বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৪৯
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে সারাদিনের এই জার্নিতে আমরা সবাই খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এছাড়াও আমাদের অনেকটা সময় হল গাড়িতে কোন কিছু না খেয়ে চুপচাপ ভ্রমণ টাকে উপভোগ করছিলাম। আসলে সময়টা তখন দুপুরের অনেকটা পরে। এরপর আমরা একটা ভালো রেস্টুরেন্ট খুঁজতে লাগলাম। একে খোঁজা না বললেও চলে। কারণ আমরা দেখছিলাম যে এই যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে ভালো কোন রেস্টুরেন্ট আছে কিনা। তাই আমরা রাস্তার দুপাশে নজর রাখতে শুরু করলাম।
কিছুক্ষণ পর ড্রাইভার দাদা আমাদের বললেন যে সামনে একটা ভালো রেস্টুরেন্ট আছে। রেস্টুরেন্টের নাম হল উজান ভাটি রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টের নাকি অনেক নাম ডাক রয়েছে। যাইহোক আমরা ড্রাইভার দাদার কথামতো সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার প্লান করলাম। প্রায় এক ঘণ্টা পরে আমরা সেই রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম। আসলে সারাদিন ভাত না খাওয়াতে আমাদের খিদে একদম প্রায় কমে গেছে। এরপর আমরা রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করে হাত মুখ ধুয়ে নিলাম।
আসলে রেস্টুরেন্টটি অনেক গোছালো ছিল। রেস্টুরেন্টের একটা সাইডের ভালো জায়গা দেখে আমরা সবাই সেই জায়গাটিতে বসে পড়লাম। এরপর আমরা খাবারের অর্ডারের জন্য খাবারের মেনু বইটি নিলাম। আসলে সবাই আমার উপরের দায়িত্ব দিয়ে বলল যে আমি যে খাবারটি অর্ডার করবো তারা সবাই মিলে সেই খাবারটি খাবে। আসলে আমি একটু স্পাইসি ধরনের খাবার খেতে চাইলাম। তাই আমি সেই খাবারের মেনু থেকে ফ্রাই রাইস এবং চিকেন পকোরা অর্ডার করলাম।
পাশ থেকে আমার গিন্নি বলে উঠল যে এখানে ফালুদা পাওয়া যায় কিনা। আমি তখন মেনু বইটিতে খুঁজতে শুরু করলাম কোথায় ফালুদা আছে। এরপরে আমি ফালুদা দেখে ওই রেস্টুরেন্টের স্পেশাল ফালুদাটি অর্ডার করলাম। আসলে যেহেতু আমরা আগে ফ্রাইড রাইস অর্ডার করেছিলাম সেহেতু আগে ফ্রাইড রাইস আসার কথা ছিল। কিন্তু ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন পকোড়ার আগে ফালুদা চলে এলো। যাইহোক আমার গিন্নি যখন ফালুদা দেখাচ্ছিল আমরা সবাই তখন বসে বসে শুধু তার খাওয়া দেখছিলাম।
যেহেতু সবাই ওর খাওয়া দেখছিলাম তাই সেই লজ্জিত হয়ে গেল। এরপরে আমাদের সেই ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন পকোড়া চলে এলো। আসলে সত্যি বলতে কি ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন পকরাটি মোটেও ভালো ছিল না। আসলে ফ্রাইড রাইস এইরকম স্বাদের হয় তা আমি আগে জানতাম না। কিন্তু কি করবো এদিকে পেটে ক্ষুধা রয়েছে। তাই কোন কিছু না ভেবে আমরা খাওয়া শুরু করে দিলাম।
চিকেন পকরাটি এতই ঠান্ডা ছিল যে আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল যে এই চিকেন পকরাটি আগের দিন তৈরি করার ছিল। এত ভালো একটা রেস্টুরেন্টে এসেছি এবং খাবার এত নিম্নমানের ছিল সত্যিই হতাশাজনক একটা ব্যাপার। যাই হোক এই খাবার দাবার খেয়ে আমাদের আর কারোরই ভালো লাগলো না। এর থেকে মনে হয় সাদা ভাত এবং ডাল অনেক ভালো ছিল।
যাই হোক এর পরে একটা চকলেট মিল্কশেক খেতে চাইলেও আমার ছোট বোন। যাইহোক তার কথামতো কিছুক্ষণের মধ্যে সেই চকলেট মিল্কশেকটি চলে এলো। সবাই কিন্তু ওই মিল্কশেকের টেস্ট নেয়ার জন্য একবার গ্লাসটি সবার কাছ থেকে ঘুরে এলো। আসলে এই রেস্টুরেন্টের একদম সব খাবার খারাপ থাকলেও মিল্কশেক এবং ফালুদাটি অনেক সুন্দর খেতে ছিল। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষে আর দেরি না করে পুনরায় আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 18/11/2022
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।