লেভেল ওয়ান হতে আমার অর্জন-by @nilooy
আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সকলেই ভালো আছেন।
আজ আমি লিখতে যাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির লেভেল-ওয়ান হতে আমার অর্জন সম্পর্কে।
নিম্নের কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আমি আমার অর্জন উপস্থাপন করছি।
●কোন ধরণের এক্টিভিটিজ স্প্যামিং বলে গণ্য হয়?
উত্তর: কোনো অপ্রাসঙ্গিক কিংবা অবাঞ্ছিত কাজ বারবার করা বা কথা বারবার বলাকে স্প্যামিং বলে গণ্য করা হয়। উদাহরণস্বরূপ -
কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে একটি কথা বার বার বলে যাচ্ছে, তবে এ কাজটিকে স্প্যামিং-র গণ্য বলে ধরা হবে।
●ফটো কপিরাইট সম্পর্কে আপনি কি ধারণা অর্জন করেছেন?
উত্তর: কপিরাইট সাধারণত একধরণের আইন। কোনো ব্যক্তির লেখা, ছবি, গল্প,কবিতা ইত্যাদি চুরির হাত থেকে রক্ষার্থে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
ফটো-কপিরাইট বলতে কোনো ব্যক্তির সংগৃহীত কোনো ছবি অপর কোনো ব্যক্তি অনুমতি ব্যতীত আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে, সে এই আইনের অনুসারে দন্ডিত হবে।
●তিনটি ওয়েবসাইটের নাম বলুন, সেখান থেকে কপিরাইট ফ্রি ফটো সংগ্রহ করা যায়।
উত্তর: বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে কপিরাইট ফ্রি ছবি ব্যবহারের জন্য সংগ্রহ করা যায়। তার মধ্যে তিনটি ওয়েবসাইট হচ্ছে ;
১.https://pixabay.com
●পোস্ট করার সময় ট্যাগ কেনো ব্যবহার করতে হয় এবং কিসের ভিত্তিতে ট্যাগ নির্বাচন করতে হয়?
উত্তর: ট্যাগ একধরনের কিওয়ার্ডস। কোনো পোস্ট সাধারণত কি ধরণের সেটা সহজে বুঝানোর জন্য এই কিওয়ার্ডস ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এটি ব্যবহারের মাধ্যমে উক্ত শব্দটি ট্রেন্ডিংয়ে থাকে এবং যারা যারা ঐ সকল পোস্ট করেছে, ট্যাগ ব্যবহারের কারণে ঐ সকল পোস্ট একসাথে থাকে আর ঐ ট্যাগটিতে চাপ দেওয়ার মাধ্যমে ঐ সকল পোস্ট একসাথে চলে আসে।
ট্যাগ নির্বাচন করতে হয় পোস্টের বিষয়বস্তু বিবেচনা করে। যেমন: ভ্রমণের পোস্ট হলে tour,travelling ইত্যাদি কিংবা রান্নার পোস্ট হলে recipe,cooking ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
●আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কি কি বিষয়ের উপর পোস্ট লেখা নিষিদ্ধ?
উত্তর: আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যে সকল বিষয়ের উপর পোস্ট লেখা নিষিদ্ধ সেগুলো হলো:
১. ধর্মীয় এফিলিয়েশনের উপর।
২. চাইল্ড পর্নোগ্রাফিক যে কোনো বিষয়র উপর।
৩. নারী বিদ্বেষমমূলক ও নারীদের সম্মানক্ষুণ্ন করে এবং নারী নির্যাতনমূলক যে কোনো বিষয়ের উপর।
৪. সামাজিক বর্ণবৈষ্যমের সমর্থনমূলক কোনো বিষয়ের উপর।
৫. কোনো ধর্ম, ব্যক্তিত্ব ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধাচরণ, বিদ্বেষমূলক এবং হেয় জ্ঞান সূচক বিষয়ের উপর।
৬. উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো ব্যক্তি বিশেষের নামে ঘৃণা ও অবজ্ঞা করার উপর ।
৭. রাজনৈতিক যে কোন ব্যক্তিবর্গ অথবা রাজনৈতিক যে কোনো দলের নামে প্রশংসা বা সমালোচনা, এ ধরণের বিষয়ের উপর ।
৮. অবৈজ্ঞানিক, মিথ্যা গুজব, কুসংস্কার সমর্থন করে এমন বিষয়ের উপর।
৯. পশু-পাখি নির্যাতনমূলক বিষয়ের উপর ।
১০. শিশু শ্রম সমর্থন করে এমন বিষয়ের উপর ।
১১. NSFW ট্যাগ ছাড়া কোনো ধরনের অশ্লীল, যৌনতা বিষয়ক কিছুর উপর ।
১২. যে কোনো ধরণের অপরাধকে সমর্থন করে এমন কিছুর উপর ।
●প্লাগারিজম সম্পর্কে আপনি কি জানেন?
উত্তর: যদি অন্যের লেখা হুবহু কপি করা হয় কিংবা মূল লেখার অনুকরণে লেখার চেষ্টা করে হয় তবে সেটাকে প্লাগারিজম বলা হয়।
প্লাগারিজম কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন-
১.ডিরেক্ট প্লাগারিজম।
২.প্যারাফ্রেজ প্লাগারিজম।
৩.মোজাইক প্লাগারিজম।
৪.এক্সিডেন্টাল প্লাগারিজম।
●re- write আর্টিকেল কাকে বলে?
উত্তর: যদি একাধিক সোর্স থেকে তথ্য নিয়ে কিংবা সেগুলি থেকে জ্ঞান আহরণ করে সম্পূর্ণ নিজের মতো করে লেখা হয় তবে সেটাকে re-write আর্টিকেল হিসাবে গণ্য করা হবে।
●ব্লগ লেখার সময় re- write আর্টিকেলে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে?
উত্তর: ব্লগ লেখার সময় re - write আর্টিকেল কিছু বিষয় উল্লেখ করতে হবে।
সেগুলো নিম্নরূপ:
১. রেফারেন্স সোর্সগুলি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে,
২. যেসব তথ্য আপনি কালেক্ট করেছেন সেগুলি ইনভার্টেড কমার মধ্যে উল্লেখ করতে হবে।
৩.আর্টিকেল সম্বন্ধীয় কোনো ইমেজ কোনো ওয়েব সোর্স থেকে কালেক্ট করা হলে সেগুলি কপিরাইট ফ্রি হতে হবে এবং কপিরাইট ফ্রি ইমেজ গুলির সোর্স উল্লেখ করতে হবে ।
●একটি পোস্ট কখন মাইক্রো পোস্ট হিসেবে গণ্য করা হয়?
উত্তর: একটি মাত্র ছবি বা ১০০ ওয়ার্ডের কম লেখা যে কোনো পোস্ট মাইক্রো পোস্ট হিসাবে গণ্য করা হয়।
● প্রতি ২৪ ঘন্টায় একজন ব্লগার ‘আমার বাংলা ব্লগ’ সর্বোচ্চ কয়টি পোস্ট করতে পারবে?
উত্তর: ‘আমার বাংলা ব্লগ’ -এ প্রতি ২৪ ঘন্টায় একজন ব্লগার সর্বোচ্চ ৩টি পোস্ট করতে পারবে।
উপর্যুক্ত তথ্য গুলো আমি লেভেল-ওয়ান হতে অর্জন করেছি।এর মাঝে কোনো প্রকার ভুল হলে সেটি ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
আল্লাহ হাফেজ।
প্রত্যেক নতুন ইউজারের জন্য লেভেল ওয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি আপনি লেভেল ওয়ান থেকে যেগুলো শিখেছেন সেগুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে এবং কাজ করার মাধ্যমে মনে রাখবেন এবং বাকি লেভেল গুলো ভালোভাবে পাশ করে একজন ভেরিফাইড মেম্বার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবেন।