বিকালের ঘোরাঘুরি।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আজকে আমার বর মশাই বাড়ি থাকায় সকাল থেকে ইচ্ছা করছিল বিকেলবেলা একটু ঘুরতে যাওয়ার। তাই সব কাজ তাড়াতাড়ি সেরে নিলাম বিকাল বেলা একটু আশেপাশে থেকে ঘুরে আসার জন্য। বিকাল হতেই ঝটপট রেডি হয়ে গেলাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আমাদের সব সময়ের সঙ্গী আমাদের বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমে কিছু কাজ ছিল যেগুলো করে নিলাম। আজ যেহেতু শনিবার আমাদের এখানে শনিবারের হাট বসে। তাই ঘুরতে ঘুরতে গেলাম সেই হাটে। যদি কিছু পছন্দ হয় অথবা কিছু প্রয়োজন বলে মনে হয় তাহলে একেবারে কিনে নেওয়া যাবে। সে কথা ভেবেই হাটে গিয়ে বাইক রাখতে গিয়ে দেখলাম বাইক রাখার জন্য আবার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এই বাইক রাখার ব্যাপারটা আগে ছিল না। এখন মানুষ প্রতিনিয়ত মাথা খাটিয়ে চলেছে কি উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায় সেই ব্যাপারে খুবই সচেতন হয়ে গেছে সেটা আজকে এই হাটে এসেই বুঝতে পারলাম। আমরা একটা কাকুর দোকানের সামনে বাইকটা রেখে হাটের ভেতরে প্রবেশ করলাম।
অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে অনেক দোকান দেখেও তেমন কিছু পছন্দ হলো না। আর কিছু দরকার বলেও মনে হলো না তাই কিছুক্ষণ হাটের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে বেরিয়ে এলাম। বাইরে রাস্তার দুপাশেও অনেক দোকানপাট বসেছে। যেহেতু এখন শীতকাল পড়েছে তাই কিছু ভ্যানে করে দেখলাম ফুলের চারা নিয়ে এসেছে। রাস্তার একপাশে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দোকান এবং অন্য পাশে খাবারের দোকান লাইন দেওয়া রয়েছে। বেশ অনেক মাস পর এই হাটে এসেছি তাই সব দোকানগুলো একটু ঘুরে ঘুরে দেখলাম। তবে কিছু কেনার জন্য পছন্দ না হওয়ায় আমরা বেরিয়ে চলে এলাম। তারপর একটি দোকান থেকে একটু মিষ্টি কিনে বড় ঠাকুরের মন্দিরে অর্থাৎ শনি মন্দিরে দিয়ে এলাম। বড় ঠাকুরের মন্দিরে প্রসাদ দিয়ে ঠাকুর প্রণাম করে চলে এলাম একটু সামনেই একটা ফুচকার দোকানের ফুচকা খাওয়ার জন্য। কিন্তু এখানে এসে দেখি এত বেশি ভিড় যে আমাদের অত ধৈর্য নেই এখানে দাঁড়িয়ে থাকার।
তার ওপরে আবার ফুচকার দাদা বলল আলু মাখা শেষ হয়ে গেছে আলু মাখাতে হবে। সে কথা শুনে আমি আর আমার বর মশাই সেখান থেকে চলে এলাম আমাদের বাজারের মধ্যে একটি মোমোর দোকানে। এই দোকানে আমি কখনো কোন খাবার খাইনি, তাই ভাবলাম আজকে এই দোকান থেকে কিছু খাবার কিনে খাওয়া যাক। এই দোকানে কেমন খাবার তৈরি করে? সেটাও জানতে পারবো মূলত সেই কারণেই এই দোকানটিতে যাওয়া। আর ফুচকা যেহেতু প্রায় দিন খাই সেজন্য অতটাও আগ্রহ ছিল না। মোমোর দোকানের সামনে যেতে বাইক রাখার জন্য আরও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। কারণ দোকানের সামনেই একজন টোটো দাঁড় করিয়ে রেখেছিল যে কারণে আমরা বাইকটা রাখতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ পর টোটো চালক এসে টোটো সরানোর পরে আমরা বাইক রেখে ভেতরে গেলাম। এবং মোমোর দোকানের দাদাকে মোমো দিতে বলে আমরা কিছুক্ষণ গল্প করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পরই আমাদের পছন্দের মোমো চলে এলো আমাদের সামনে এবং তার সাথে আমাদের দুজনের জন্য দুই বাটি স্যুপ ও চলে এলো।
আমরা প্যান ফ্রাই মোমো অর্ডার দিয়েছিলাম যার সাথে অন্যান্য দোকানে সুপ দেয় না, কিন্তু এই দোকানে দেখলাম সুপ দিল তাও আবার আমাদের চাহিদা অনুযায়ী। এই দোকানের মোমো যেমন দেখতে সুস্বাদু তেমন খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের এতটাই ভালো লেগেছে যে আমরা ভেবেই নিয়েছি যে এবার থেকে মোমো খেতে হলে এই দোকানেই আসবো। মোমো খেতে খেতে এই দোকানের দাদার সাথে আমরা গল্প করছিলাম। আর এই গল্পের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে এই দোকানটা তার শ্বশুরের। শশুর মশাই তার জামাইকে এই দোকান ব্যবসা করার জন্য দিয়েছে। শশুর জামাইয়ের এত ভালো সম্পর্ক এত ভাল বোঝাবুঝি এই দাদার মুখে শুনে আমাদের খুবই ভালো লাগছিল। দাদার হাতের বানানো এই মোমো খেয়েই বোঝা যাচ্ছে যে অন্যান্য খাবারের আইটেমগুলো অনেক সুস্বাদু হতে পারে। তবে আজকে আর অন্য কোন খাবার খাওয়া হবে না কারণ এই মোমো খেয়ে আমাদের পেট ভরে গেছে। তাই আমরা শুধু মোমো খেয়ে এবার সোজা, বাড়িতে চলে আসলাম। তবে আজকের বিকালটা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক ভালো কাটলো।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
দুজনে মিলে বেরিয়ে তো একেবারে কমপ্লিট প্যাকেজ করেছেন। ফুচকা পাননি বলে আবার মম খেয়ে চলে এসেছেন। তবে সব মিলিয়ে বাইক নিয়ে দুজনে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন কিন্তু। আর সেই সব গল্প পড়ে আমরা সবাই বেশ মজা পেলাম
শীতের সময় মানে নতুন পোশাক পরিধান এবং বাজারে ঘোরাঘুরি করা আর গরম গরম রেসিপি খাওয়া। ঠিক তেমনি আপনার আজকের পোষ্টের মধ্য দিয়ে অনেক সুন্দর অনুভূতি খুঁজে পেলাম। যেখানে খোলা মার্কেট হয়ে মন্দির এরপর খাবারের দোকানগুলোর তে আসা এবং খাবার খাওয়া। সব মিলে অনেকটা জানার সুযোগ করে দিয়েছেন এবং ভালোলাগার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।