বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ২৭
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তো আমাদের পুকুর দেখা শেষ হতে না হতেই পাশের একটি বাগানে আমরা দেখতে পেলাম কয়েকজন লোক মিলে গাছ থেকে জলপাই পারছিল। আসলে আমি আগে শুনেছি যে পাহাড়ি অঞ্চলের জলপাই নাকি খেতে খুব সুন্দর হয়। তাইতো আমার লোভ হল এবং সাথে সাথে ওই লোকগুলোর কাছে গিয়ে আমি দাঁড়ালাম। কিছুক্ষণ পর আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে দাদা আপনারা কি এই জলপাই বিক্রি করবেন? তখন একজন মহিলা আমাকে উত্তর দিলেন, হ্যাঁ আমরা এই জলপাই বিক্রি করব।
তো আমি গাড়ির ড্রাইভার এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যে গাড়িতে কোন ব্যাগ আছে কিনা। তখন পাশ থেকে আমার গিন্নি উত্তর দিল যে গাড়ির ভিতরে ব্যাগ রাখা রয়েছে। কিন্তু ব্যাগে কিছু বিস্কুট রয়েছে। যাই হোক আমি বিস্কুটগুলো বাইরে বের করে ব্যাগটা নিয়ে আবার পুনরায় চলে এলাম এবং এসে নিজের মতো করে বেছে বেছে থাকা জলপাইগুলো আমি ব্যাগের তুলতে লাগলাম।
তখন পাশ থেকে ওই মহিলাটি আবার পুনরায় আমাকে বললেন যে আপনারা কোথায় থাকেন। তখন আমি আমার পরিচয় না দিয়ে আমি বললাম আমি বাংলাদেশের এখান থেকে এসেছি। যাই হোক উনি শুনে আমাকে বললেন যে আপনারদের অনেক দূরের পথ যেতে হবে। তাই এই পাকা জলপাই নিলে কিন্তু রাস্তার ভিতরে সব জলপাই নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ পাকা জলপাই খুব নরম হয়। তাই আমি ওনার কথামতো পাকা জলপাইগুড়ি রেখে কাঁচা জলপাইগুলো আবার ব্যাগে রাখতে শুরু করলাম।
যাই হোক পাহাড়ি অঞ্চলের গাছগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। পাহাড়ি অঞ্চলের দূষণ কম থাকায় এখানে গাছের সংখ্যা একটু বেশিই হয়। এছাড়াও এত রোদের মাঝে আমাদের কিন্তু ততটা গরম লাগছিল না। কারণ চারিদিকের এত গাছপালা এবং ঠান্ডা হওয়া এজন্য পরিবেশ অনেক ঠান্ডা ছিল।
তো পুনরায় আমরা আবার ঐ পুকুরের কাছে চলে এলাম। পুকুরের পাশে ছিল একটা কামরাঙ্গা গাছ। কামরাঙ্গাগুলো গাছের অনেক উঁচুতে পেকে একদম হলুদ হয়ে গিয়েছিল। তাই এই হলুদ পাকা কামরাঙ্গা দেখে আমার খুব লোভ হল।
তাই কি করে এই কামরাঙ্গা পাড়া যায় সেই চেষ্টা করতে লাগলাম আমি। তখন পাশে দাঁড়িয়ে ছিল সেই ব্যক্তিটি যে ব্যক্তিটি আমাদের পুকুরে ফেনা সংগ্রহ করে কিভাবে তাতে আগুন জ্বলে সেটি দেখিয়েছিল। উনার কাছে একটি বড় লাঠি ছিল। তাই আমি ওনার কাছ থেকে ওই বড় লাঠিটা নিয়ে কামরাঙ্গা পারতে শুরু করলাম।
আসলে কিছু কামরাঙ্গা আমরা গাছের নিচেই খেয়ে নিয়েছিলাম। কারণ গাছ থেকে কামরাঙ্গা পড়তে পড়তেই ফেটে যায়চ্ছিল। তাই আমরা গাড়ি থেকে একটা জলের বোতল নিয়ে সেগুলো ধুয়ে খেতে শুরু করলাম। কামরাঙ্গ গুলো কিন্তু বেশ মিষ্টি ছিল।
তারপরে আমরা আবার পুনরায় বেরিয়ে পড়লাম। সিলেটের চারিপাশে ছোট ছোট অনেক পাহাড় রয়েছে। আসলে এসব পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক লোকের বসতি দেখা যায়। কিন্তু এত গাছের ভিতর দিয়ে এই এত লোকের বসতি আমরা সহজে লক্ষ্য করতে পারিনি। এসব পাহাড়ি অঞ্চলের লোকেরা কিন্তু খুব পরিশ্রমই হয়।
তো কিছুক্ষণ পর আমরা এই পাহাড়ি অংশ ছেড়ে আরেকটা গন্তব্য জায়গায় যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। এখানে চাষিরা পাহাড় কেটে কেটে সমতল ভূমি তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে। এসব ফসল ফলাতে কিন্তু নরমাল জমির থেকে তাদের বহুগুণ পরিশ্রম করতে হয়।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 10/11/2022
আসলে আমরা যাওয়ার সময় একদল বাচ্চাদের দেখতে পেলাম। তাদের আমি জিজ্ঞাসা করলাম বাবু তোমরা কোথায় গিয়েছিলে। ওরা আমাদের সিলেটি ভাষায় জবাব দিল। আমি কিছুটা কথা বুঝতে পারলেও বাকি কথাটা কিন্তু বুঝতে পারিনি। তাদের কথায় আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তারা মসজিদে গিয়েছিল পড়াশোনা করার জন্য।
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
ভাই আপনি আজকে বাংলাদেশ ভ্রমণের পর্ব- ২৭ নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক কিছু লিখেছেন। এখানে আপনি জলপাইয়ের কিছু কথা উল্লেখ করেছেন রাস্তার পাশে জলপাই পেকেছে। এই জলপাই কিন্তু খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আমাদের বাড়ির পাশে একটা জলপাই গাছ আছে। মাঝেমধ্যে পাকলে আমরা খেতে যেতাম। পুকুরের পাশে লাঠি দিয়ে কামরাঙ্গা পেরেছেন দেখছি। সব মিলে দারুন কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার পোস্ট গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন আপনি। আপনার এই জলপাইগুল দেখে আমারও জলপাই নিতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। আপনি যদি পাকা জলপাইগুল নিতেন , ইন্ডিয়া নেওয়া পর্যন্ত সেগুলো আর আস্ত পেতেন না সব ভর্তা হয়ে যেত। সিলেটের ভাষা আমরাও ভালোভাবে বুঝতে পারি না, আর আপনি তো আরো বেশি বুঝবেন না।