বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৫০
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে সারাদিনে খালি পেটে এতটা জার্নি করে শেষে এসে এই ধরনের খাবার খাওয়ার জন্য আমরা মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। যাইহোক কি করা যাবে। কিন্তু আমাদের ওই রেস্টুরেন্টে খেয়ে মন ভরলো না সবার। যাই হোক আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে এখান থেকে কিছু খেয়ে আমরা সামনে অন্য কোন ভাল রেস্টুরেন্ট পেলে সেখানে গিয়ে অন্য কিছু হালকা খেয়ে নেব। আসলে এখনকার দিনে বড় রেস্টুরেন্ট গুলো শুধুমাত্র বাইরে থেকে যতটা ঝকমকে দেখায় না কেন কিন্তু খাবারের দিক থেকে ততটাই খারাপ হয়। এর থেকে রাস্তার পাশের খাবারও মনে হয় অনেক ভালো ছিল।
যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটা বড় অংকের বিল দিয়ে আমরা বাইরে চলে এলাম মন খারাপ করে। আবার গাড়িতে বসে পড়লাম আমরা সবাই যে যার জায়গাতে। এরপর গাড়ির ড্রাইভার দাদা আবার পুনরায় গাড়ি স্টার্ট করে আমাদের গন্তব্যের দিকে রওনা হলেন। আসলে তত সময়ে চারিদিকটা অনেক পরিষ্কার হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে সামান্য একটু আলো দেখা মিলল। যাইহোক আবহাওয়াটা একটু ভালো হতে শুরু করল। আবারো আমরা গাড়িতে বসে যে যার মত গল্পে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
এরপর আমরা একটু সামনে যেতেই আমাদের আবার ট্রাফিক জ্যামের সম্মুখীন হতে হল। কিন্তু কি আর করা যাবে। আবারো সেই বাংলাদেশের চিরচরিত সেই ট্রাফিক জ্যাম। যাই হোক একটু সামনে এগোতেই আমাদের চোখের সামনে ঘটে গেল একটা বড় ধরনের বিপদ। আসলে মানুষ একটু দ্রুত যাওয়ার জন্য মানুষ যদি রাস্তা থেকে নেমে এই ধরনের বিপদজনক রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে শুরু করে তাহলে তো এ ধরনের বিপদ নেমেই আসবে। আমাদের চোখের সামনে হঠাৎ করে একটা ইঞ্জিন চলিত ভ্যান উল্টে গেল বোঝাই সহ।
আসলে আমি বলব যে এখানে সম্পূর্ণ চালকের দোষ। কারণ চালক রাস্তার জ্যাম এড়াতে রাস্তার পাশে যেসব রাস্তা রয়েছে সেই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে সে সামনের দিকে দ্রুত এগোতে শুরু করল। সামনে এগোতেই হঠাৎ করে একটা খাদে পড়ে গাড়িটা একদম শটাং করে উল্টে পড়ল। আসলে এই দুর্ঘটনাটা আমার একদম চোখের সামনেই ঘটে গেল। কিন্তু চালক অল্পের জন্য লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে দূরে সরে গিয়ে পড়ল। আর এর ফলে চালক এবারের মত রক্ষা পেল। যাইহোক সবাই মিলে চেষ্টা করলো যে গাড়িটাকে আবার সঠিক অবস্থানে আনার জন্য।
এরপর আমরা গাড়িতে কিছু শুকনো খাবার আস্তে আস্তে খেতে শুরু করলাম। কারণ রেস্টুরেন্টের খাবার আমাদের কারো মন ভরেনি। কিছুক্ষণ পর আমি এবার গান বাজাতে শুরু করলাম। আসলে এদিকে আমাদের রাস্তা অনেকটা কমে এল। এরপর আমরা সেই পদ্মা সেতু পার করে গেলাম। আসলে পদ্মা সেতুর পার করার পরমুহূর্তে আমাদের বাড়ি পৌঁছাতে প্রায় দু'ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।
এরপর আমরা প্রায় সবাই গাড়িতে আবার পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লাম। কারণ এখানে রাস্তায় কোন জ্যাম নেই এবং রাস্তাও খুব ভালো থাকায় সবাই আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়লাম। যদিও আমি আগেই বলেছি যে আমার গাড়িতে কখনই ঘুম হয় না। তাই আমি আর শুধুমাত্র ড্রাইভার দাদা গাড়িতে জেগে রইলাম এবং বাকি সবাই এখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল। যাইহোক কিছুক্ষণ পর আমি ড্রাইভার দাদাকে একটু রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে পাশের জঙ্গল থেকে একটু হালকা হয়ে আবার পুনরায় গাড়িতে এসে বসে পড়লাম।
প্রায় দেড় ঘন্টা পর আমরা প্রায় বাড়ির কাছে চলে এলাম। তখন ড্রাইভার দাদাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে আমাদের আর বাড়িতে পৌঁছাতে কতক্ষণ সময় লাগবে। কারণ আমাদের এত বড় জার্নি আর ভালো লাগছিল না। তখন ড্রাইভার দাদা বলল যে আমাদের বাড়িতে পৌঁছাতে প্রায় আর ১০ মিনিট সময় লাগবে। যাইহোক আমার মনটা তখন আনন্দের নিচে উঠলো যে এত বড় জার্নি আর দশ মিনিটের ভিতর শেষ হয়ে যাবে। যাইহোক আমি গাড়ির ভিতরে সবাইকে আস্তে আস্তে ডাকতে শুরু করলাম। এরপরে সবাই এক এক করে ঘুম থেকে উঠে পড়ল এবং গাড়ি থেকে নামার জন্য প্রস্তুত হলো।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 18/11/2022
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাংলাদেশে এই সমস্যাটা মনে হয় যাবেনা।জ্যাম আর জ্যাম,এজন্যই বাইরে বেরোতে ভালো লাগে না। পদ্মা সেতুতে ভ্রমণ করার খুব ইচ্ছা,জানিনা কখনো সম্ভব হবে কিনা।আর পুরো জার্নিতে আপনি ঘুমান নি,আমারও কেন জানি ঘুম আসে না। যাইহোক অবশেষে ১০মিনিটে বাড়ি পোছাবেন জেনে তো এত দূরের জার্নির কষ্টটা কম লাগলো।