বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৫৩
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু আগের দিন জ্যেঠুর বাড়িতে অনেক ধান বিক্রি হয়েছিল তাই আমরা কোথাও তেমন একটা ঘুরতে যেতে পারিনি। আর রাতের বেলাতে আমি ঠিকঠাক করে ঘুমাতেও পারিনি। কারণ ওই ধানের ধুলো লেগে আমার সারা শরীর একদম তাই ফুলে গিয়েছিল। আর সারারাত চুলকাতে চুলকাতে আমার ঘুম রাতের ভিতরে একটু হয়নি। যাই হোক সেদিনের রাতে আমি তেমন ভালোভাবে ঘুমাতে পারিনি। তো পরের দিন সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা আশেপাশের কোন একটা বাজারে গিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করব।
যাইহোক সকালের খাবার দাবার শেষ করে আমরা সকাল সকাল স্নান করে নিলাম। আসলে সকাল সকাল স্নান করার প্রধান কারণ হলো রাতের বেলা যেহেতু চুলকানোর জন্য আমি ঘুমাতে পারিনি তাই খুব সকালেই আমি স্নান করে নিলাম। তো পরবর্তীতে আমরা আমরা চারিদিকে একটু ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। গ্রামে এক বাড়িতে একটা শালিক পাখি ছিল। আসলে শালিক পাখিটি একজন লোকের পোষা। পাখিটি কথাও কিন্তু বলতে পারেন। আমরা যখন ওদের বাড়িতে গেলাম তখন শালিক পাখিটি বলে উঠলো যে, কে কে? প্রথমে আমরা হতবাক হয়ে গেলাম।
এরপরে শালিক পাখিটিকে খাঁচা থেকে বের করে দিলে পাখিটি চারিদিকে ঘুরে ঘুরে খাবার খেতে লাগলো। আর পাখিটির মালিক যখন পুকুর পাড়ে স্নান করতে গেলেন তখন পাখিটিও ওই মালিকের সাথে পুকুরে গেলেন স্নান করতে। প্রথমে পাখির ওই মালিকটি পাখির গায়ে যখন জল দিয়ে ধুয়ে দিলেন তারপরে পাখিটিকে যখন ছেড়ে দেয়া হলো তখন পাখিটি এসে শরীর ঝারা দিয়ে নিজের শরীর পরিষ্কার করতে শুরু করলেন। যেহেতু পাখিটি দেখে আমার খুব ভালো লাগছিল তাই আমি পাখিটিকে একটু ধরার চেষ্টা করলাম।
কিন্তু পাখিটি আমাকে দেখে ভয়ে উড়ে পালালো। যেহেতু পাখিটি আমাকে চেনে না তাই সেই পাখিটি আমার কাছেও আসতে রাজি নয়। যাইহোক আমরা আর বেশিক্ষণ ওখানে দেরি না করে বাড়িতে গিয়ে জামা কাপড় পড়ে আমরা বাজারে দিকে রওনা দিলাম। আসলে বাজারে গিয়ে আমরা একটা ভালো রেস্টুরেন্ট দেখে নিলাম। আসলে যাওয়ার সময় একটা বোনের ছেলেকে দেখে আমার গিন্নি তার কোলে নিলেন এবং পরবর্তীতে আমিও আমার কোলে নিলাম।
এরপরে কিছুক্ষণ তার সাথে আমরা খেলা করতে শুরু করলাম। আসলে গ্রামের দিকের মাটির রাস্তায় থাকায় সেখানে যানবাহন তেমন একটা বেশি পাওয়া যায় না। তাই আমরা তার সাথে আর বেশিক্ষণ না কাটিয়ে আমরা আস্তে আস্তে হাঁটতে শুরু করে দিলাম। যদিও পথপ্রদর্শক হিসেবে আমাদের সাথে আমাদের এক কাকাও ছিল। এরপর আমরা আমাদের সেই গন্তব্য স্থানে পৌঁছে গেলাম।
আসলে রেস্টুরেন্টটি কিন্তু খুবই ভালো ছিল। চারিদিকের বিভিন্ন দেখার জিনিস ছিল। এছাড়াও ছবি তোলার অনেকগুলো জায়গা ছিল। যাইহোক বিভিন্ন জায়গায় বসে গিন্নি আমাকে ছবি তোলার জন্য অনুরোধ জানানো। তার কথামতো আমি অনেকগুলো ছবিও তুললাম। শেষে আমরা একটা সেলফি নিয়ে খাবার দাবার খেয়ে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 21/11/2022
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।