অনু-কবিতা :- ৫৬
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা আর একটি অনু-কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
প্রতিদিন আমরা কতভাবে বিনা প্রয়োজনে কত টাকা অপচয় করি। এছাড়াও কোন অনুষ্ঠানে আমরা যে পরিমাণে টাকা খরচ করি তাতে হয়তোবা কোন গরিব পরিবারের প্রায় সারা বছরের খাবারের থেকে বেশি খরচ করি আমরা। কিন্তু একটুও এই গরিব লোকেদের জন্য আমাদের দয়ামায়া হয় না। আসলে আমরা নিজেরাই ভালো থাকলে তো আমরা নিজেরা খুশি। অন্যদের ভালো রাখার জন্য আমাদের অতটা প্রয়োজন হয় না। আসলে আমরা মানব জাতি খুবই স্বার্থপর। আমরা আমাদের প্রয়োজন ছাড়া কখনো কারো কাছে যাই না অথবা কোন কিছু করি না। কিন্তু কখনো আমরা আমাদের প্রয়োজনের বাইরেও একটু ভাবতে পারি না। আসলে আমাদের মন মানসিকতা দিন দিন অনেক নিচু স্তরে চলে যাচ্ছে। যদিও সবাই কিন্তু একই রকম নয়।
আমাদের দেশে গরিব লোকের সংখ্যা সব থেকে বেশি। যদিও আমরা চেষ্টা করলে এই গরিব লোকের সংখ্যা একদম কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি। এছাড়াও এই গরিব লোকেদের সাহায্যের জন্য আমরা ইচ্ছা করলে সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। আসলে কোন অনুষ্ঠানে আমরা যে পরিমাণে খাবার নষ্ট করি এটা কিন্তু খুবই অন্যায়। আসলে একদিক থেকে গরিব মানুষের দুই বেলা খাবার জোটে না। আর এদিকে আমরা খাবার নষ্ট করি সবসময়। সত্যিই এটাই ভাবলে যেন মনটা খারাপ হয়ে যায়। আসলে বড় বড় অনুষ্ঠানের খাবার নষ্ট না করে যদি অতিরিক্ত বেঁচে যাওয়া খাবার যদি এই গরিব মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিই তাহলে হয়তোবা সেদিনের জন্যই গরিব মানুষগুলো একটু ভাল খাবারের মুখ দেখতে পাবে। আসলে এটি একটি কিন্তু খুবই ভালো দিক হতে পারে সবার মাঝে। আসলে এর আগেও আমি শুনেছি যে কিছু কিছু লোক এই বিয়েতে বেঁচে যাওয়া খাবার গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করে দেন।
আসলে কোন অনুষ্ঠান বাড়ির সামনে যখন গরিব শ্রেণীর লোকেদের বাচ্চারা দাঁড়িয়ে থাকে তখন সেই দৃশ্যটি দেখতে বড়ই করুন মনে হয়। আসলে এই দৃশ্য মোটেও দেখার মত নয়। এদিকে ধনী পরিবারের লোকেরা সেই অনুষ্ঠানে আনন্দ করছে এবং খাবার নষ্ট করছে আরেক দিকে এই গরিব শ্রেণীর লোকেদের বাচ্চারা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তা দেখছে। আসলে মানুষ কেমন যেন দিন দিন অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ মানুষ নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই কখনো বুঝতে চেষ্টা করে না। সব সময় মানুষ তার নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর এই স্বার্থের জন্য যদি অন্যের ক্ষতি হয় তাহলেও মানুষ তার নিজের স্বার্থকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্যের ক্ষতি করে। আসলে আমরা যদি সবাই মিলে এই গরিব লোকেদের পাশে দাঁড়াই তাহলে এই গরিব লোকেরা ভালোভাবে দিন যাপন করতে পারবে। এছাড়াও এই গরিব লোকেদের বাচ্চাদের জন্য শিক্ষা যদি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা যায় তাহলে হয়তোবা একদিন আমাদের সমাজ থেকে গরিব নামক নামটি চিরদিনের জন্য মুছে যাবে।
✠ ০১ ✠
আনন্দ উল্লাসে কত টাকা,
প্রতিদিন আমরা করছি ব্যয়।
সামান্য টাকা গরিবের সাহায্যে,
করলেই নাকি সেটা অপব্যয়।
দুবেলা দুমুঠো খাবার জন্য,
কত গরিব ভিক্ষা করে।
না খেতে পেয়ে কালে অকালে,
কত প্রাণ যাচ্ছে ঝরে।
ক্ষুধার জন্য হাহাকার করে,
তারা ঘোরে বড় লোকের দ্বারে।
সামান্য একটু খাওয়ার জন্য,
দুই হাত পেতে ভিক্ষা করে।
✠ ০২ ✠
সোনার চামচ মুখে নিয়ে,
কত মানুষ পৃথিবীতে জন্মায়।
সুখে তাদের দিন যে কাটে,
কষ্ট কখনো দেখতে না পায়।
গরিবের শিশু জন্ম নেয়,
ভাঙ্গা কোন এক কুড়ে ঘরে।
দুবেলা দু'মুঠো খাবার জন্য,
জোরে জোরে চিৎকার করে।
ঘরে বসে মা যে কাঁদে,
তার তো কিছু করার নাই।
অবুঝ মনকে বোঝায় সে,
তবুও মন যে কাঁদে সবসময়।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আশা করি দাদা ভালো আছেন? আপনি প্রতি নিয়ত আমাদের মাঝে অণু কবিতা উপস্থাপন করে থাকেন । আজও বেশ দুর্দান্ত অণু কবিতা শেয়ার করেছেন । পড়ে বেশ ভালো লাগলো। বাস্তব বিষয় গুলো কবিতার ছন্দ উপস্থাপন করেছেন । আপনি ঠিক বলেছেন গরিবের শিশু জন্ম নেয় ভাঙ্গা কোন এক কুড়ে ঘরে। এই লাইন গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
এত সুন্দর অণু কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
খুবই সুন্দর কিছু অনু কবিতা শেয়ার করেছেন আপনি৷ অনু কবিতা গুলো পড়তে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ আমিও মাঝে মাঝে চেষ্টা করে কিছু অনু কবিতা তৈরি করার৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এই অনু কবিতাগুলো পড়তে পেরে অনু কবিতা তৈরি করার প্রতি আগ্রহ আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে গেল। এই অনু কবিতাগুলোর মধ্যে যে অনু কবিতা আমার মনের মধ্যে নাড়া দিয়েছে সেটি হল:
পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো আরব দেশগুলো প্রচুর পরিমাণ খাবার অপচয় করে। অথচ তারা তাদের ঐ খাবারগুলো আফ্রিকার না খেতে পারা মানুষদের দেয় না। আবার আমাদের দেশেও এইরকম হয়। একশ্রেণির লোক খাবার অপচয় করে আর একশ্রেণির লোক খাবার পাই না। ব্যাপার টা খুবই করুন এবং দুঃখের। বেশ চমৎকার ছিল আপনার লেখা এবং অনুকবিতা টা ভাই। চমৎকার লিখেছেন কবিতা টা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।