সময় গিয়েছি তাই প্রায় বেশি গেট খোলা ছিল ৷ যা হোক বড় দাদা সহ বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিস সেখানে ৷ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
হ্যাঁ সেখানে কাটানো মুহূর্ত সুন্দর ই ছিলো ৷ ধন্যবাদ তোকে সুন্দর মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
বাহ ব্রিজের নামটা খুব সুন্দর তো। আমার কাছে "ডালিয়া"নাম অনেক ভালো লেগেছে। ব্রিজের নাম যেমন সুন্দর তেমনি জায়গাটাও অনেক সুন্দর। নদীর তীরে ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে আর এত সুন্দর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
ডালিয়া নামটা আমারও বেশ ভালোই লাগে ৷ নামের সাথে সেখানের জায়গাটাও বেশ সুন্দর ৷ ধন্যবাদ আপনাকে
তিস্তা নদীর উপরের ডালিয়া ব্রিজটি আসলেই অনেক দৃষ্টিনন্দন।খুবই ভালো লেগেছে আমার।আপনারা চমৎকার সময় কাটিয়েছেন এখানে বোঝাই যাচ্ছে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ব্রিজের ৫২ গেইটের মধ্যে দুটো খোলা ছিল।আর দুটো দিয়ে অনেক জল যাচ্ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ , আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
এই জায়গাটাতে আমিও ঘুরতে গিয়েছিলাম বছর দুয়েক আগে মনে হয়। দারুন একটা জায়গা। বিকেলের দিকে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আমি নদীর পাড়ে বসে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম। আর ফেরার পথে নদীর টাটকা মাছ নিয়ে ফিরেছিলাম। আপনার লেখাগুলো এবং ছবিগুলো দেখে সেদিনের কথা ভীষণ মনে পড়ে গেল ভাই।
যাক ভালো লাগলো , আপনিও এই জায়গাটা ঘুরেছেন জেনে ৷ তবে জায়গাটা আসলেই দারুণ ৷ ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন তিস্তা নদী ডালিয়া ব্রিজ। ব্রীজের নামটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।ডালিয়া নামটা অনেক সুন্দর একটি নাম।অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি ও করেছেন। আপনার আনন্দময় কিছু সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ , আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
বেশ সুন্দর কিছু প্রকৃতির ছবি দেখলাম। তিস্তা ব্রীজ যে এত সুন্দর সেটা আগে জানাছিল না। কারন এর আগে আমি তিস্তা ব্রিজ দেখিনি। যেহেতু এই ব্রিজে ৫২টি গেট আছে তাহলে অবশ্যই ব্রীজটি বেশ বড়ই হবে। আপনি মনে হয় অনেক উপভোগ করেছেন তিস্তা নদীর দৃশ্য।
হ্যা আপু নদীর দৃশ্যে গুলো আমি বেশ ভালো ভাবে উপভোগ করেছি ৷ অনেক সুন্দর ছিলো সেখানের কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত ৷ ধন্যবাদ আপনাকে