মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে ভাজার রেসিপি।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
বাজারে গেলেই আমাদের বাড়িতে উচ্ছে আসবেই। প্রতিদিন পাতে উচ্ছে না পড়লে যেন আমার বাবার খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। উচ্ছে খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ভালো তাই বাজারে গেলেই ইচ্ছে কিনে আনবেই। আর প্রতিদিন একরকম ভাজা খেতেও ভালো লাগেনা তাই বিভিন্ন রকম ভাবে উচ্ছে রান্না করার বা ভাজার চেষ্টা করি। যেন খেতেও ভালো লাগে আবার প্রতিদিনের পাতে উচ্ছে থাকে। আজকে একটু ভিন্নভাবে উচ্ছে ভাজবো বলে ভেবেছি। আজকে বাজার থেকে মাছের সাথে মাছের ডিমও কিনে এনেছে। তাই মনে মনে ভাবলাম মাছের ডিম দিয়েই আজকে উচ্ছে ভাজা করব। তাই যেমন ভাবলাম তেমন কাজ করা শুরু করে দিলাম অর্থাৎ মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে ভাজা করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করলাম। তাহলে চলুন আপনাদের সাথেও শেয়ার করে দিই কিভাবে আজকে উচ্ছে ভাজাটা করলাম।
-:উচ্ছে ভাজার উপকরণ:-
উচ্ছে
মাছের ডিম
হলুদ
লবণ
তেল
-:মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে ভাজার পদ্ধতি:-
উচ্ছে ভাজার জন্য প্রথমে আমি নয় দশটার মত মাঝারি আকারের উচ্ছে নিয়ে নিলাম। এবার উচ্ছে গুলো গোল গোল চাকার মতো করে কেটে নিলাম। উচ্ছেগুলো সব ভালো করে কেটে নিয়ে বেশ কয়েকবার পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম। ভালো করে কেটে ধুয়ে নেওয়ার ফলে তেতোর পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। উচ্ছে গুলো ধোয়া হলে রেখে দিলাম পরিষ্কার একটি পাত্রে। এবার মাছের ডিম পরিমাণ মতো নিয়ে নিলাম, ভালো করে পরিষ্কার জল দিয়ে বেশ কয়েকবার ধুয়ে নিলাম। এ পর্যায়ে কাটাকাটি এবং ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হল।
এবার কড়াইতে দিয়ে দিলাম ২/৩ চামচ পরিমাণ তেল। তেল একটু গরম হয়ে আসলে দিয়ে দিলাম ধুয়ে রাখা মাছের ডিম গুলো। মাছের ডিম দিয়ে সাথে সাথে দিয়ে দিলাম অল্প পরিমাণ লবণ এবং হলুদ। হলুদ এবং লবণ দিয়ে মাছের ডিম ভালো করে ভেজে নিলাম। যতটা সম্ভব ততটা ভেঙ্গে ভেঙ্গে গুড়ো গুড়ো করে ভাজার চেষ্টা করলাম। মাছের ডিম ভাজা হয়ে গেলে তুলে দিলাম একটি পাত্রে। এবার একই কড়াইতে আরো দুই তিন চামচ তেল নিয়ে নিলাম।
তেল একটু গরম হয়ে আসতেই দিয়ে দিলাম গোল করে কেটে রাখা উচ্ছে টুকরো গুলো। তেলের মধ্যে একটু নাড়াচাড়া করেই দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো হলুদ এবং লবণ। হলুদ এবং লবণের সাথে মিশিয়ে উচ্ছে গুলোকে একটু বিরতি দিয়ে দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে লাগলাম। বেশ কিছুক্ষণ ধরে উচ্ছে গুলোকে ভাজতে লাগলাম। উচ্ছে ভাজা হয়ে লাল লাল হয়ে আসলে দিয়ে দিলাম আগে থেকে ভেজে রাখা মাছের ডিম গুলোকে।
তবে মাছের ডিমগুলি দেওয়ার আগে আমি হাত দিয়ে ভালো করে ডলে ডলে যেটুকুও দলা দলা ছিল সেটুকু ভেঙে একদম গুড়োগুড়ো করে নিয়েছিলাম। গুঁড়ো করে নেওয়ার কারণে উচ্ছের সাথে ভালোভাবে মিশে যেতে পারে মাছের ডিম গুলো। এবার আরো কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে একটু ব্রাউন রংয়ের ভাজা ভাজা হলেই আগুন নিভিয়ে দিলাম। তৈরি হয়ে গেল মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে ভাজা। এইভাবে উচ্ছে ভাজলে খেতে একটু অন্যরকম লাগে। সচরাচর উচ্ছে ভাজা থেকে সম্পূর্ণই আলাদা রকম এবং আলাদা স্বাদের।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
মাছের ডিম আমার খুবই পছন্দের। তবে উচ্ছে দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখব। কালারটা বেশ সুন্দর এসেছে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মাছের ডিম দিয়ে কখনো উস্তা ভাজি খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করব।রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে অনেক লোভনীয় হয়েছিল। নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
উচ্ছে কে আমরা করোলা বলি।আপনি চমৎকার সুন্দর করে করোলা দিয়ে মাছের ডিম ভাজা করেছেন। আমারও খুবই পছন্দ করোলা ভাজা আর তা যদি হয় মাছের ডিম দিয়ে তাহলে তো কোন কথায় নাই।চমৎকার সুস্বাদু রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাছের ডিম দিয়ে আজকে আপনি উচ্ছে ভাজা রেসিপিটি খুব সুন্দর করে তৈরি করলেন। অবাক লাগলো মাছের ডিম দিয়েও উচ্ছে ভাজা করা যায় এটা দেখে। আমি এর আগে কখনো এভাবে তৈরি করে খাইনি। মাছের ডিম এবং উচ্ছে দুটো আলাদা করে ভাজি করে খেয়েছি। যাইহোক আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। আমিও একসময় এভাবে তৈরি করার চেষ্টা করব।
গতকালেই আমি এরকম একটি রেসিপি খেয়েছিলাম। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে ভাজার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি বেশ লোভনীয় রেসিপি। মাছের ডিম ব্যবহার করে যে কোন ধরনের রেসিপি তৈরি করলে অনেক বেশি মজাদার হয়।
আপু আমরা কিন্তু উচ্ছেকে করলা বলি। তবে করলা ভাজা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি দেখছি মাছের ডিম দিয়ে মজার করলা রেসিপি করেছেন। আর এই ধরনের রেসিপি দিয়ে যে কোন কিছু খেতে বেশ মজাই লাগে। খুব সুন্দর করে মজার রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে ভাজার রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপিটি দেখেই জল আসছে মুখে! মাছের ডিম আর উচ্ছের কম্বিনেশন অসাধারণ। আমি আগে শুধু মাছের ডিম ভেজে খেয়েছি, উচ্ছের সাথে মিশিয়ে একবার ট্রাই করতে হবে।এই রেসিপিটি প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। শিশু বা বয়স্কদের জন্য উপযোগী করতে চাইলে মসলা একটু কম দিতে পারেন। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে আপু ধন্যবাদ আপনাকে।