সাহায্য। কবিতা নং :- ৩০
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা একটা কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
বর্তমান সময়ে ভালো মানুষের দেখা পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। এই পৃথিবীতে বহু মানুষ আছে যারা সারা জীবন টাকার পিছনে ছুটে এবং প্রচুর টাকা ইনকাম করে। এছাড়াও প্রচুর টাকা ইনকাম করলেও তারা মানুষের সাহায্যে বিন্দুমাত্র আসে না। বরং নিজেদের বিলাসিতার জন্য তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা তারা খরচ করে। আসলে অনেক জিনিসই রয়েছে তাদের অপ্রয়োজনীয় জিনিস। তবুও তারা এই অপ্রয়োজনীয় জিনিসের পিছনে তাদের টাকা নষ্ট করে।
এই টাকা ইনকাম করতে করতে তারা তাদের পরিবারের দিকেও কখনো ঠিকঠাক খেয়াল রাখে না। পরিবারের কোন সদস্য কি করছে তাও তারা ফিরে দেখেনা। ফলে বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে বেশিরভাগ ধনী শ্রেণীর লোকেদের সন্তানরা খারাপ দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো তাদের অভিভাবকরা। তারা অর্থ ইনকাম করতে করতে তারা তাদের সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখে না।
এছাড়া ওইসব ধনী শ্রেণীর লোকেরা তাদের টাকার সামান্য অংশ দিয়ে গরিবদের বিন্দুমাত্র সাহায্য করে না। তাদের চলাফেরার সময় তারা বিভিন্ন ধরনের হত দরিদ্র লোক দেখতে পায়। এছাড়াও তাদের কর্মস্থানে বিভিন্ন ধরনের হতদরিদ্র লোকেরা কাজ করে। কিন্তু তারা তাদের দিকে কখনোই মুখ ফিরে চায় না। বরং চিন্তা করে আরো বেশি কি করে টাকা ইনকাম করা যায়।
কিন্তু তারা যদি এই গরিবদের সামান্য একটুকু সাহায্য করে তাতে এই গরিব পরিবারের লোকেরা একটু খেয়ে বাঁচতে পারে। আসলে অনেক গরিব লোক রয়েছে যাদের খাবারের মতো অন্ন ঘরে থাকে না। আর এই অন্নের সন্ধানে তারা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে। এই কঠোর পরিশ্রম করেও তবুও তারা তাদের সংসার ঠিকঠাক ভাবে চালনা করতে পারে না।
যদি সমাজের ধনী ব্যক্তিরা সামান্য একটু সাহায্যের হাত বাড়ায় তবে এই পরিবারের লোকেদের দিন ভালোভাবে যাপন করতে পারে। এসব গরিব শ্রেণীর লোকেদের কষ্টের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। আসলে এই পৃথিবীতে যাদের টাকা আছে তাদের জীবনে সুখ-শান্তি কখনোই থাকে না। কারণ তারা কখনো সুখ শান্তির পিছনে ছোট না। বরং তারা চিন্তা করে কি করে আরো বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।
কিন্তু তারা যদি গরীবদের সামান্য একটুকু সাহায্য করে তাহলে আমার মনে হয় এটাই সবথেকে বেশি শান্তি। এর মত শান্তি পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। কারণ কথায় আছে, ভোগের সুখ নেই, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। তাইতো জীবনের শেষ বয়সে এত টাকা দিয়ে সুখ শান্তি আর পাওয়া যায় না।
তখন বসে বসে এসব গরিব শ্রেণীর লোকেরা ভাবে তারা সারাজীবন কি করেছে। এত অর্থ ইনকাম করেও তাদের শেষ বয়সে একটুকু শান্তি পায় না। কিন্তু তারা যদি অন্যের সাহায্যে আসতো তাহলে তাদের মনের শান্তি থাকতো অনেক বেশি। আর পরিবারের লোকজনও তাদের ভালোবাসে তাদের পয়সা দেখে। আর মরার পরে এই টাকা নিয়ে তারা কখনোই স্বর্গে যেতে পারবে না। তাইতো সময় থাকতে অথবা এই শেষ সময়েও যদি তারা গরীবদের সাহায্য করে তাহলে অবশ্যই কিছুটা শান্তি পাবে।
✠ সাহায্য ✠
ভেবে দেখোরে মন,
কি করেছ এই জীবনে।
কি করেছ অতীতে যে,
মনে রাখবে তোমারে।
স্বার্থপরের মত তুমি,
করেছ ইনকাম বহু।
উড়িয়েছ অনেক টাকা,
প্রয়োজন ছাড়াও।
করেছো মানুষকে ঘৃণা,
করোনি একটুও সাহায্য।
অনাহারে রয়েছে মানুষ,
অন্ন দাওনি তাদের।
সামান্য একটু সাহায্যে,
গরিবের উপকার হত।
না খেয়ে বহু মানুষ,
মারা আর না যেত।
আজ এই অবেলায়,
ভাবছো তুমি বসে।
এত টাকা কার জন্য,
খরচ করব কিসে।
মরণের পর এত টাকা,
নিয়ে যেতে পারবে না তুমি।
তাহলে এত টাকা দিয়ে,
কি করবে এখনই।
পরিবারের সবাই ভালোবাসে,
শুধু তোমার টাকার জন্য।
প্রকৃত ভালোবাসা তুমি,
পেয়েছো কি একটুও?
গরিবকে একটু সাহায্য করলে,
কোন ক্ষতি হতো না তোমার।
সবাই তোমায় ভালোবাসতো,
খোলা থাকতো স্বর্গের দ্বার।
এখন তো আর সময় নাই,
তাও একটু ভেবে দেখো।
গরিবের তুমি সাহায্য করলে,
কোন ক্ষতি কি তোমার হতো।
তবুও এই শেষ বেলায়,
করো গরিবের সাহায্য।
অন্নহীনে অন্ন দাও,
তোমার সাধ্য মত।
আশাকরি কবিতাটি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
তো দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সময়ের সাথে সাথে মানুষ বড় স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। তাইতো নিজের পরিবার থেকে যেমন দূরে চলে যাচ্ছে তেমনি অসহায় মানুষগুলোর দিকে ফিরে তাকাতেও ভুলে গেছে। হয়তো সেই উঁচু শ্রেণীর মানুষগুলো যদি অসহায় মানুষগুলোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত তাহলে তারাও ভালোভাবে বাঁচতে পারতো। যাই হোক দাদা আপনার লেখা কবিতার লাইনগুলো চমৎকার ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
বাই খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন ভাই । মাঝে মাঝে আপনার কবিতা গুলো আমি পড়ে থাকি। কবিতার প্রতিটি ছন্দ একেবারে হৃদয়ের গভীর থেকে লিখা । আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই পরিবারের সবাই ভালোবাসে শুধু তোমার টাকার জন্য। শুধু নিজে টাকা উপার্জন করলে হবে না অন্যকে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে। আসলে ভাই অন্যকে সাহায্য সহযোগিতা করাটাই উত্তম কাজ। এত সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
দাদা আপনার স্বরচিত কবিতাটি একদম বাস্তব সম্মত। আসলে আমরা সবাই যদি সাহায্যের জন্য একটু হাত বাড়িয়ে দিই তাহলে অনেক গরীব দুঃখী বা বিপদে পরা মানুষগুলো একটু আস্থা পেতো। সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।