ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত নারকেল মুড়ি মাখা রেসিপি।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
ছোটবেলার দিনগুলো সবার কাছেই অনেক মধুর। আমরা প্রত্যেকেই ছোটবেলার দিনগুলো মনে করে অনেক বেশি খুশি হয়ে যাই এবং মুখে একটা আলাদাই হাসি চলে আসে। তেমনি আজকের এই রেসিপিটি আমার মুখের হাসি আসার কারণ হয় প্রতিবার। আসলে ছোটবেলা থেকেই আমি রান্না করতে পারতাম। আসলে কখনো শিখিনি কিন্তু প্রয়োজনে রান্না করতে করতে শিখে গিয়েছিলাম। কিন্তু পড়াশোনার চাপে মাঝেমধ্যেই রান্না করার টাইম হতো না এবং না খেয়ে পড়তে যেতে হতো আবার স্কুলেও চলে যেতে হতো। তাই মা এই নারকেল দিয়ে মুড়ি মাখা করে খাওয়ার পদ্ধতিটা আমাদের শিখিয়েছিল। কিন্তু আমাদের পড়াশোনা ছাড়াও টিভি দেখার জন্য রান্না করতে ইচ্ছা হতো না আবার কখনো রান্না করতে খুবই আলসেমি লাগতো। এমন বিভিন্ন সময় আমরা এমন সহজ এবং কম সময় তৈরি করা খাবার করে খেয়ে নিতাম। ছোটবেলায় আমার আর দিদির অনেক বেশি ক্রাইম পেট্রোল দেখার নেশা ছিল। দুপুর বেলা পরপর একটানা ১১ টা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত ক্রাইম পেট্রোল পুনঃপ্রচার হতো। সকালবেলা যেহেতু আমাদের পড়াশোনা থাকতো এবং টিউশন পড়তে হতো তারপর এসে কোনরকমে কিছু একটা খেয়ে বা কোনদিন বাইরে থেকেই টিউশন থেকে ফেরার সময় খাবার কিনে এনে খেয়ে নিতাম। কিন্তু সমস্যা হতো দুপুরবেলায় ক্রাইম পেট্রোল ছেড়ে কেউই যেতে চাইতাম না। আর এমন সময় বাড়িতে নারকেল থাকলে আমরা প্রায়ই এই খাবারটা তৈরি করে খেতাম, যার ফলে কারোরই ক্রাইম পেট্রোল মিস হতো না। আর এই খাবারটা তৈরি করা যেহেতু একদমই সহজ আর রান্নাঘরে গিয়ে একটুও সময় কাটাতে হয় না তাই আমরা ঘরে বসেই নারকেল দিয়ে খাবারটি তৈরি করে খেয়ে নিতাম দুপুরবেলা। কোন কোন দিন আবার সকালের খাবার হিসেবে বা সন্ধ্যার টিফিনে এই খাবারটা অনেক বেশি খাওয়া হত। ভীষণ সুস্বাদু এই খাবারটি খেতে হয়। যারা মিষ্টি এবং নারকেল খেতে পছন্দ করে তাদের বেশ ভালো লাগবে। তবে চলুন শুরু করা যাক আজকের রেসিপি।
-:নারকেল মুড়ি মাখার উপকরণ:-
নারকেল
মুড়ি
চিনি
-:নারকেল দিয়ে মুড়ি মাখার পদ্ধতি:-
নারকেল দিয়ে মুড়ি মাখার জন্য প্রথমেই আমি একটি ছোট নারকেল পুরোটাই নারকেল কোরানী দিয়ে কুড়িয়ে নিয়েছি। এবং সাথে নিয়ে নিয়েছি তিন চামচ পরিমাণ চিনি।
এক বাটি পরিমাণ মুড়ি নিয়েছি। মুড়িটাকে আর একটু বেশি মচমচে এবং সুস্বাদু করার জন্য শুকনো কড়াইতে ভাজার জন্য দিয়ে দিলাম। মুড়ি দেওয়ার সাথে সাথে নাড়াচাড়া করতে থাকতে হবে নইলে মুড়ি কড়াইতে লেগে পুড়ে যেতে পারে। একদম সাদা রঙের মুড়ি হালকা রং পরিবর্তন এবং সুন্দর মচমচে হয়ে গেলেই কড়াই থেকে নামিয়ে নিলাম।
এবার নারকেল এবং চিনি ভালোভাবে একটি চামচের সাহায্যে মিশিয়ে নিলাম। এবং তার সাথে পাশে নিয়ে নিলাম ভেজে রাখা মুড়ি।
এবার একটু মুড়ি এবং একটু চিনি দিয়ে মাখা নারকেল নিয়ে মাখি মাখিয়ে খেতে হয়। যদিও নারকেল চিনি এবং মুড়ি সব একসাথে মেখে নেওয়া যায় কিন্তু সে ক্ষেত্রে মুড়ি নরম হয়ে যায় এবং শেষের দিকে খেতে অতটা ভালো লাগে না। তাই অল্প অল্প করে মাখিয়ে খেতে থাকলে মুড়ি নরম হতে পারে না এবং শেষ অব্দি সুন্দর স্বাদ করে খাওয়া যায়।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
https://x.com/pussmemecoin/status/1948245171772277025
https://x.com/PussFi_FNDN/status/1948373593987207235