প্রফেসর শঙ্কু পার্ক। শেষ পর্ব।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে পার্কে ঘোরার অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।






আসলে টিনটিন বাবু এই পার্কটিতে এসে খুব মজা করছিল। কারণ ও অনেকগুলো ছোট বাচ্চা দেখে টিনটিন বাবুরও খুব খেলাধুলা করতে ইচ্ছা করছিল। আসলে টিনটিন বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখে আমাকে প্রশ্ন করেছিল যে এটা কি জিনিস। টিনটিন বাবুর এই বিভিন্ন নতুন নতুন জিনিস শেখার জন্য তার আগ্রহ খুব বেশি থাকে সবসময়।





এরপর আমরা একটা ছোট গাছ দেখতে পেলাম। গাছটি দেখে মনে হচ্ছিল যে এটি একটি বনসাই গাছের মতো। আসলে গাছটির পাতায় কিন্তু ছোট ছোট কাটা ছিল।টিনটিন বাবু এই ছোট গাছটি দেখে আমাকে বলল কাকা ছোট গাছ।





এরপর একটা পিরামিডের ভাস্কর্যের পাশে গিয়ে টিনটিন বাবু আমাকে জিজ্ঞাসা করল যে এর ভিতরে এই জিনিসটি কি। আসলে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে ওর কিন্তু বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন জিনিস শেখার প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। তখন আমি ছোট করে পিরামিডের ইতিহাস টিনটিন বাবুর কাছে বর্ণনা করলাম।





এরপর পার্কের পাশে একটি ছোট ঝোপঝাড়ের ভিতর একটা ডাইনোসরের মূর্তি তৈরি করা ছিল। এই ডাইনোসরের মূর্তিটা দেখে আমাদের বাবু কিন্তু একটু ভয় পেয়েছিল। পরবর্তীতে আমি বাবুকে একটু সাহস দিয়ে ওই মূর্তিটির কাছে নিয়ে গেলাম। আসলে পরবর্তীতে ও বুঝতে পেরেছে যে এটি একটি মূর্তি তাই টিনটিন বাবু আর ভয় পেল না।






এরপর আমরা দেখলাম যে একটা খাঁচার ভিতর একটা লোক উপরে উঠার একটা ভাস্কর্য রয়েছে। আসলে এই পার্কটিতে যে বাচ্চাগুলো খেলাধুলা করছিল তারাও এই খাঁচার ভিতর উপরে উঠার চেষ্টা করছিল।








আসলে এই পার্কটি ছোট হলেও এর ভিতর বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখার রয়েছে। আসলে আমার মনে হয় প্রতিটা অভিভাবক তাদের বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে এসব পার্ক ঘুরতে আসা উচিত। কারণ এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারবে।








এরপর গেলাম আমরা একটা এলিয়ন মূর্তির পাশে। এই মূর্তিটি দেখেও আবার আমাদের ছোট বাবু একটু ভয় পেয়ে গেল। তারপর আমি ওকে হাত ধরে জোর করে নিয়ে গিয়ে এলিয়নের মূর্তির পাশে গিয়ে ওকে ওই মূর্তিটি স্পর্শ করালাম। আমার মনে হয় বাচ্চারা যদি কোন জিনিস দেখে ভয় পায় তাহলে সেই জিনিসটা সম্পর্কে তাদের সঠিক ধারণা দিতে হবে।














এরপর আমরা পাশের আরেকটা জায়গায় গেলাম। আসলে এই জায়গাটিতে বিভিন্ন ধরনের গ্রহের ছোট ছোট ভাস্কর্য তৈরি করা ছিল। যদিও কোনটা কোন গ্রহ আমরা বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু আমাদের টিনটিন বাবু এই গ্রহগুলির ভাস্কর্যকে সে বল বলে আখ্যায়িত করেছিল।











আসলে পার্কটি ছোট হলেও পার্কের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের চিত্র অংকন করা ছিল বিভিন্ন দেয়ালের গায়ে। আসলে এসব দেয়ালে প্রফেসর শঙ্কুর বিভিন্ন ধরনের কাহিনী উল্লেখ করা ছিল।





যদিও প্রফেসর শঙ্কু সম্পর্কে আমার বেশি একটা ধারণা ছিল না। আমি তার একটি বাংলা মুভি দেখেছিলাম। ওই মুভি থেকে আমার যতটুকু জানা। এছাড়াও প্রফেসর শঙ্কু সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দাদা আমাদের দিয়েছিলেন।



ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 27/08/2023


তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।


সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Sort:  
 last year 

প্রফেসর শঙ্কু পার্কে শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই । বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন পার্কে। বিভিন্ন ধরনের আলোকচিত্র গুলো সত্যি বেশ অসাধারণ। এলিয়ন মূর্তি দেখে খুব ভালো লাগলো। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59596.75
ETH 2659.83
USDT 1.00
SBD 2.45