লেভেল ওয়ান হতে আমার যে জ্ঞান অর্জন -@nilaymajumder
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই “ আমার বাংলা ব্লগ “ পরিবারের সকল সদস্যকে এত বড় প্ল্যাটফর্মে আমাকে নতুন সদস্য হিসাবে সুযোগ দেওয়ার জন্য। আজ আপনাদের আশীর্বাদে আমি নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছি, বুঝতে পারছি। বিগত দুই দিনের ক্লাস আমাকে আমার অনেক ভুল ধারনার সঠিক তথ্য দিয়েছে। ক্লাসের সকল প্রফেসরদের লেকচার আমি খুব ভাল ভাবে বুঝতে পেরেছি। তাদের শেখান সব বিষয়ের উপর আজ আমার লেভেল ওয়ান এর প্রথম লিখিত পরীক্ষা দিতে চলেছি। আমার এই লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনাদের শেখান বিষয়বস্তু তুলে ধরছি।
প্রশ্নঃ-কোন ধরনের এক্টিভিটিজ স্পামিং বলে গণ্য হয় ?
উত্তরঃ-স্পামিং বলতে আমরা সাধারনত অবাঞ্চিত, অর্থহীন, অপ্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তুকে বুঝি।
কোন একটা বিষয়কে বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখার ব্যার্থ প্রচেষ্টাকেও স্পামিং বলে গণ্য করা হয়। যেমন ধরুন আমি কোন একটা স্থানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফটো তুললাম এবং তার ভিতর দিয়ে প্রথম কিছু ফটো দিয়ে একটা পোস্ট আবার পরবর্তী কিছু ফটো দিয়ে বিষয়বস্তুটাকে একটু ঘুরিয়ে নতুন একটা পোস্ট তৈরি করলাম। এইগুলোকেই স্পামিং বলে।
আবার ধরুন আমি কোন একটা পোস্ট কোন এক বাক্তিকে বারবার মেনশন করছি। কিন্তু তিনি আমার এই পোস্টে তার কোন আগ্রহ নেই। কিন্তু তার সর্তেও আমি তাকে পুনরায় মেনশন করে বিরক্ত করছি। এটাও একপ্রকার স্পামিং।
আমরা যে বিসয়বস্তুর উপর পোস্ট করি কিন্তু সেই বিসয়বস্তুর সাথে ট্যাগ এর যদি কোন মিল না তাকে তবে সেটাকেও স্পামিং বলে।
উপরিউক্ত এক্টিভিটিজকে সাধারনত স্পামিং বলে গণ্য করা হয়।
প্রশ্নঃ-ফটো কপিরাইট সম্পর্কে আপনি কি ধারণা অর্জন করেছেন?
উত্তরঃ-কপিরাইট হল এমন একটি বিষয় যা আপনার ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রক্ষা করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট আইন কানুন যা সারা বিশ্বে কার্যকর। কোন বাক্তির অনুমতি ছাড়া তার নিজ প্রচেষ্টায় কোন আবিস্কার, কোন ফটো, কোন মেধায় তৈরি বিষয় ঐ বাক্তির অনুমতি ছাড়া পোস্ট করলে অথবা নিজের বলে চালিয়ে দিলে তা কপিরাইটের আওতায় পড়ে।
অন্যের তোলা কোন ছবি আপনি যদি তার অনুমতি ছাড়া পোস্ট করেন বা তার অনুমতি নিয়ে অন্য কোন ব্যবসাহিক কাজে পোস্ট করেন তবে তাকে ফটো কপিরাইট বলে। যা সম্পূর্ণ নিষেধ। যেহেতু স্টিমিট একটি আমেরিকান বেস্ড স্যোশাল সাইট এবং আমেরিকায় ফটো কপিরাইটের কড়িকড়ি থাকায় স্টিমিটে কোন রকম কপিরাইট ফটো ব্যবহার করা যাবে না। এই কারণে কোন বিষয়ের উপর লেখালিখি করলে ওই লেখালিখি সম্পর্কিত কোন ছবি গুগল বা অন্য যে কোন জায়গা থেকে ডাউনলোড করা যায় না।
তবে চিন্তার কোন কারন নেই। বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেখানে নন কপিরাইট ফটো পাওয়া যায়। ওই ওয়েবসাইট থেকে ফটো ডাউনলোড করে আপনারা আপনাদের পোস্টে ব্যবহার করতে পারবেন তাও আবার যে ছবিগুলোর মালিকানা নেই ।
প্রশ্নঃ-তিনটি ওয়েবসাইটের নাম বলুন, যেখানে থেকে কপিরাইট ফ্রি ফটো সংগ্রহ করা যায়।
উত্তরঃ-https://pixabay.com
https://www.pexels.com/
https://unsplash.com
প্রশ্নঃ-পোস্ট করার সময় ট্যাগ কেন ব্যবহার করতে হয় এবং কিসের ভিত্তিতে ট্যাগ নির্বাচন করতে হয় ?
উত্তরঃ-আমরা যে সব বিষয়গুলোর উপর লেখালেখি করি সেই বিষয়ের উপর কিছু কীওয়ার্ডস আছে, এই কীওয়ার্ডস গুলোকে সংক্ষেপে ট্যাগ বলে। ধরুন আপনি কোন ভ্রমন সম্পর্কে পোস্ট লিখলেন, তাহলে তার ট্যাগ হবে ভ্রমন বিষয়ক। আপনি লিখলেন এক ধরনের পোস্ট আবার ট্যাগ দিলেন অন্য ধরনের, এটি গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই পোস্ট এর বিবরণের ভিত্তিতে ট্যাগ হবে মানানসই। তবে অন্যন্যা প্ল্যাটফর্ম গুলোর মত এখানে ( #) ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়না। প্রত্যেক শব্দের মাঝখানে একটি স্পেস দিলেই এক একটা ট্যাগ হয়ে যায়। ট্যাগ অংশটিতে আপনি আটটির বেশি ট্যাগ লিখতে পারবেন না এবং এটি যেহেতু একটি আমেরিকান সাইট সেহেতু ট্যাগ অবস্যই ইংরেজী ছোট অক্ষরে লিখতে হবে।
প্রশ্নঃ-আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কি কি বিষয়ের উপর পোস্ট লেখা নিষিদ্ধ?
উত্তরঃ- (১) রাজনৈতিক কোনো পোস্ট দেওয়া যাবেনা।
(২) পশু হত্যার ফটো বা ভিডিও পোস্ট করা যাবেনা।
(৩) অশ্লীলতা বা Sexual পোস্ট সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ।
(৪) ব্যাক্তি বিশেষের মনে আঘাত আনতে পারে এমন কোন ধর্মীয় পোস্ট করা যাবেনা।
(৫) পোস্টে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা যাবে না বা কটূ কথা, গালিগালাজ করা যাবে না।
প্রশ্নঃ-প্লাগারিজম সম্পর্কে আপনি কি জানেন?
উত্তরঃ-অন্য কারো লেখা আপনি নিজের লেখা অথবা সামান্য কিছু পরিবর্তন করে আপনি নিজের বলে চালিয়ে দিলেন, একে প্লাগারিজম বলে। এটি একটি জঘন্যতম অপরাধ। কিন্তু আপনি অন্য কার লেখায় অনুপ্রানিত হয়ে আপনি নিজের ভাষায় লিখতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ লেখা আপনার নিজের হতে হবে এবং বাকি ৩০ শতাংশ লেখা আপনি ওই বাক্তির লেখা নিতে পারেন তবে তার জন্যও কিছু সুনির্দিষ্টভাবে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে।
প্রশ্নঃ-রি-রাইট আর্টিকেল কাকে বলে?
উত্তরঃ-কোন গ্রন্থ বা কোন সাইট থেকে কোন মতবাদ যেমন মহাকাশ সম্পর্কিত অথবা কোন বড় লেখকের লেখনী পড়ে এবং বুঝে নিজের মতো করে আলোচনা বা ভুল সংশোধন করে নিজের মতো করে লেখাকে রি-রাইট আর্টিকেল বলে। সংক্ষেপে কোন অথেনটিক সোরস থেকে বিষয়বস্তু নিতে হবে এবং ওটাকে নিজের ভাষায় সাজিয়ে লেখার নামই হলো রি-রাইট আর্টিকেল।
প্রশ্নঃ-ব্লগ লেখার সময় রি-রাইট আর্টিকেলে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে?
উত্তরঃ-ব্লগ লেখার সময় রি-রাইট আর্টিকেলে অন্তত ৭০ শতাংশ লেখা নিজের হতে হবে এবং বাকি ৩০ শতাংশ লেখা কপি করা যাবে। তবে তার জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে। কোন লেখা যদি রিরাইট করা হয় তার উৎস অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে এবং লেখাকে আকর্ষণীয় করার জন্য যদি কোন প্রতিকী ছবি ব্যবহার করা হয় তা অবশ্যই কপিরাইট মুক্ত হতে হবে।
প্রশ্নঃ-একটি পোস্ট কখন ম্যাক্রো পোস্ট হিসেবে গণ্য করা হয়?
উত্তরঃ-ম্যাক্রো পোস্ট সাধারণত গণ্য করা হয় একটি মাত্র ফটোগ্রাফি এবং ১০০ ওয়ার্ড কম লেখা পোস্ট গুলোকে।
প্রশ্নঃ-প্রতি ২৪ ঘন্টায় একজন ব্লগার সর্বোচ্চ কতটি পোস্ট করতে পারবে? “ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে “
উত্তরঃ-প্রতি ২৪ ঘন্টায় ৩ টের বেশি পোস্ট করা যাবে না। এ ছাড়াও ৩ দিনের মধ্যে সব কমেন্ট গুলোর রিপ্লাই দেওয়া বাধ্যতামূলক।
খুবই সুন্দর গুছিয়ে পরিপাটি করে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ
দাদাভাই আপনার লেভেল ওয়ানের অর্জন দেখে আমরা সবাই অনেক সন্তুষ্ট । আপনি অনেক কিছুই শিখতে পেরেছেন লেভেল ওয়ান থেকে যা দেখতে পাচ্ছি। এভাবে প্রফেসরদের ক্লাস গুলো নিয়মিত করে যান। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
ধন্যবাদ
বাহ প্রত্যেকটা বিষয় খুব সুন্দর হয়েছে। উপস্থাপনাও খুব সুন্দর ছিল। বোঝাই যাচ্ছে লেভেল ওয়ান টা খুব ভালো করেই আয়ত্ব করেছো নিলয় দা।
ধন্যবাদ
বিষয়গুলো মোটামুটি ভালই বুঝতে পেরেছেন। আজ রাত ইন্ডিয়ান সময় সাড়ে ন'টায় ক্লাসে উপস্থিত থেকে মৌখিক পরীক্ষা দেবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।