আবেগ বিসর্জন ( দ্বিতীয় পর্ব )
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন । আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি । আজ আমি আপনাদের মাঝেআবেগ বিসর্জন ( দ্বিতীয় পর্ব ) নিয়ে একটি সত্য ঘটনা পোষ্ট করলাম ।
জীবনে বেঁচে থাকার জন্য আবেগ বিসর্জন দেওয়া অত্যন্ত জরুরী :
আসিফেরএসব না বলা কথা সোনিয়া বুঝতে পারে না । আসিফ স্বার্থের জন্য সোনিয়াকে সাহায্য করছিল আর সোনিয়া বোকার মতো সেগুলো গ্রহন করছিল । আসিফ খুব চালাক আর ধূর্ত স্বভাবের মানুষ ছিল । এভাবে আস্তে আস্তে আসিফ সোনিয়াকে পটানোর চেষ্টা করে যদিও সোনিয়া এসব এতটা গুরুত্বের সাথে দেখে না তাই আসিফ যতই সহযোগীতা করুক না কেন লাভ হয় নি ।
তারপর আসিফ হটাৎ একদিন অফিসের বড় ভাই নাম: মিজনু এর মাধ্যমে সোনিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সোনিয়া অবাক হয় এবং ভাবে তাহলে কি আসিফ এজন্যই তাকে সাহায্য করছিল ! নানা প্রশ্ন জাগে সোনিয়ার মনে কিছুক্ষনের জন্য চুপ হয়ে যায় কি বলা উচিৎ সোনিয়া ভেবে পায় না । যেহেতু আসিফ তার কলিগ তাই না কথাটা শুনলে দেখা হবার সাথে সাথে লজ্জা পাবে। অনেক ভেবে সোনিয়া তার মিজনু ভাইকে বলে যে সে এই প্রস্তাবের কথা সোনিয়াকে বলতে পারবেনা । কারন সোনিয়া বিয়ে করতে চায় না, সোনিয়া চাকরীর পাশাপাশি এমন কিছু করতে চায় যাতে সে অসহায় মানুষের পাশে দাঁরাতে পারে তাদের সোহযোগীতা করতে পারে প্রেম, বিয়ে,ভালোবাসা,ঘর, সংসার এসব সে করতে চায় না কারন সে চোখের সামনে একটি নিষ্পাপ ফুলকে ঝরে যেতে দেখেছিল যে সোনিয়ার খুব কাছের লোক ছিল । তাই সোনিয়া এই শব্দগুলো ঘৃনা করতো আর ভাবতো কিভাবে এই নিষ্পাপ ফুলগুলোর ঝরে পরা বন্ধ করা যায়, তাই সে নিজে বিয়ে করতে চায় না।
এরপর অফিসের বড় ভাই মিজনু বলে যে সে সোনিয়াকে তার প্রস্তাবের কথা বলেনি কারন সোনিয়ার স্বপ্নগুলো একটু আলাদা । কিন্তুু তারপরও আসিফ নানাভাবে সোনিয়াকে পটানোর চেষ্টা করলো, যেন যেভাবেই হোক না কেন সোনিয়াকে তার বিয়ে করতেই হবে। অনেকদিন কেটে যাবার পর এবং আসিফের এসব পাগলামি দেখে সোনিয়া আসিফকে সব খুলে বললো যে কেন সে বিয়ে করবে না সাথে আরও একটা সত্য কথা সোনিয়া বললো যে সে অসুস্থ , সে কোনদিন মা হতে পারবেনা ।
আশাকরি আমার এই পোষ্টটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।
আজ এই পর্যন্ত, সবাই ভরো থাকবেন সুস্থ থাকবেন । আগামীপর্বে আরও বিস্তারিত থাকছে সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন……….