দুঃখের কথা কি আর বলব। আমি একা একা বসে সবার ব্যাগ পাহারা দিচ্ছিলাম। যদিও আমি বাইরের দৃশ্যটাকে অনুভব করছিলাম। বসে বসে বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা ঘোরাঘুরি করছিল মাথায়। যদি এমন হতো এই পৃথিবীতে কোন দেশের কোন বর্ডার বা সীমানা থাকতো না তাহলে কি মজাই না হত। আসলে আমরা মানুষ তো সবাই একই। তাহলে কিসের এত দেশের ভেদাভেদ অথবা দেশের বর্ডার। এত কিছু তো প্রয়োজন ছিল না। সব মানুষ একই সাথে মিলেমিশে বসবাস করতাম।

আসলে আমাদের এই পৃথিবীটা বড়ই আজব। আসলে বসে বসে আর কি করবো এসব ধরনের চিন্তাই মাথায় ঘুরছিল। বিভিন্ন দূর থেকে লোকজন এখানে এসে ঘোরাঘুরি করছিল। এছাড়াও পৃথিবীতে এক এক ধরনের মানুষ আমরা দেখতে পাই। কোন মানুষের সাথে সাধারণত কোন ধরনের মিল থাকে না। কেউ কেউ বন্ধুবান্ধব নিয়ে এই জায়গায় ঘুরতে এসেছে আবার কেউ কেউ তার পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে এখানে সময় কাটাতে এসেছে।





বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চাগুলো এখানে এসে খুব খুশি ছিল এবং খুব মজা করছিল। যদিও জায়গাটা কিন্তু একটু বিপদজনক কারণ চারিদিকে বড় বড় পাথর ছড়িয়ে আছে। আর এই পাথরের উপর যদি কেউ একবার পড়ে যায় তাহলে তার নাক মুখ কেটে যেতে পারে অথবা সে ব্যথাও পেতে পারে। যাইহোক কিছুক্ষণ পর পর বিভিন্ন ধরনের খাবার খাচ্ছিলাম এবং একটু শুয়েও ছিলাম। এদিকে সবাই একটু চোখের আড়ালে চলে গিয়েছিল। অর্থাৎ আমার কাছ থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিল।





কিছুক্ষণ পর আমার ওই কাকা এসে আমাকে বলল, যা নিলয় এবার তুই একটু ঘুরে আয়। আমি এখানে বসে বসে সবার ব্যাগগুলো পাহারা দিচ্ছি। আরেকটা ব্যাপার হল এখানে একটা সিট পাওয়া খুবই কষ্টকর ব্যাপার। কারন আমরা যদি আমাদের এই স্থানটি একবার ছেড়ে দিই পুনরায় ওই স্থানটি পাওয়া অসম্ভব। কারণ এসব জায়গায় কারো ব্যক্তিগত জায়গা নয়। তাই আমরা পর্যায়ক্রমে আমাদের এই স্থানটি ধরে রাখলাম।





তো আমি সবার কাছে গিয়ে খুব মজা করতে লাগলাম এবং যাবার আগে আমি আমার জুতো খুলে রেখে গিয়েছিলাম। কারণ আমি এই হাঁটু সমান জলে নেমে একটু সবার সাথে মজা করবো। সবার কাছে যেতেই আমি পাশের একটি ছোট জলাধারে নেমে গেলাম। আসলে পাহাড়ি জল খুব ঠান্ডা ছিল। যদিও বাইরের পরিবেশটা গরম ছিল সেই তুলনায় জল ততটাই ঠান্ডা ছিল। তারপর আমরা সবাই মিলে ঘোরাঘুরি করে আবার পুনরায় বাড়ির দিকে ফেরার জন্য সবার ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম।





এদিকে আসার পথে আমরা পাশের একটি দোকান থেকে ডাব কিনে খেলাম। আসলে পাহাড়ি অঞ্চলের ডাবের জল খুব মিষ্টি হয়। এছাড়াও এই নারকেলের শাঁসও খেতে দারুন। যাইহোক আমি যখন ডাব খেতে শুরু করলাম তখন পর্যায়ক্রমে সবাই এসে ডাব খেতে শুরু করল। সবাইতো ডাবের জল খেয়ে ডাব রেখে আমার জন্য চলে গেল। আমি দোকানদার দাদাকে বললাম আপনি ডাবের শাঁস গুলো একটা ব্যাগে করে আমাকে দিয়ে দিন।





তারপর আমরা পুনরায় সেই আমাদের ভাড়া করা নৌকাতে উঠে গেলাম। কিন্তু নৌকার উঠার মুহূর্তে একটু সমস্যা হল যে বাইরের কতগুলো ছেলেও ওই নৌকাটিতে উঠতে চাইল। যেহেতু আমরা পরিবার নিয়ে এসেছি তাই আমি বিষয়টিতে একদম অমত ছিলাম। তাই আমি নৌকার মাঝিকে বললাম আপনি আমাদের বাদে আর কাউকেই নিতে পারবেন না এই নৌকাতে। কারণ এই নৌকার মাঝে আমাদের সাথে একটু দুষ্টুমি করছিল কারণ সে এক্সট্রা লোক নিতে পারলে তার এক্সট্রা টাকা হবে। আমি ব্যাপারটাতে অসম্মতি প্রকাশ করে আমরা নৌকা নিয়ে পুনরায় ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।


আসলে বাইরের পরিবেশ খুব গরম থাকায় আমরা সবাই বাথরুমে গিয়ে পুনরায় গাড়িতে উঠে পড়লাম। এদিকে একদিকে যেমন গরম তেমনি অন্যদিকে ধুলায় ভর্তি। যদিও গাড়ি পার্কিংয়ের এলাকাটি খুব নোংরা ছিল। তাই আমরা দ্রুত গাড়িতে বসে পুনরায় বাড়ির দিকে রওনা দিলাম

ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI

ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10

ক্যামেরা লেংথ : 3 mm

তারিখ : 12/11/2022

তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে।