মিলন মেলা। পর্ব :- ০১
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে মিলন মেলার এক আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তো কাজ থেকে সকাল সকাল ছুটি পাওয়ার ফলে আমি বাড়িতে চলে এলাম। বাড়িতে এসে বাকি কাজগুলো করে স্নান করে নিলাম। স্নান করতে না করতেই গিন্নি আমার জন্য ভাত বেড়ে দিলেন। ভাত খাওয়া শেষে একটু রেস্ট করে নিলাম। তো কিছুক্ষণ পর গিন্নি এসে আমাকে বলল যে আজ আমরা একটু মেলায় যাব। তখন আমি বললাম এই অসময়ে আবার কোথায় মেলা হচ্ছে।
আসলে আমাদের বাড়ি থেকে পাঁচ ছয় মিনিটের পথে একটা মিলন মেলা হচ্ছে। এই মেলা নাকি প্রতিবছরই হয়ে থাকে। আসলে কাজের চাপে বাড়ির পাশে যে একটা মেলাও হচ্ছে সেটা আমার জানা ছিল না। যাইহোক গিন্নিকে বললাম ঠিক আছে আমরা সন্ধ্যার দিকে মেলায় যাব। এদিকে আমার মেলা যেতে ইচ্ছে করছিল না কারণ আমি খুব টায়ার্ড ছিলাম।
যাই হোক সন্ধ্যা হতে না হতেই গিন্নি মেলায় যাওয়ার জন্য রেডি হতে লাগল। তাই আমি আর একটু সময় পেলাম ঘুমানোর জন্য। কারণ তার রেডি হতে একটু বেশি সময় লাগে। যাই হোক সে রেডী হয়ে এসেই আমাকে বলল তুমি এখনো রেডি হওনি। যাই হোক তার কথা শোনার সাথে সাথে আমি জামা প্যান্ট পড়ে এক মিনিটের ভিতর রেডি হয়ে গেলাম।
যাই হোক আমি দ্রুত রেডি হয়ে বাইরে গিয়ে বাইকটা গ্যারেজ থেকে বের করতে লাগলাম। বাইক বের করে আমি আরো দুই মিনিট অপেক্ষা করতে লাগলাম গিন্নির জন্য। আসলে এই মেলা দেখার সাথে সাথেও কিছু বাজার করতে হবে তাই সে একটা বাজারের ব্যাগ ও সঙ্গে করে নিল। যাইহোক দুজন মিলে মেলার দিকে রওনা দিলাম।
আমরা যখন মেলায় পৌছিলাম তখন অর্ধেকের একটু বেশি সংখ্যক দোকান খুলে গিয়েছিল। আর বাকি দোকান এখনো খুলতে পারেনি। মেলায় লোকজনও অনেকটা কম হয়েছিল তখন। আসলে আমাদের একটু তাড়াতাড়ি মেলায় আসা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু একটা সুবিধা হল যে এই ফাঁকা মেলায় আমার গিন্নি বিভিন্ন দোকানের জিনিসপত্র ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো।
আসলে কিছুক্ষণ পরে আস্তে আস্তে মেলা লোকের সংখ্যা বাড়তে লাগলো। এবং মেলার সব দোকানগুলো আস্তে আস্তে খোলা শুরু করেছিল। যাইহোক প্রথমে আমরা পুরো মেলাটা একবার ঘুরে দেখলাম। মেলা ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন ধরনের জিনিস আমরা দেখতে লাগলাম। আসলে আমরা প্রথমে ফাঁকা মেলায় গোল দিতে এসেছিলাম।
আসলে ছোটখাটো মেলা হলেও মেলাতে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের দোকান উঠেছিল এবং বিভিন্ন ধরনের দোলনাও আমরা দেখতে পেয়েছিলাম এই মেলাতে। এদিকে কি করবো বুঝে উঠতে না পেরে আমি কিছু খাবার কিনে নিলাম।
কারণ বিকাল হতে না হতেই আমার একটু খিদে পেয়ে যায়। আর এদিকে তোমার গিন্নি দোকানের জিনিসপত্র দেখতে ব্যস্ত। এদিকে আমার খাবার প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে গেল। তখন গিন্নি আমার কাছে এসে আমাকে বলল যে তুমি আমাকে ছেড়ে একাই খেয়ে নিলে। যাইহোক আমি তখন পকেট থেকে তার জন্য খাবার বের করে তাকে দিয়ে দিলাম।
আস্তে আস্তে মেলার লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করল। আর এদিকে আমাদের কিছু বাজার করতে পুনরায় মেলা থেকে চলে আসতে হয়েছিল। যাইহোক মেলা থেকে চলে আসার আগে গিন্নিকে শর্ত দিতে হয়েছিল যে, বাজার করে ফেরার পর আবার পুনরায় তাকে মেলায় নিয়ে যেতে হবে।
কারণ আজকের মেলায় নাকি নাচের অনুষ্ঠান হবে। আসলে বাইরের কোন ফাংশন দেখতে আমার তেমন একটা ভালো লাগে না। কিন্তু আমার গিন্নির বাইরের এই ফাংশন দেখতে খুব ভালো লাগে। যাই হোক তার কথামতো আমি বাজারের দিকে রওনা দিলাম এবং কিছু সবজি বাজার এবং মাংস কিনে নিলাম। বাজার শেষ করে আমরা আবার পুনরায় মেলায় চলে এলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 21/07/2023
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মিলন মেলায় ঘোরাঘুরির প্রথম পর্ব । আসলে আপনি মেলাতে বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলেন আপনার পোস্ট তৈরি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনি একদম ঠিকই বলেছেন ভাই মেলাতে ছোট্ট ছেলে মেয়েদের জিনিস বেশি দেখা যায়। মেলাতে নাচের অনুষ্ঠান হলে দেখতে তো বেশ ভালোই লাগে ভাই।
আপনি মিলন মেলায় গিয়ে যেসব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এই ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ভাই। এবার কথা হল আপনার বাড়ি থেকে চার থেকে পাঁচ মিনিটের দূরে হচ্ছে এই মিলন মেলা এবং এটি প্রতি বছরই হয়ে থাকে অথচ আপনি এর খোঁজ রাখেন না এটা পড়ার পরে আমি একটু হেসে দিয়েছিলাম। আর গিন্নি হলো আপনার আর আপনি কি বলছেন,
এই মিলন মেলা থেকে অনেক কেনাকাটাও করেছেন খাবারের জন্য। সব মিলিয়ে বৌদি এবং আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।