কুয়াশার চাদর। কবিতা নং :- ৭৯
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে আমার লেখা একটি কবিতা পোস্ট করলাম । আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আজকে আমি @rme দাদাকে বললাম যে, তুমি আমাকে যে ধরনের বিষয় দেবে আমি সেই বিষয়ের উপরে কবিতা তৈরি করতে পারি। তখন দাদা অনেক ভাবনা চিন্তা করে আমাকে শীতের বিষয় সম্পর্কে একটি কবিতা লিখতে বলল। আসলে কবিতা লেখা তেমন একটা বেশি কঠিন কাজ নয়। শুধু কবিতার জন্য দরকার একটা ভালো কোন বিষয়। আপনার মনে যদি কোন ভালো একটা বিষয় চলে আসে তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই বিষয় সম্পর্কে একটা কবিতা লিখতে পারবেন। আসলে দাদা কিন্তু আমার কাজটা অনেকখানি কমিয়ে দিল। কারণ আমি ভেবে উঠতে পারছিলাম না যে কোন বিষয়ের উপরে কবিতা লিখব। যাইহোক দাদার চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করে আমি আজ শীতের বিষয় সম্পর্কে একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম।
আসলে আমাদের এই পৃথিবীতে যে ছয় ঋতু রয়েছে এই ছয় ঋতুতে পৃথিবীর বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়। কোন ঋতুর সাথে কোন ঋতুর একটুখানিও মিল নেই। কারণ পৃথিবীর কি এক রকমের লীলা খেলা যে এই পৃথিবী এক এক ঋতুতে এক এক রূপ ধারণ করে। এই রুপের মহিমা দেখার মত সৌভাগ্য কিন্তু পৃথিবীতে সকলের হয় না। এই শীতকালে প্রকৃতি যেন এক মলিন রূপ ধারণ করে। কারণ তখন পৃথিবী কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। আসলে চারিদিকের প্রকৃতি কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়ে অনেকটা এই শীতের মাঝে। কারণ তখন বাইরে প্রচন্ড শীত থাকে। আসলে এমনও দিন যায় যে সারা দিনে একবারও সূর্যি মামার মুখ দেখা যায় না। কেমন যেন মনে হয় সারাদিনটা আনমনে কেটে যায় আমাদের। কিন্তু কখনো কখনো হঠাৎ করে কিছু সময়ের জন্য আমরা সূর্যের আলো দেখতে পাই। আবার সেই সূর্যের আলো কিছুক্ষণ পর আবার কোথায় চলে যায়।
আসলে এই ভীষণ শীতে পৃথিবী যখন থমকে থাকে তখন কিন্তু বাংলার দামাল কৃষকেরা লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে মাঠে চলে যায় ফসল ফলানোর জন্য। আসলে যতই শীত হোক না কেন এই শীতের প্রকটতা কৃষকদের কখনো থামিয়ে রাখতে পারে না। কারণ তারা যদি এই শীতের মাঝে মাঠে ফসল না ফলায় তাহলে তাদের বাকি বছরটা দুঃখ কষ্টে দিন কাটাতে হবে। যদিও তারা এত কঠোর পরিশ্রম করেও সারা বছর তেমন একটা বেশি ভালো থাকতে পারে না। কিন্তু তবুও তারা কখনোই থেমে থাকে না। তাদের চেষ্টা সব সময় কঠোর পরিশ্রম করা এবং এই কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের জীবনকে একটু সুখে শান্তিতে রাখা। এছাড়াও বাংলায় অনেক কর্মজীবী মানুষরা রয়েছে যারা তাদের দৈনন্দিন দিন ভালোভাবে চালানোর জন্য তারা প্রতিনিয়ত সকালবেলায় কাজে বেরিয়ে পড়ে। আসলে পৃথিবী যেখানে ঠান্ডায় অলসতার মতো দিনযাপন করে কিন্তু অন্যদিকে এসব শ্রমজীবী এবং কর্মজীবী লোকেরা দিনরাত পরিশ্রম করে।
✠ কুয়াশার চাদর ✠
কুয়াশা চাদরে ঢাকা এই শীতের সকালে,
প্রকৃতি সকল প্রাণী যখন থাকে ঘুমিয়ে ।
দিগন্ত পানে আমি চেয়ে থাকি,
সূর্য্যি মামা দূর থেকে দেয় একটু উঁকি।
শীতের প্রকটতায় সূর্য্যি মামা ভাবে,
আজকে আমার আলো পৃথিবীতে না যাবে।
চারিদিকের প্রকৃতি এক মনোরম রূপে সাজে,
কখন সূর্যের আলোয় পৃথিবীতে পৌঁছাবে।
এত কুয়াশার মাঝে কৃষকেরা,
লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে যায় মাঠে।
সোনার ফসল ফলায় তারা,
তবুও কষ্টে তাদের দিন কাটে।
কুয়াশার চাদর ভেদ করে,
সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসে না।
কিন্তু বাংলার দামাল কৃষকেরা,
কুয়াশার চাদরকে ভয় পায় না।
গাছের ডালে কুয়াশার ভেতরে,
টুনটুনি পাখি তিরিং বিরিং নাচে।
তাই দেখে প্রকৃতি ভাবে,
সকল প্রাণী জেগে উঠেছে এই সাজে।
কর্মজীবী লোকেদের কাজ থামেনা,
দিনরাত ছুটে বেড়ায় কাজে।
তাহলে কি একমাত্র সূর্যি মামা,
অলসতায় দিন কাটায় আমাদের মাঝে।
চারিদিকের প্রকৃতি ফুলের গন্ধে,
মাতোয়ারা করে দেয় আমাদের মনকে।
খেজুরের গুড়ের পিঠে পুলি,
মনটা ভরিয়ে দেয় সকল জনকে।
তবুও কেন জানি একা লাগে আমায়,
এই শীতের সকালে পাবো কি তোমায়।
তুমি যে আমার প্রানের পাখি,
তোমায় ছাড়া আমি কি করে বেঁচে থাকি।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
খুবই সুন্দর লিখেছেন দাদা ৷ আপনার কবিতা গুলো বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে ৷ আজকেও দারুণ একটি কবিতা শেয়ার করেছেন ৷ আপনার লেখা কুয়াশার চাদর কবিতাটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷