একজন পুরুষের উপর নির্ভর করে নারীর সৌন্দর্য।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
নারী যতই শরীরের উপর লোশন ক্রিম বা বিভিন্ন ধরনের রূপচর্চার সামগ্রী ব্যবহার করুক না কেন তার মন যদি ভালো না থাকে মুখে হাসি যদি না থাকে তাহলে কখনোই তার সৌন্দর্য বহিঃপ্রকাশ পাবে না। কারণ মনের সাথে শরীরের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকবে এবং শরীর ভালো থাকলে তার সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ অবশ্যই হবে। আর একটি নারীর সৌন্দর্য সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার পুরুষ মানুষটির ওপর। কারণ তার প্রিয় মানুষ তার স্বামী যদি তাকে অবহেলা করে ভালো না বাসে তাহলে একটি নারীর জন্য এর চেয়ে বড় দুঃখের কিছু হয় না। আর পুরুষের প্রতিনিয়ত অবহেলা এবং এড়িয়ে চলা প্রতিনিয়ত একটি নারীর জন্য দুঃখের এবং কষ্টকর হয়ে থাকে। আর যেসব নারী এইসব অবহেলা প্রতিনিয়ত সহ্য করে চলেছে তাদের মন কখনোই ভালো থাকে না। পুরুষ মানুষ যদি তার অর্ধাঙ্গিনীকে সঠিক মর্যাদা না দেয় বা ভালো ব্যবহার তার সাথে না করে তাহলে নারী প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং নিজেকেই অবহেলা করতে শুরু করে। কিছু কিছু পুরুষ মানুষ আবার আছে যারা তাদের স্ত্রীকে কোন কারন ছাড়াই সন্দেহ করে এবং বাড়িতে জেলখানার মতন করে আটকে রাখে। আর এমন ভাবে কখনোই কোন সুস্থ মানুষ বাঁচতে পারে না।
আবার কোন পুরুষ মানুষ যদি ওভার প্রটেক্টিভ হয়ে থাকে এবং নারীকে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে নিয়মের জালে বেঁধে রাখতে চায়। তাহলেও একটি মানুষের এইভাবে বেঁচে থাকা অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে ওঠে। আর এইভাবে হয়তো তারা নিজেরাও ভালোভাবে বাঁচতে পারবে না। যে সব পুরুষ মানুষেরা প্রতিনিয়ত শাসন বারণ এর মধ্য দিয়ে নারীকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে তাদের নারীরা কখনোই তাদের কাছে সুখী হতে পারে না। আর নারী যখন অসুখী থাকে তখন সে যতই হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুক না কেন তাকে দেখলে অবশ্যই বোঝা যাবে যে সে সুখী নয়। আর এইসব অসুখী নারীরা প্রতিনিয়ত অন্য কাউকে সুখী দেখলে অথবা অন্য কোন নারীর আদর্শ স্বামীকে দেখলে গভীর কষ্টের সাথে মনে করে থাকে যে, এমন স্বামী যদি তাদের হতো তাদের জীবনটা অনেক সুখের হতো। যেকোনো নারীর অর্থ সম্পদের আগে প্রয়োজন একটি আদর্শ জীবনসঙ্গীর। যে তাকে বুঝবে আর তাকে মন থেকে অনেক বেশি ভালবাসবে। আর এমন জীবনসঙ্গী পেলেই এবং সেই জীবনসঙ্গীর একটু যত্ন ভালোবাসা পেলেই তাদের মন অনেক বেশি ভালো থাকে এবং মনের সাথে সাথে শরীরও সুস্থ থাকে।
নারী যখন তার মনের মত জীবনসঙ্গী পেয়ে যায় আর তার সাথে সুখে শান্তিতে সংসার করতে পারে তখন তার এই সুখ শান্তির জন্যই তার মুখে অন্যরকম একটা সৌন্দর্য বহিঃপ্রকাশ পায়। পুরুষ ভালোবাসায় একটি নারীর জীবন সৌন্দর্যে ভরিয়ে দিতে পারে আবার পুরুষের অবহেলায় একটি নারীর জীবনকে খারাপ করে দিতে পারে। নারীর সৌন্দর্যের জন্য পুরুষের তেমন বেশি কিছু অর্থব্যয় বা পরিশ্রম করার প্রয়োজন হয় না। নারীর সৌন্দর্য আসে শুধুমাত্র পুরুষের ভালো ব্যবহারে, বোঝাবুঝি, অনেক বেশি ভালোবাসায় এবং যত্নে। পুরুষ যদি তার স্ত্রীকে এক বুক ভর্তি ভালোবাসা দেয় তবে নারী তার পুরো জীবনকেই সেই পুরুষের নামে উৎসর্গ করে দেয়। একজন নারী নিজের যত্ন নেয় সাজগোজ করে এমনকি ভালো একটা জামা পরে তার প্রিয় মানুষটির জন্য। আর সেই মানুষটি যদি তাকে সমান ভাবে মর্যাদা দেয় তবে সেই নারী নিজেকে ভালো রাখার এবং তার ভালোবাসার মানুষকেও ভালো রাখার আরো বেশি চেষ্টা করে। পুরুষ মানুষের ভালোবাসা পেলে একটি নারী পুরো সংসারকে ভালোবেসে আগলে রাখতে পারে। কিন্তু পুরুষ মানুষের অবহেলা এবং ঘৃণা প্রত্যেকটি নারীকে অগোছালো করে তোলে। যার ফলে সে নিজের যত্ন রাখা তো দূরে থাক নিজের প্রতি ভালবাসাই ভুলে যায় এবং সাথে সে পরিবারের মানুষের যত্ন করার ক্ষমতা ও হারিয়ে ফেলে।
আমি দেখেছি অনেক নারী এবং পুরুষ আছে যাদের দেখলে বোঝাই যায় না যে তাদের অনেক বছর হয়ে গেছে বিবাহিত জীবন চলছে। দীর্ঘ বছর বিবাহিত জীবন পার করেও তাদের দেখলে মনে হয় যেন তারা সদ্য বিবাহিত। আসলে তাদের মধ্যে ভালোবাসাটা এখনো নতুনের মতনই রয়ে গেছে। প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে তারা নতুন করে বাঁচে, স্বামী স্ত্রী একে অপরের সঙ্গ তারা প্রতি মুহূর্তই নতুন করে উপভোগ করে। তাই তাদের জীবনে কখনো ভালোবাসার অভাব হয় না এবং একে অপরের প্রতি যত্নশীল মনোভাবেরও কখনো অভাব ঘটে না। তাই তাদের সম্পর্কের সৌন্দর্যের মতো শরীরেরও সৌন্দর্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পায়। একটি নারীকে যদি সংসারী মায়াবী এবং যত্নশীল করতে হয় তবে আগে পুরুষের নিজেকে তার নারীর প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং তাকে অনেক ভালবাসতে হবে। নারীকে বাইরে থেকে শরীরে গ্লোয়িং ক্রিম বা রূপচর্চার সামগ্রী লাগানোর প্রয়োজন নেই, পুরুষের একটু ভালোবাসা, একটু সময়, একটু সুন্দর মুহূর্ত, ভালো ব্যবহার, অনেক বেশি যত্ন দিলেই নারীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই নারীর সৌন্দর্য নির্ভর করে পুরুষের ওপর।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
আপু আপনার রাইটিং গুলা আমার ভীষণ ভালো লাগে। খুবই সুন্দর লেখেন। সব সময় আপনার জেনারেল পোস্টগুলো করার চেষ্টা করি। একজন পুরুষের উপর নির্ভর করে নারী সৌন্দর্য দারুন লিখেছেন। নারী বড়ই অদ্ভুত পুরুষের ভালোবাসায় পুরোটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে। বিবাহিত জীবনে যদি পুরুষ মনের মত হয় তাহলে তার পুরোটা জীবন আনন্দের সাথে কাটবে মনে হবে প্রতিদিন যেন নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছি। ভীষণ ভালো লাগলো আপু আপনার লেখাগুলো ধন্যবাদ।
বাহ বেশ চমৎকার লিখেছেন তো আপু।আসলে নারীর সৌন্দর্য শুধু সাজগোজের ওপর নয়, বরং তার মন ভালো থাকার ওপরও নির্ভর করে। যদি স্বামী ভালোবাসা ও সম্মান না দেয়, তাহলে নারী কষ্ট পায় এবং তার সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। ভালোবাসা ও যত্ন পেলে নারী সুখী হয় এবং সংসারকে সুন্দরভাবে আগলে রাখে।তাই নারীর আসল সৌন্দর্য ভালোবাসা, যত্ন ও সম্মানের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপু ধন্যবাদ।
সত্যি ই তাই দিদি একজন পুরুষের সঠিক ক্যায়ারিংয়ের উপর একজন নারীর সৌন্দর্য ফুটে উঠে।মনের মতো হাসবেন্ড হলে তার অন্য কোন প্রসাধনীর দরকার হয়না।হাসবেন্ডের ভালোবাসা,বোঝার আন্তরিকতা,মূল্যায়ন ই তাকে অনেক বেশী সজীব করে তোলে।