শীতের কষ্ট।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ শীতের কষ্ট সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আসলে বর্ষাকালের পর শরৎকাল আসার কথা। কিন্তু বর্তমান পরিবেশ দূষিত হওয়ার ফলে এই শরৎকাল আমাদের পৃথিবী থেকে একদম বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই এই বর্ষার শেষ হতে না হতেই শীতের আগমন ঘটে। আসলে শীতকাল আসার প্রথমেই আমরা সবাই টের পেয়ে যাই যে সামনে শীতকাল আসছে। আসলে এই বোঝার প্রধান কারণ হলো এই শীতকালে আসার প্রথমে আমাদের শরীরের শুষ্ক ভাবের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও চারিদিকের প্রকৃতি কেমন যেন শান্ত হয়ে যায় এই শীতের আগমনে। এছাড়াও দক্ষিনা বাতাসের পরিবর্তে যখন উত্তরের হাওয়া প্রবাহিত হয় তখন আমরা একদম প্রায় কনফার্ম হয়ে যাই যে এবার শীতের আগমন ঘটবে।
আসলে এই শীতকাল কিন্তু সবার জীবনে আনন্দের একটি সময় নয়। কারণ এই শীতে আমাদের পৃথিবীতে বহু পশু পাখি এবং প্রাণী অনেক কষ্ট পায়। এছাড়াও এই শীতকালের সময় যেসব গরীব দুঃখী লোক রয়েছে তারাও অনেক বেশি কষ্ট পায় এই তীব্র শীতে। কারণ এই তীব্র শীতে শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট কাপড় চোপড় তাদের ঘরে থাকে না। আসলে ধনী পরিবারের কাছে শীতকালটা অনেক মজার সময় হলেও গরিব পরিবারের কাছে এই শীতকালটা অনেক কষ্টদায়ক সময়। এই শীতকালটা কিভাবে যে এই গরিব লোকেরা অতিবাহিত করে তা শুধুমাত্র সেই গরিব লোকেরাই জানতে পারে।
আসলে আমাদের দেশে ধনী লোক অপেক্ষা গরিব লোকের সংখ্যা তুলনামূলক হারে অনেক বেশি। এত সংখ্যক গরিব লোকেদের শীতের বস্ত্র পৌঁছে দেওয়া এক ব্যক্তির পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। তাইতো সমাজের প্রতিটা লোক যদি একসাথে এগিয়ে এসে এই গরিব দুঃখীদের শীত নিবারণের জন্য বস্ত্র দান করে তাহলে হয়তো বা তাদের এই তীব্র শীত থেকে একটু কষ্ট লাঘব হবে। এছাড়াও বিভিন্ন পশু পাখি যেমন বিশেষ করে কুকুর এই শীতের সময় অনেক বেশি কষ্ট পায়।
আসলে আমরা রাস্তাতে যেসব কুকুর দেখতে পাই শীতকালের সময় কিন্তু এই কুকুরেরা বাচ্চা দেয়। এর ফলে এই কুকুর যেমন শীতে কষ্ট পায় তেমনি কুকুরের বাচ্চারাও শীতে কাঁপাকাঁপি করে একটা জায়গায় জড়বদ্ধ ভাবে শুয়ে থাকে। আসলে আমাদের সমাজে অনেক পশুপ্রেমী লোকেরা রয়েছে যারা শীতের সময় এসব কুকুরদের বিভিন্ন চটের কাপড় পাতিয়ে দেয় যাতে তারা রাতের বেলায় একটু আরাম করে ঘুমাতে পারে। এছাড়া অনেক কুকুর আছে যারা বিভিন্ন বাড়িতে একটু থাকার আশ্রয় পেয়ে থাকে।
আসলে আমরা মানুষেরা শীতের তীব্রতা মুখ দিয়ে প্রকাশ করতে পারলেও এসব পশুরা কিন্তু এই শীতের তীব্রতা মুখ দিয়ে প্রকাশ করতে পারেনা। মানুষ এসব পশুদের বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে। আসলে একদিক থেকে শীতের সময়টা গরিবদের জন্য দুঃখ কষ্টের হলেও আমরা যদি এই গরিবদের কথা বাদ দিয়ে বিভিন্ন আনন্দের কথা তুলে ধরি সে ক্ষেত্রেও কিন্তু কম হবেনা। অর্থাৎ এই শীতের সময় বিভিন্ন ধরনের মেলা হয় চারিদিকে। এছাড়াও পিঠের পায়েসের আমেযে চারিদিকে যেন মেতে ওঠে।
শীতের সময় বিভিন্ন লোকেরা খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য খুব ভরে ছোট মাটির তৈরি কলস নিয়ে দূরে মাঠে চলে যায় এবং গাছ থেকে কলস ভর্তি খেজুর গাছের রস নিয়ে নেমে তারা বাড়ি এসে সেই রস আগুনে জাল দিয়ে মিঠা তৈরি করে। এছাড়াও লোকজন তখন বিভিন্ন শাকসবজি চাষের জন্য প্রায় সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে। আসলে শীতকালে আমরা বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল দেখতে পাই। শীতকালীন এসব সবজি কিন্তু অনেকটা সস্তা হয়। এছাড়াও আরেকটা দিক হল এই শীতের সময় বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা জনিত রোগের সৃষ্টি হয়।
এই ঠান্ডা জনিত রোগের ফলে আমাদের শরীরের জ্বর, হাঁপানি বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যারা গরীব শ্রেণীর লোকেরা রয়েছে তারা কিন্তু এইসব রোগের হাত থেকে কখনো রেহাই পায় না। প্রতিবছর এই শীতের ফলে গরিব শ্রেণীর লোকেদের ভিতরে বহু লোক মারা যায়। শুধু লোক মারা যায় না কিন্তু। বহু শিশুও শীতের কারণে মারা যায়। আসলে এই শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষার জন্য মা-বাবা তাদের সন্তানকে নিজেদের কোলের ভিতরে লুকিয়ে রাখে এবং চারিপাশ দিয়ে নিজের কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখে। যাই হোক এই শীতকাল সবার জন্য আনন্দ হলেও গরিব লোকেদের জন্য কিন্তু একটি কষ্টের সময়।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো, আমরা শীতের সময় চেষ্টা করি কিছুটা মানুষের কষ্ট কমানোর জন্য নিজেদের সামর্থ্য মত কিছু সাহায্য করে, তবে কখনো কুকুরদের নিয়ে খুব একটা চিন্তা করা হয়নি, আপনার পোস্টে এটা দেখে খুব ভালো লাগলো এই শীতে চেষ্টা করব রাস্তায় অসহায় প্রাণীরদের জন্য কিছু করা।
হ্যাঁ ভাই শীতকাল অনেক মানুষের জন্য কষ্টের ।শুধু মানুষের জন্য নয় অনেক পশুপাখি যারা বলতে পারেনা তাদের কষ্টের কথা কিন্তু মানুষ হিসেবে সেগুলো বুঝতে পারি। সেজন্য মানুষের উচিত মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। অসহায় মানুষের শীতের বস্ত্র দিয়ে সহায়তা করা। যেগুলো একজন মানুষ হিসেবে দায়িত্ব । সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করলে এই পৃথিবী আরো সুন্দর হবে।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টের সব লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে শীতের ঠান্ডায় ঠান্ডা জনিত রোগের কথাগুলো পড়ে এবং গরিব মানুষের কষ্টের কথাগুলো পড়ে। আসলে শীতের সময় সব থেকে বেশি কষ্টে থাকে আমাদের সমাজে অবহেলিত হতো দরিদ্র মানুষেরা। তাই আমি মনে করি শীতকাল শুধুমাত্র ধনী মানুষদের জন্য সুখের সময়। তবে গরিবদের জন্য অবর্ণনীয় দুঃখের সময়। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই শীতের সময়টা সুন্দর হলেও গরিব দুঃখিদের জন্য কষ্টের।পশুপাখি, দের কষ্টের সীমা নাই।গরিব দুঃখিদের কষ্টের শেষ নেই।ঠান্ডায় খুব কষ্ট পায় তাঁরা। অনেকেই পশুদের শীত নিবারনের চেষ্টা চালায়।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।