চিংড়ি মাছ দিয়ে কুমড়ো আলুর তরকারি রেসিপি।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমার বিভিন্ন রকমের মাছ খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনই ভালো লাগে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি খেতে। আসলে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আর আলুতে একটু ফ্যাট থাকলেও কুমড়াতে কিন্তু রয়েছে অনেক গুনাগুন। প্রায় বারো মাসে এই মিষ্টি কুমড়া বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এই মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন। এই মিষ্টি কুমড়ো আমাদের শরীরের থেকে দূষিত পদার্থ গুলি বের করতে সাহায্য করে, এছাড়াও আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে, ওজন কমাতে এবং ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে সাহায্য করে। তাই মাঝে মধ্যেই আমাদের বিভিন্নভাবে রান্না করে কুমড়ো খাওয়া উচিত। এই মিষ্টি কুমড়া খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে এবং যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন এই মিষ্টি কুমড়া খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। তাই আজকে আমি মিষ্টি কুমড়া দিয়ে আলু দিয়ে এবং সাথে চিংড়ি মাছ দিয়ে সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করব বলে ভেবেছি। তবে চলুন আপনাদের সাথেও শেয়ার করে দিই এই সুস্বাদু কুমড়ো আলু দিয়ে চিংড়ি মাছের তরকারি রেসিপি।
-: মিষ্টি কুমড়ো, আলু ও চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্নার উপকরণ:-
কুমড়ো
আলু
চিংড়ি মাছ
কাঁচা লঙ্কা
হলুদ
লবণ
গোটা জিরে
তেল
-: চিংড়ি মাছ দিয়ে কুমড়ো আলুর তরকারি রান্নার পদ্ধতি:-
তরকারি রান্না করার জন্য প্রথমেই আমি নিয়ে নিলাম পরিমাণ মতো চিংড়ি মাছ। ভালো করে বেছে পরিষ্কার জলে বেশ কয়েকবার ধুয়ে নিয়েছি, ওই এক মুঠো মতো হয়েছে চিংড়ি মাছের পরিমাণ। এবার পরিমাণ মতো কুমড়ো চৌকো করে কেটে নিলাম এবং তার সাথে দুটো বড় আকারের আলু চৌকো করে কেটে নিয়েছি। সাথে চারটে কাঁচা লঙ্কা চিড়ে নিলাম।
একটি কড়াইতে এক চামচ পরিমাণ তেল নিয়ে নিয়েছি।তেল গরম হতেই দিয়ে দিয়েছি গোটা জিরে ফোড়ন। জিরা ভাজা হয়ে গন্ধ ছেড়ে আসলেই দিয়ে দিলাম কেটে রাখা কুমড়ো এবং আলু।
একটু সময় ধরে জিরে এবং তেলের সাথে কুমড়ো এবং আলু ভাজতে লাগলাম। একটু ভাজা ভাজা হয়ে আসলেই দিয়ে দিলাম চিড়ে রাখা কাঁচা লঙ্কা এবং চিংড়ি মাছ। এবার আর একটু সময় সব উপকরণ মিলিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া দিয়ে ভেজে নিলাম। এবার দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো হলুদ এবং লবণ।
হলুদ, লবণ দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ভেজে নিয়ে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো জল। জল ফুটে আসলে অনেকেই এক চিমটি চিনি দিয়ে থাকে আবার অনেকেই দেয় না। তবে আমি এক চিমটি চিনি দিয়ে দিলাম এতে কুমড়ো বেশ মিষ্টি লাগে এবং তরকারির স্বাদ বেশ ভালো হয়।
বেশ কিছুক্ষণ জাল হবার পর ঝোল ফুটে কমে আসলে এবং তরকারি একদম গামাখা হয়ে আসলে অর্থাৎ ঘন ঘন হয়ে আসলে প্রস্তুত হয়ে গেল চিংড়ি মাছ দিয়ে আলু কুমড়ার তরকারি। পরিবেশনের জন্য একদম তৈরি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
মিষ্টি কুমড়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর এভাবে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে তো কথাই নেই। তবে মিষ্টি কুমড়ার সাথে আলু দিয়ে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি মাছ দিয়ে আলু এবং কুমড়ো রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। চমৎকার রেসিপি আপনিও উপস্থাপন করেছেন আপু। অসাধারণ হয়েছে রেসিপি তৈরির প্রসেস।
আপনি চিংড়ি মাছ ও কুমড়ো দিয়ে দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করছেন।তবে চিংড়ি মাছ ও কুমড়ো দিয়ে কোনদিন এমন রেসিপি খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে রান্না টি সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি মাছ দিয়ে যে কোন কিছু রেসিপি করলে খেতে কিন্তু বেশ মজাই লাগে। আজকে আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে কুমড়ো এবং আলু দিয়ে মজার রেসিপি বানিয়েছেন। এবং আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মজার রেসিপিটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনি তো আজকে আমার খুবই পছন্দের একটা রেসিপি নিয়ে সবার মাঝে হাজির হয়েছেন। রেসিপি টা দেখেই আমার অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। চিংড়ি মাছ দিয়ে এভাবে কুমড়ো আলুর রেসিপি তৈরি করলে খুব মজাদার হয়ে থাকে, আর খেতেও অসাধারণ লাগে। বোঝাই যাচ্ছে দেখে রেসিপিটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে।