বাসন্তী পূজা। পর্ব: ০৭
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে বাসন্তী পূজার আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু আমরা অনেকক্ষণ ধরে এই পূজা দেখছিলাম এবং পূজার মাঠে ঘোরাঘুরি করে বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনছিলাম। আসলে যেহেতু আশেপাশে আর কোথাও কোন পূজা মণ্ডপ নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমাদের বাড়ির পাশে একটা পার্ক রয়েছে সেখানে গিয়ে আমরা একটু সময় কাটাব। আসলে আমি নিজেও জানতাম না যে আমাদের বাড়ির পাশে এত বড় একটা পার্ক রয়েছে। কেননা কাজের চাপে এত ব্যস্ত থাকি তাই কখনো এই পার্কে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। যদিও এটি পার্কের মতো দেখতে কিন্তু আসলে এটি একটা বিশাল এরিয়া নিয়ে একটা খাবারের রেস্টুরেন্ট। তাই আমরা দেরি না করে দুজন মিলে পুনরায় বাইকে উঠে পড়লাম।
যেহেতু আমাদের কেনা বাদাম সব আমি খেয়ে ফেলেছিলাম। তাই পুনরায় আবার একটা বাদামের দোকান থেকে বাদাম কিনে সেই পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যদিও তখন বাইরের পরিবেশটা অনেকটা শীতল ছিল। তাই আমরা দুজনে একটু গ্রামের দিকে ঘুরতে ঘুরতে ওই পার্কের দিকে যাচ্ছিলাম। আসলে এত দ্রুত গিয়ে আমরা কি করব তাই আমরা একটু চারিদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। যাইহোক কিছুক্ষণ পরে আমরা পার্কে এসে হাজির হলাম। আসলে একটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো এই পার্কটি যাদের সেই রেস্টুরেন্টের মালিক আমাদের বাড়ির আশেপাশে থাকে।
আসলে উনি আমাকে দেখে আমাকে চিনতে পারলেন এবং আমি ওনাকে দেখে চিনতে পারলাম। এছাড়াও আমাকে বললেন যে দিদি তো মাঝে মাঝে আসে আমাদের এই পার্কের চা খেতে। তখন আমি বললাম হ্যাঁ আমি জানি। কিন্তু আমার সময় হয়ে ওঠে না বিধায় আমি ওকে দিদির সাথে এখানে চা খেতে পাঠিয়ে দিই। আসলে বাড়িতে বসে বসে তো আর সময় কাটে না। যাইহোক সর্ব প্রথমে আমরা বিভিন্ন খাবারের অর্ডার দিলাম। যেহেতু এখানে বসার আগে খাবারের অর্ডার দিয়ে দিতে হয় এবং আমরা কোন জায়গাটিতে বসব সেই জায়গাটির নম্বর দিতে হবে। তাই এদিকে আমি যেহেতু খাবার অর্ডার করছিলাম আর অন্যদিকে গিন্নি একটা ভালো জায়গা খুঁজতে শুরু করল।
আসলে এর কিছুক্ষণ পর গিন্নি আমার কাছে এসে দুই নম্বর বলল। অর্থাৎ আমরা দুই নম্বর সিটে গিয়ে বসেছি। তখন সে যখন আমার পাশে এল সে একই সাথে আরো কিছু খাবার অর্ডার দিল। সাথে একটা কোলড্রিংস। আসলে কোল্ড ড্রিংকস যেমন আমার একটা পছন্দের পানীয় নয়। আসলে একটু ফাস্টফুড যখন খাই তখন সামান্য পরিমাণ একটু কোলড্রিংস খাই। যাইহোক আমরা গেটে ঢোকার মুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাচু দেখতে পেলাম। আসলে যেহেতু একটু বেশি রাত হয়ে গেছিল তাই আমরা এত বড় পার্কটা পুরোটা ঘুরে দেখলাম না। কেননা বাইরে থেকে কাজ করে এসে আমার কেমন আর চারিদিকে ঘোরার এনার্জি ছিল না।
যাইহোক আমরা যে ছোট কুড়ে ঘরটিতে বসে ছিলাম সেই ঘরটি এক কথায় অসাধারণ ছিল। আসলে বাড়ির পাশে যে এত সুন্দর একটা পার্ক রয়েছে এবং আমি এই পার্কে এখনো একবার অব্দি আসিনি এজন্য আমার খুব আফসোস হচ্ছিল। যাইহোক আমরা আমাদের নির্দিষ্ট জায়গাটিতে বসে গেলাম। ঠিক এই পার্কের মাঝখানে রয়েছে একটা বড় পুকুর। আর এই পুকুরে আমি গিয়ে দেখলাম যে এই পুকুরে খুব সামান্য পরিমাণে জল আছে। অর্থাৎ এই বড় পুকুরের চারিপাশকে কেন্দ্র করে এই ছোট খাবারের রেস্টুরেন্টি তৈরি হয়েছে। যাইহোক এমন একটা জায়গায় দিনের বেলায় আসতে পারলে হয়তোবা পুরো ছবিগুলো তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারব।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 16/04/2024
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাসন্তী পুজা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট দিয়েছেন ভাইয়া। পুজা দেখার দৌলতে আপনার বাড়ীর পাশের পার্কে যাওয়া হলো সেটা অবশ্যই ভালো খবর। পুজায় না গেলে হয়ত পার্কে আরো দেরিতে যাওয়া হতো আপনার। পার্কের রেস্ট্রুরেন্টে আপনি ও বৌদী সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আশাকরি। পোস্টের ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।