দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
বর্তমান সময়ে আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি যে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম যে হার বৃদ্ধির পেতে শুরু করেছে তাতে করে মানুষের এইসব দ্রব্য কেনার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হচ্ছে তা সেসব মানুষ কখনোই সংগ্রহ করতে পারছে না। আসলে এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকেরা সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে। আসলে এই দ্রব্যমূল্যের দাম এত বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো কিছু অসৎ লোক কম দামে পণ্য কিনে এনে সেই কম দামি পণ্য বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। এছাড়াও যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সেই হারে কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধি পায়নি। তাইতো এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত দ্রব্যের।
আর এই অতিরিক্ত দ্রব্যের প্রয়োজনের ফলে মানুষ সেইসব দ্রব্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি করছে। আসলে দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি করলেও মানুষ তার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কখনোই পাচ্ছেনা। কারণ এই বিশাল সংখ্যক জনগণের জন্য অনেক বেশি জিনিসের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও বর্তমান সময়ে আমরা সবাই বাজারে গেলে দেখতে পাই যে, যে জিনিসের দাম দুদিন আগে দশ টাকা ছিল সেই একই জিনিসের দাম দুদিন পরে পনেরো টাকা হয়ে গেছে। আসলে এই হারে যদি দ্রব্যের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তাহলে একসময় আমাদের বস্তা ভর্তি টাকা নিয়ে বাজারে যেতে হবে। আসলে বস্তা ভর্তি টাকা শেষ হয়ে গেলেও আমাদের বস্তাবাজারের প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে ভরবে না।
আসলে সবাই এখন আধুনিক সমাজে বসবাস করে। তাইতো মানুষ আর কৃষি কাজ করতে তেমন একটা আগ্রহী প্রকাশ করে না। আগেরকার সময়ে এত ফাঁকা মাঠ ছিল এবং সেই সব ফাঁকা মাঠে প্রচুর পরিমাণ ফসল উৎপাদন হতো। কিন্তু যারা ফসল উৎপাদন করে অর্থাৎ কৃষকেরা সেই আগেরকার থেকে বর্তমান সময়ের অব্দি তারা তাদের ন্যায্য টাকা কখনো পায় না। আসলে তারা এত কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করে এবং তাদেরকেই সব সময় কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ঠকায়। আর এর ফলে এসব কৃষকদের আর ইচ্ছা নেই যে অতিরিক্ত ফসল মাঠে ফলানোর জন্য। আর এর জন্য দেশের ফসলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সেই হারে ফসল আর উৎপাদন হচ্ছে না।
আসলে এভাবে চলতে থাকলে একসময় মানুষের লড়াই করতে হবে এই খাবারের জন্য। আসলে বর্তমান সময়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে অল্প জমিতে অনেক বেশি পরিমাণ ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। আর এই সব প্রযুক্তি যেহেতু আগে ছিল না তাই আগে অনেক সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিত। আসলে বর্তমান সময়ে ফসলের উৎপাদনও যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি অন্য দিক থেকে জনসংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য দেশে অতিরিক্ত জমি দখল হয়ে যাচ্ছে বসবাসের জন্য। আসলে এমনটা হলেও কিন্তু ফসল উৎপাদন বেশি করে কোন লাভ নেই। কারণ জমির পরিমাণ কমে গেলে মানুষ ফসল কোথায় উৎপাদন করবে।
আর এজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং বাজারের দ্রব্যমূল্য যাতে সব সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আসলে কিছু সিন্ডিকেট টাইপের লোকেরা বাজারের এই দ্রব্যমূল্যের দাম সবসময় নির্ধারণ করে। তারা মনে করে যে তারাই নাকি বাজারটাকে কন্ট্রোল করে। আসলে এইসব একচেটিয়ে ব্যবসায়ীদের কারণে আজ বাজারে প্রতিটা পণ্যের দাম অনেক বেশি হয়। আসলে বাজারে কিন্তু পণ্যের দাম এতটা বেশি কখনোই নয়। আর এইসব অসাধু ব্যক্তিদের জন্য সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গরিব শ্রেণীর লোকেরা।
তাইতো আমাদের সবাইকে এসব খারাপ লোকেদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ তারা তাদের ন্যায্য মূল্যটা যদি বাজারে সব সময় রাখে তাহলে সব শ্রেণীর লোকেদের অনেক বেশি ভালো হবে। আর এজন্য আমরা যদি দুই একজন ব্যক্তি এসে এইসব লোকেদের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলি তাহলে সেই জিনিসটা বেশিক্ষণ থাকবে না। কারণ বাজারে এইসব সিন্ডিকেট টাইপের লোকেরা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। আর আমরা যদি সবাই মিলে একসাথে এসে এসব লোকেদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই তাহলে এইসব খারাপ লোকেরা সমাজ থেকে বাইরে হাঁটতে অবশ্যই বাধ্য থাকবে। আর এর ফলে দ্রব্যমূল্যের আর বেশি উর্ধ্বগতি হবে না।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন দ্রব্যমূল্য যদি এরকম ভাবে উর্ধ্বগতিতে চলতে থাকে তাহলে একসময় সত্যি মানুষের খাবারের জন্য যুদ্ধই করতে হবে।
বর্তমানে তো পরিস্থিতিতে রয়েছি খাবারের জন্য অনেকটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাও তো ভালো মানের খাবার গুলো খেতে পারছি না ইচ্ছামত।
সময় উপযোগী একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট তথ্যবহুল ভাবে আলোচনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে দাদা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পিছনে মূল দায়ী হলো আমাদের দেশের অধিক মুনাফা লোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর এরকম অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে আমাদের দেশের অসংখ্য নিম্ন শ্রেণীর মানুষেরা তাদের সাধারণ জীবন যাপনে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে রুখে দেওয়ার জন্য আমাদেরকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
অবস্থা টা এমন দাঁড়িয়েছে ভাই কৃষকেরা তাদের ফসলের নায্য মূল্য পাচ্ছে না। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত অর্থ সেটা সেটা ক্রয় করছে। এই দুইয়ের মাঝে থেকে এক শ্রেণির দালাল অসাধু ব্যবসায়ীরা হচ্ছে লাভবান। তারা পণ্য মজুদ করে রেখে একটা কৃএিম সংকট তৈরি করে এবং দাম বাড়িয়ে দেয়। তারপর চলে এসব নাটক। এগুলোর জন্য সঠিক তদারকি প্রয়োজন।