বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৪৫
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে এই জায়গাটি এতই ভয়ানক যে চারিদিকে যে খাড়া পাহাড় রয়েছে তা দেখলে আমাদের গা শিরশির করে উঠছিল। মনে হচ্ছিল যে চারদিক থেকে পাহাড় আমাদের উপর ভেঙে পড়বে। আসলে জায়গাটিতে আধুনিকতার কোন ছোঁয়া নেই। কিন্তু এখানের আবহাওয়া এতটাই ভালো যে এখানে আসলে সবার মন ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ সত্যিই মন জুড়িয়ে যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ আমরা এই ঝর্ণার চারিদিক ঘুরে দেখতে লাগলাম। আসলে এই ঝর্ণাটি এত কম জায়গায় রয়েছে যে এখানে একসাথে অনেক লোক আসলে তেমন ভালোভাবে কোন কিছুই দেখা যায় না। এছাড়াও পাহাড়ের পাদদেশে কিছু জায়গায় পাহাড় দেখে এমন মনে হচ্ছিল যে সেই অংশের পাহাড় এখনই ভেঙে পড়বে।
তো আমরা আরো কিছু সময় সেই পাহাড়ের ঝর্ণার কাছে অবস্থান করলাম। আসলে এখানে আমরা অনেকটা সময় অতিবাহিত করলাম। এখানে শুধুমাত্র দেখার এই ঝর্ণাটি রয়েছে। তো আমাদের ঝর্ণা দেখা শেষ হয়ে গেলে আমরা পুনরায় বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আসলে ওখান থেকে হেঁটে আসার সময় একটা শিবের মন্দির রাস্তার পাশে রয়েছিল। দূর থেকে শিব মন্দির দিয়ে আমরা দেখতে পেয়ে শিব মন্দিরের কাছে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম।
যেহেতু আমাদের হেঁটে আসতে একটু দেরি হচ্ছিল তাই আমরা সবাই মিলে গল্প করতে করতে আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগোতে লাগলাম। এরপরে আমরা মন্দিরের সামনে এসে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। আসলে এখানকার এই মন্দিরটি অনেক পুরনো একটি মন্দির। এই মন্দিরে একজন পুরোহিত সবসময় কর্মরতর থাকেন। তিনি আসলে এই মন্দিরটির উৎপত্তি সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনিও নাকি অনেকবার ভারত ভ্রমণ করতে এসেছিলেন। ভারত ভ্রমণ করতে এসে তিনি বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘুরে দেখেছিলেন। আসলে ওনার কাছ থেকে আমরা ওনার অনেক অভিজ্ঞতা জানতে পারলাম।
আর পাহাড়ের এই রাস্তার পাশে রয়েছে বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য ছোট্ট একটি পার্ক। এই পার্ক একদম ছোট ঝর্ণা জল বয়ে যাওয়ার পাশে অবস্থিত। যেহেতু চারিদিকে আলোর অনেকটা কমে গেছে তাই এখানকার এই পার্কটিতে তেমন কোন বাচ্চারা খেলাধুলাও করছিল না। এখানে বিভিন্ন জীবজন্তুর মূর্তি তৈরি করা ছিল। যদিও এখানে খুব অল্প জায়গা নিয়ে এই পার্কটি অবস্থিত। আমাদের হাতে সময় থাকলে আমরাও কিছুক্ষণ এই পার্কে সময় কাটাতে পারতাম।
এরপর আমরা হোটেলের দিকে ফেরার জন্য গাড়িতে উঠে পড়লাম। যেহেতু এই জায়গা থেকে আমাদের হোটেলের দূরত্ব অনেক বেশি তাই আমরা একটু আগেই গাড়িতে রওনা করলাম। আসলে জায়গাটি আমার খুব ভালো লেগেছিল। এখানকার চারিদিকের পরিবেশ সত্যিই মনমুগ্ধকর ছিল। এরপর গাড়িতে আসার সময় আমরা সবাই খুব ক্লান্ত ছিলাম। যদিও আমি একা বাদে গাড়ি সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিল। কারণ গাড়িতে আমার কখনোই ঘুম আসে না। এরপর দেখতে দেখতে প্রায় বিকেল হয়ে এলো। এর কিছুক্ষণ পর আমরা আমাদের হোটেলে পৌঁছে গেলাম।
একটু হাতমুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলাম যে চারদিকে কুয়াশা একদম ঢেকে গেছে। আসলে এত অল্প সময়ের ব্যবধানে এত কুয়াশা সত্যিই আগে আমি কখনো দেখিনি। কারণ আমি যখন হোটেলে পৌঁছেছিলাম তখনও চারিদিকে অনেক পরিষ্কার ছিল। কিন্তু যখন বাথরুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে আবার বারান্দায় এলাম তখন দেখলাম যে চারিদিকে একদম কুয়াশায় পরিপূর্ণ। এরপর আর বেশিক্ষণ বারান্দা অপেক্ষা না করে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। কারণ সারাদিনর ঘোরাঘুরিতে আমরা সবাই খুব ক্লান্ত ছিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 17/11/2022
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।