বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৫৬
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে শহরের অপেক্ষা আমার কাছে গ্রাম অনেক বেশি আনন্দের জায়গা মনে হয়। আসলে গ্রামের প্রতিটা মানুষ এতটাই ভালো যে তাদের মনে কখনো কোন ধরনের জটিলতা থাকে না। তাদের কথাবার্তা শুনলে বুঝা যায় যে তারা কতটা সহজ সরল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তাইতো আমি সব সময় গ্রামে আমার অবসর সময়টা কাটাতে চাই। তাইতো আমি আবার পুনরায় চলে এলাম আমাদের জ্যেঠু বাড়িতে। আসলে শীতের সময় এক গ্রাম বাংলা এক অপূর্ব রূপ ধারণ করে। আসলে গ্রাম বাংলার প্রতিটা জিনিস সবসময় আমার মন টানে।
এছাড়াও এই বাংলা প্রকৃতির অপরূপ গন্ধ সত্যিই মন মাতিয়ে দেয়। আর এই মন মাতানোর জন্য আমি চাই যে আমার জন্ম বার বার এই গ্রাম বাংলার যেন হয়ে থাকে। আসলে শীতের এই সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে গ্রাম বাংলার কৃষকেরা। তারা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে এবং সন্ধ্যার সময় তারা চায়ের দোকানে বসে সারা দিনের গল্পে মজে ওঠে। আসলে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দিতে তারা তাদের সারা দিনের ক্লান্তিটাকে নিমিষেই ভুলে যায়।
এছাড়াও কোন সময় যখন আমি যদি রাতের বেলায় চায়ের দোকানে চা খেতে যাই তখন এইসব গ্রাম বাংলার মানুষের বিভিন্ন ধরনের কৌতূহ জাগে এবং তারা আমার ভারতবর্ষ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আমাকে জিজ্ঞাসা করে। আসলে একটা নতুন দেশ সম্পর্কে যে তাদের কতটা কৌতুহল তা তাদের প্রশ্ন শুনলেই বোঝা যায়। এছাড়াও আমরা সেদিন বিকেল বেলাতে সবাই মিলে গেলাম কলাই শাক তুলতে। আসলে গ্রাম বাংলার মতো এমন সতেজ শাক মনে হয় আমরা শহরে কখনোই পাইনা।
আসলে এই কলাই শাকের কোন অংশটি খেতে হবে তা আমাকে স্থানীয় কয়েকজন ঠাকুরমা বুঝিয়ে দিলেন এবং কিভাবে তুলতে হয় সেটি আমাকে শিখিয়ে দিলেন। এরপরে আমি তাদের দেখাদেখি কলাই শাক তুলতে শুরু করলাম। এছাড়াও কলাই শাকের যেসব ফুল সত্যিই অসাধারণ। আর এই ধরনের দৃশ্য হয়তোবা আমি কখনো ইন্ডিয়াতে গেলে পেতাম না। এছাড়াও এমন ধরনের সব নতুন অনুভূতি সত্যিই বাংলাদেশে এসে আমি পেয়েছি। তাই অল্প কিছু শাক তুলে আমি আমার মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করতে শুরু করে দিলাম।
সবাই মিলে একদিকে শাক তুলছে আর আমি চারিদিকে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করছিলাম। আসলে সন্ধ্যার আগের এই মুহূর্তে অর্থাৎ বিকালের সময় চারিদিকটা যেন এক মনোরম রূপ ধারণ করেছে। সত্যিই এক অসাধারণ দৃশ্য। আসলে এই কলাই শাকের বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করছিলাম আমি। এরপর আমরা প্রায় অনেকটা সময় এই কলাই ক্ষেতে সময় অতিবাহিত করতে লাগলাম।
আসলে আমার মনে হয় যে গ্রাম বাংলার এই রূপ দেখার জন্য সবাইকে শহরের ইট পাথরের দেয়াল থেকে বের হয়ে গ্রাম বাংলাকে ঘুরে দেখা উচিত। আসলে আমরা ইট পাথরের দেয়ালের ভেতরে থাকতে থাকতে পৃথিবীর রূপটাকে একদম প্রায় ভুলেই গেছি। তাইতো আমরা দূরে কোথাও ঘুরতে না গিয়ে যদি এই গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যটাকে উপভোগ করি তাহলে হয়তোবা আমাদের সকল মনের দুঃখ ক্লান্তি নেমে এসেই দূর হয়ে যাবে।
আসলে আমি নামমাত্র অল্প শাক তুলে চারদিকে ফটোগ্রাফি করছিলাম এর মধ্যে প্রায় সকলের শাক তোলা শেষ হয়ে গেল। আসলে শাক তোলা শেষে প্রায় চারিদিকে আলো অনেকটা কমে এলো অর্থাৎ অন্ধকার নেমে এলো চারিদিকে। কারণ এই গ্রাম বাংলার রাতটা যেন খুব দ্রুতই চলে আসে এবং চারিদিকে অন্ধকার নামার সাথে সাথে সবাই নিজেদের ঘরে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ,'গ্রাম বাংলার এই রূপ দেখার জন্য সবাইকে শহরের ইট পাথরের দেয়াল থেকে বের হয়ে গ্রাম বাংলাকে ঘুরে দেখা উচিত'।কবিরা গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য নিয়ে কত কিছু লিখে গেছেন। আসলেই গ্রামেই সোন্দর্যের নীলাভূমি। পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। কলাই শাকের ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে। বাংলাদেশ ভ্রমণের ৫৬ পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের মধ্যে শহর উপেক্ষা গ্ৰাম গুলো অনেক বেশি সুন্দর।আর গ্ৰামের মানুষেরা খুবই সহজ সরল প্রকৃতির হয়ে থাকে। শীতকালে বাংলাদেশের গ্ৰাম গুলো বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে ওঠে। আপনি বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণ করে বাংলাদেশের অনেক গুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আর বাংলাদেশের গ্ৰাম গুলোর সৌন্দর্য সবাই কে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পৃথিবীতে সকল জায়গাই সুন্দর। তার মধ্যে গ্রামীণ পরিবেশ গুলো একটু বেশি সুন্দর হয়ে থাকে । আজকে আপনি একদম কথা বলেছেন যে, শহরের ইট পাথর থেকে বেরিয়ে এসে গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যকে উপভোগ করা উচিত। আপনি খুব সুন্দরভাবে এই গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন এবং যেভাবে আপনি সবগুলো ফটোগ্রাফি এখানে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ প্রতিনিয়ত আপনি বাংলাদেশ ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব শেয়ার করে আসছেন৷ আশা করি পরবর্তীতে আরো অনেকগুলো পর্ব দেখতে পারব৷