হিংস্রতা। কবিতা নং :- ৩৩
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা একটা কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
মানুষ মানুষের জন্য আর জীবন জীবনের জন্য। আসলে সত্যিই কি মানুষ মানুষের জন্য? আপনাদের কাছে আমার এই প্রশ্নটি থাকলো কিন্তু। আসলে যতই দিন যাচ্ছে মানুষের ভিতরে হিংস্রতার পরিমাণ অনেক বেড়েই যাচ্ছে। মানুষের মনের ভালবাসা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আসলে এর একটা কারণ হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি। কারণ আমরা আগে দেখেছি যে একটা কাজের জন্য আগে অল্প লোক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে একটা কাজের জন্য বহু সংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করে।
এছাড়া অনেক কারণ রয়েছে যার ফলে মানুষ দিন দিন হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা সবাই জানি যে, মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষের উপরে আর পৃথিবীতে কোন প্রাণীরা নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখলে বোঝা যাচ্ছে যে মানুষ আর সেই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব নেই। এখন মানুষ সৃষ্টির সবথেকে নিম্ন জীব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসলে দিন দিন আমাদের পৃথিবীতে গরীব শ্রেণীর লোকের সংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার যারা ধনী শ্রেণীর লোক রয়েছে তাদের টাকার পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই অসহায় লোকেরা সমাজে নিপীড়িত। তাদের সাহায্যের জন্য কোন ব্যক্তি এগিয়ে আসে না। তারা সব সময় পিছিয়ে থাকে সমাজ থেকে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের দুর্ভিক্ষের কারণে বহু দেশের লোকেরা না খেয়ে মারা যায়। মানুষের ভিতর আজ সেই ভালোবাসার বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে যাচ্ছে। কোন মানুষকে রাস্তায় অসহায় দেখলে এই সব ধরনের শ্রেণীর লোকেরা মুখ ঘুরিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। তাদের মনে একটুকুও সহানুভূতি হয় না যে তারা এই মানুষটিকে একটু সাহায্য করবে।
এছাড়াও মানুষের ভিতর বিবাদ সবসময় লেগেই আছে। একজন মানুষ আরেকজন মানুষের কখনোই ভালো চায়না। বরং অন্য ব্যক্তিটি কি করে বিপদে পড়বে সেসব বন্দোবস্তই এই মানুষ করে। এছাড়াও সুযোগ পেলে সেই মানুষটিকে খুনও করে। তাহলে আপনারাই বলুন মানুষ কতটা নিচে নেমে গেছে।
আসলে আমার তো মনে হয় মানুষের থেকে পশুরা অনেক ভালো। কারণ তারা কখনো একে অন্যের ক্ষতি চায় না অথবা একে অন্যকে খুনও করেনা। তাদের লড়াই শুধু খাদ্যের জন্য। তাছাড়া তাদের ভিতরে অন্য কোন হিংস্রতা লক্ষ্য করা যায় না। আর মানুষের ভিতরে এসব গুনই রয়েছে যে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের কি করে ক্ষতি করবে।
আর এর ফলে মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের জায়গা দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু আমরা যদি এভাবে এগোতে থাকি তাহলে একটা সময় মানুষ নামের এই জীবটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এই পৃথিবীতে মানুষ নামের আর কোন অস্তিত্ব থাকবে না এবং পৃথিবীতে সবচেয়ে ঘৃণিত প্রাণী হিসেবে মানুষের নামটি সবার প্রথমে চলে আসবে।
তাই আমাদের অবশ্যই এইসব হিংস্র মনোভাব পরিবর্তন করে আমাদের ভিতর ভালোবাসাকে জাগ্রত করতে হবে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে তার অর্থ সম্পদ না দেখে। মানুষের সাহায্যে অবশ্যই আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। কোন মানুষ যদি কোন রকম বিপদে পড়ে সেই বিপদ থেকে আমরাই তাদের বিপদ কাটিয়ে নিয়ে আসতে পারবো। এছাড়াও অনাহারে যেসব লোক রয়েছে তাদের পাশে এসে আমরা দাঁড়াবো।
আর এসবের ফলে আমরা আবারো প্রমাণ করতে পারব যে মানুষই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। তাই সকল হিংসা বিবাদ ভুলে আমরা একে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসবো। আর এর ফলে আমরা পুনরায় পৃথিবীকে এক সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি করতে পারবো। শুধু পৃথিবীতে তখন ভালোবাসাই বিরাজ করবে।
✠ হিংস্রতা ✠
মানুষের বিপদে মানুষ যদি,
না এগিয়ে আসতে পারে।
তাহলে কি সত্যিই মানুষ,
মানুষের বন্ধু হতে পারে।
এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব,
মানুষের ওপর কোনো জীব নাই।
তাহলে মানুষ কেন,
পশুর মত আচরণ করে সব সময়।
বাঘের থেকে হিংস্র আমরা,
মানুষের মাঝে দেখতে পাই।
তাহলে কি মানুষের নাম,
শ্রেষ্ঠত্বের খাতা হতে বাদ যায়।
অসহায় মানুষকে আমরা,
দূরে ঠেলে দি তাই।
অসহায় এ মানুষগুলো,
অনাহারে মারা যায়।
বহু টাকা উড়ায় মানুষ,
বিনা প্রয়োজনে দিনরাত।
অসহায় মানুষকে দেখলে,
মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়।
দিন দিন মানুষগুলো,
শ্রেষ্ঠত্বের জায়গা হারাচ্ছে।
এর থেকে পশুরা ভালো,
মানুষের মত এত হিংস্র না হচ্ছে।
এখনো অনেক মানুষ আছে,
যারা মানুষের সেবা করছে।
অনাহারে মানুষের মুখে,
তারাই অন্ন জোগাচ্ছে।
সব হিংসা ভুলে মানুষ,
মানুষকে ভালোবাসতে শেখো।
মানুষকে ভালবাসলে পরে,
সবাই তোমাকে ভালোবাসবেও।
আশাকরি কবিতাটি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
তো দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ভাই আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি কবিতা পোস্ট উপহার দিয়েছেন সেটি হচ্ছে হিংস্রতা। মানুষ মানুষকে সাহায্য না করলে তাকে বন্ধু বলা যায় না বা মানুষ বলা যায় না। কারণ মানুষ মানুষের জন্যই মানুষের বিপদে মানুষই এগিয়ে আসে। আপনার কবিতা পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি ভাইয়া। কবিতার প্রতিটি চরণ অসাধারণ ছিল শুভকামনা রইল এত সুন্দর একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য।