এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -৫৩
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
শীতের শেষের দিকে জমিতে জল থেকে যায়। যদিও যে জল থাকে সে জল কিন্তু হাঁটু জলের অনেক নিচে অবধি থাকে। আর এসব জমিতে তখন মাছ শিকার করা পাখিদের পক্ষে অনেক সহজ হয়। আর তাই মনের আনন্দে বক পাখিগুলো এই অল্প জলেতে নেমে মাছ শিকার করে। এছাড়াও এই সময় কিছু কিছু অঞ্চলে শীতকালীন ধানের চাষ দেখা যায়। অনেকে আবার এই সময় ধানের চারাগাছ রোপন করে। আর এই শীতের মরশুমে বক পাখিগুলো প্রায় দুপুর নাগাদ এসব জলে মাছ শিকার করে।
যদিও এই অল্প জলে মাছের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই মাছের সাথে সাথে বক পাখির সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। মাঝে মাঝে তো দু একটা পাখির ভিতর লড়াই হয়ে যায়। কারণ একদিকে যেমন অল্প জলে মাছ শিকার করা সহজ হয় তেমনি এইসব বক পাখিরা অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে তাদের তাদের এই শিকারের জায়গায় আসতে দেয় না। তাই তারা কোন পাখিকে দেখলেই সেই পাখিকে তাড়া করে।
আসলে এই পাখিটি হলো টুনটুনি পাখি। আসলে টুনটুনি পাখির অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। কারণ এক এক ধরনের টুনটুনি পাখি দেখতে এক এক কালারের হয়। এই টুনটুনি পাখির প্রধান খাদ্য হলো বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়। এছাড়াও মাঝে মাঝে এরা মাটির নিচ থেকে বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। এসব পাখিরা আকারে খুব ছোট হয়। কোন কোন টুনটুনি পাখির গায়ের রং ধূসর বর্ণের এবং কোন কোন টুনটুনি পাখির গায়ের রং হলুদ বর্ণের।
আসলে এই টুনটুনি পাখির বাসা আমরা সবাই প্রায় দেখেছি। কারণ এই টুনটুনি পাখি ছোট ছোট গাছের ডালে ছোট্ট একটা বাসা তৈরি করে সেখানে ডিম পাড়ে। যদিও এই টুনটুনি পাখিরা ছোট গাছে বাসা বাঁধতে পছন্দ করে। তাই বিভিন্ন প্রাণী তাদের এই ডিমকে সহজে শিকার করে। এছাড়াও তাদের যখন বাচ্চা ফোটে সেই সময় বিভিন্ন প্রাণীরা সেই বাচ্চা আক্রমণ করে মেরে ফেলে।
আসলে এই পাখিটা একপ্রকার অতিথি পাখি। এই পাখিটির গায়ের বর্ণ অনেকটা লালচে ধরণের। এই পাখির প্রধানত বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। আসলে বড় বড় হাওর, বাওর এবং বিল এলাকাতে এই ধরনের পাখি সব থেকে বেশি দেখা যায়। এছাড়াও শীতের সময় এই পাখির আগমন সবথেকে বেশি হয়।
একটা কথা আছে না, বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেবো কিসে। আসলে এই লাইনটির জন্য এই পাখিটি আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে। আসলেই পাখিটি হলো সেই বুলবুলি পাখি। এই বুলবুল পাখি সাধারণত আমরা বিভিন্ন ধরনের ফসলের এলাকাতে দেখে থাকি। কারণ এইসব বুলবুলি পাখি সব থেকে বেশি ফল খায় এবং এদের প্রধান খাদ্য কিন্তু ফল।
আর এই পাখির হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের পথ অবলম্বন করে থাকে। কারণ এইসব পাখিদের সবচেয়ে প্রিয় খাদ্য হলো ফলের কচি অংশটি। অর্থাৎ ফলগুলো যখন ছোট অবস্থাতে থাকে তখন এই ফলগুলো এই ধরনের পাখি খেয়ে থাকে। আসলে এই ধরনের পাখি আমাদের এসব অঞ্চলে সবথেকে বেশি দেখা যায়।
ক্যামেরা পরিচিতি : Nikon
ক্যামেরা মডেল : Nikon 5200D
ক্যামেরা লেংথ : 50 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আপনি সব সময় কিন্তু অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে একেবারে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু পাখির ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্য থেকে কোনটা রেখে কোনটা দেখব আমি তো এটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। সবগুলো ফটোগ্রাফি করে সুন্দর বর্ণনা ও তুলে ধরলেন। বুলবুলি পাখির প্রধান খাদ্য ফল এটা আগে জানা ছিল না।
এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লেগেছে।এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি সত্যি, বিশেষ করে প্রথম দুইটি সাদা বকের দৃশ্য বেশ মুগ্ধকর শট মনে হয়েছে আমার কাছে। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে দাদা। জমিতে যখন অল্প পানি থাকে সেই জমিতে মাছ থাকে আর সেই মাছ পাখি শিকার করে এই দৃশ্যগুলো অনেক দেখেছি। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেই দৃশ্য দেখতে পেরে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। শীতকালীন সময়ে পাখিদের গাছের ডালে বসে থেকে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় শিকার করা। এই দৃশ্যগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে তাদের লক্ষ্য তাদের স্থির ভাবে বসে থেকে ধৈর্য সহকারে শিকার করার দৃশ্যটি আমাকে ভাবায়। খুবই সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে দাদা।
বাহ আপনি তো অনেক সুন্দর করে এলোমেলো ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে টুনটুনি পাখিগুলো আমাদের এদিকে এখন আর দেখা যায় না। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এই পাখিগুলো দেখতাম। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনা দিয়ে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। এ ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে অসম্ভব ভালো লাগে। তবে বক এবং টুনটুনি পাখির ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লাগলো। এবং অল্প পানিতে বক মাছ শিকার করতে বেশি পছন্দ করে। তবে টুনটুনি পাখি এখন আমাদের এদিকে দেখা যায় না। সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর করে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব নিখুঁতভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করে থাকেন। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। ধন্যবাদ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।