গণতন্ত্রের বড় উৎসবে যোগদান করলাম।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ গণতন্ত্রের বড় উৎসবে যোগদান সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


IMG_20240601_115303.jpg


ভোট আমার আপনার সবার একটা মৌলিক অধিকার। আসলে আজকে আমরা যে ভোটটি দিলাম সেই ভোটটি গণতন্ত্রের সব থেকে প্রধান ভোট। কারণ এই ভোটের মাধ্যমে দেশের সরকার নির্বাচিত হবে। আর এজন্য অন্যান্য ভোট অপেক্ষা আজকের ভোটটি আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আসলে ভোট হলো একটি সমষ্টিগত সিদ্ধান্ত যার মাধ্যমে কোন দেশের সরকার নির্বাচিত হয়। আসলে পাঁচ বছর অন্তর অন্তর দেশের সরকার নির্বাচিত হয়। অর্থাৎ দেশকে কোন সরকার পরিচালনা করবে সেটি নির্ভর করে আজকের এই ভোটের উপর। যেহেতু এটি গণতন্ত্রের সবথেকে বড় ভোট তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পড়লাম ভোটের উদ্দেশ্যে। আসলে আজকেই হল ভোটের শেষ দিন। অর্থাৎ এর আগে অন্যান্য জায়গায় ভোট হয়ে গেছে এবং আমাদের ভোট সবার শেষের তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে অর্থাৎ আজকের দিনে। আসলে এর আগেও আমি অনেক কয়বার ভোট দিয়েছি। কিন্তু আজকের ভোটটা অনেক বেশি গুরুত্ব আমাদের সবার জীবনে।

IMG_20240601_103354.jpg


এছাড়াও ভোটের আগের অনেকদিন থেকে এই ভোটের প্রচার চলছিল। আসলে ভোটের আগের প্রচারের পরিমাণ এত বেশি থাকে যে আমাদের সারাদিনটা কানের কাছে মাইক চলতে থাকে। অর্থাৎ মানুষ অসহ্য হয়ে যায় এই ভোটের প্রচার শুনতে শুনতে। আসলে আমি ভাবলাম যে সকাল বেলা ভোট দেবো না। তাই একটু দেরি করে ঘর থেকে বের হলাম। আসলে যেহেতু ভোট দিয়ে আমি কাজে বের হব তাই সঙ্গে আমার বাগটিও নিয়ে নিলাম। আসলে সকালবেলা উঠে হাতমুখ ধুয়ে আমি রেডি হয়ে ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম। আসলে ভোটের আগের দিন আমি অনলাইনে আমার ভোটটি কোন জায়গায় পড়েছে সেই জায়গাটি দেখে নিলাম। এছাড়াও আমার সিরিয়াল নাম্বার কত সেটিও দেখে নিলাম। আসলে অনলাইনে সহজে দেখা যায় বলে আমাদের অনেকটা সুবিধা হয় এবং ভোটের যারা পোলিং অফিসার থাকে তাদেরও অনেক বেশি সুবিধা হয়। কারণ তারা নম্বর দেখলেই খুব দ্রুত বের করে দিতে পারে।


IMG_20240601_103406.jpg


যাইহোক ভোটের কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া নিষেধ এবং কোন ধরনের ব্যাগ নিয়ে যাওয়া নিষেধ। তাই আমি আমার ব্যাগটি ওই ভোটকেন্দ্রের পাশে আমার পিসির বাড়ি রয়েছে সেখানে আমি ব্যাগটি রেখে দিলাম। যাইহোক ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম। কেননা আমি বুঝতে পারিনি যে এত মানুষ ভোট দিতে আসবে। যাইহোক আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাইনে গিয়ে আগে দাঁড়ালাম। আসলে এক দিক থেকে যেমন সময় বাড়ছে তেমনি গরমের পরিমাণও আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমরা সবাই চেষ্টা করলাম যে কোন একটা ছায়া জায়গায় দাঁড়ানোর জন্য। আসলে এদিকে মেঘলা আকাশ আবার অন্যদিকে রোদের তেজ দুটোই এই ভোটের দিনে গরমের সৃষ্টি করেছে। আসলে কি করবো বুঝে উঠতে না পেরে তখন আমি এদিক-ওদিকে মানুষের কথায় মনোযোগ দিতে লাগলাম। কেননা আমার তো সময় কাটাতে হবে। যাইহোক আমিও অন্যান্য লোকের সাথে গল্পে মেতে রইলাম।


IMG_20240601_103420.jpg


আসলে অনেকক্ষণ আমরা দাঁড়িয়ে রইলাম এবং গল্প করলাম। আসলে সবার সাথে গল্প করতে করতে দেখলাম যে আমরা প্রায় দেড় ঘন্টা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। আসলে সমস্যা হচ্ছিল সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য। কারণ তাদের সর্বপ্রথমে ভোট দেওয়ার জন্য সুযোগ সুবিধা করে দেয়া হচ্ছিল। আসলে এজন্য আমাদের অনেকক্ষণ দেরি হচ্ছিল। তারপর একজন পুলিশ কর্মী এসে বললেন যে আপনারা এখন আর ভোট দিতে পারবেন না কিছুক্ষণ পরে আপনারা অর্থাৎ যারা বয়স্ক তারা ভোট দেবেন। কারণ এদিকে আমাদের লাইনটা অনেক বেশি বড় হয়ে গেছে। যাইহোক তখন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আমরা সবাই সামনের দিকে এগোতে লাগলাম। এরপর এক এক করে আমাদের ভিতরে ঢুকানো হলো।


IMG_20240601_103656.jpg


আমি প্রথমে আমার সেই অনলাইন কপিটি একজন পোলিং অফিসারের কাছে জমা দিলাম। উনি ওই কাগজের সিরিয়াল নম্বর দেখে আমার নামটি খুঁজে বের করলেন। এরপর আমার নামের পাশে আঙ্গুলের ছাপ নিলেন। আসলে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার পর আরেকজন আমাকে ডাকলে নখের উপরে একটা মার্কারের দাগ দেওয়ার জন্য। আসলে এই কালারটি এমন একটা কালার যা একবার আঙুলে লাগালে সহজে ওঠেনা। অর্থাৎ এই দাগটি আমার আঙ্গুলে প্রায় দুই থেকে তিন মাস থেকে যাবে। এরপর আমি চলে গেলাম ভোট দেয়ার জন্য একটা পাশের ছোট বক্সের ভিতর।


IMG_20240601_103703.jpg


যেহেতু ভেতরের কোনো ছবি তোলা নিষেধ এবং মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করা নিষেধ। এরপর আমার মূল্যবান ভোটটি দিয়ে আমি বেরিয়ে আসলাম। যেহেতু আমার কাজের দেরি হয়ে যাচ্ছে তাই আমি আর দেরি না করে সোজা পিসির বাড়িতে এসে ব্যাগটি নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। আসলে আজকের দিনটা আমার একটু ব্যস্ততা এবং কষ্টের ভিতর দিয়ে কেটেছে এই গরমের ভিতর। আসলে আমাদের সবার ভোট দেয়া অবশ্যই উচিত। আর এই জন্য আমার অনুরোধ সবাই যেন আপনাদের মূল্যবান ভোটটি দেন।

ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm



আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।



সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।



11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। আমার ভাষা হলো বাংলা। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Sort:  
 3 months ago 

আপনাদের ভোট কেন্দ্রে ভালোই মানুষ দেখলাম। আমাদের দেখে প্রায় দেড় যুগ ধরে তেমন ভোট কেন্দ্রে মানুষ যায় না। ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই। যায়হোক সুন্দর ভাবে ভোট দিয়ে সরকার গঠনে সহায়তা করলেন। এখন দেখা যাক, কে সরকার গঠন করে। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 59956.07
ETH 2524.56
USDT 1.00
SBD 2.49