আমার প্রিয় মানুষটার জন্মদিন।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার প্রিয় মানুষটার জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
দিনটি আমার জন্য খুবই স্পেশাল। কারণ এই দিনটিতে আমার প্রিয়তমা এই পৃথিবীর মুখ দেখেছিল। কারণ আজ আমার গিন্নির জন্মদিন ছিল। আমি ওর জন্য তেমন কোন আয়োজন করতে পারিনি কারণ তার আগের দিন দাদার আশীর্বাদ ছিল। আর এই আশীর্বাদে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে আমি আমার গিন্নির এই জন্মদিনটা ঠিকঠাকভাবে পালন করতে পারিনি। ভেবেছিলাম যে রাত বারোটার সময় তাকে সারপ্রাইজ দেব। কিন্তু দাদার অনুষ্ঠান শেষ করে গিন্নির কাছে যেতে যেতে আমার প্রায় রাত এগারোটা বেজে গিয়েছিল।
আসলে আমার গিন্নি আমাকে খুবই ভালোবাসে। সে আমার সবকিছুই বুঝতে পারে। আসলে কেক কেনার ব্যাপারটাও সে বুঝতে পেরেছিল। তাই সে নিজে থেকেই আমাকে বলেছিল, সামনের বছর তুমি আমার জন্মদিনটা ভালো করে পালন করো। আসলে আমি জীবনে এমন একজন মানুষের হাত পেয়েছি যার কাছে আমি আমার সব মনের কথা নির্দ্বিধায় শেয়ার করতে পারি। আসলে কর্মজীবনে অনেক সময় দেওয়া যায় না পরিবারকে।
তবুও জন্মদিনের দিনে আমি গিন্নিকে বললাম চলো আমরা একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। তাই আমি ওকে নিয়ে বিকালের দিকে একটু ঘুরতে বের হলাম। আসলে ঘোরার আগে আমি বাড়িতে একটা কেক কিনে নিয়ে এসেছিলাম। যদিও কেকের ছবি তুলতে আমার মনে ছিল না। যাইহোক বিকালে বেরিয়ে আমি গিন্নিকে বললাম আজ তুমি যা খেতে চাইবে আমি তোমাকে তাই খাওয়াবো। আপনারা শুনে অবাক হবেন যে, ও আমার কাছে মাত্র দশ টাকার ফুচকা খেতে চেয়েছিল।
তখন আমি ওকে জোর করে একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলাম। ওখানে গিয়ে আমি প্রথমে চাওমিন অর্ডার করলাম এবং একটা ফ্রাইড মোমো অর্ডার করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি আবার ওকে নিয়ে গেলাম ফালুদা দোকানে। আসলে ফালুদা আমার গিন্নির খুব প্রিয়। ফালুদা খাওয়া শেষে আমি একটি পাশে কুকুর দেখতে পেলাম। আসলে কুকুরটি দেখতে খুব সুন্দর ছিল। আমি কুকুরছানা থেকে একটু আদর করে আবার পুনরায় বেরিয়ে পড়লাম।
কিছুক্ষণ পর ও আমাকে জিজ্ঞাসা করল আমাকে একটা চুড়ি কিনে দেবে। সাথে সাথে একটু দোকানে গিয়ে আমি ওকে এক জোড়া চুড়ি কিনে দিলাম। এরপর আমরা পুনরায় বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। কিন্তু বাড়িতে আসার পথে দেখি এখনো গণেশ পুজো চলছে। তাই আমি ওকে নিয়ে বিভিন্ন মন্ডপে গিয়ে গণেশ পূজা দেখতে লাগলাম। আসলে দিনটি আমার কাছে খুবই স্পেশাল ছিল। কারণ আমার গিন্নির জন্মদিনে আমি ওকে নিয়ে একটু বাইরে ঘোরাঘুরি করতে পেরেছি তাই আমার খুব ভালো লাগছিল।
এছাড়াও একই দিনে গনেশ পুজোর বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরতে পেরে আমারও খুব ভালো লাগছিল যেমন তেমনি আমার গিন্নির খুব ভালো লাগছিল। তো যেহেতু আমার গিন্নির জন্য স্পেশাল তাই আমি ওর জন্য পায়েস তৈরির সব সামগ্রী কিনে বাড়িতে চলে এলাম। আমি নিজে হাতে আমার গিন্নির জন্য পায়েস তৈরি করলাম। যদিও পায়েসের স্বাদটা ততটা ভালো হয়নি। তবুও আমার গিন্নি ভক্তি সহকারে পায়েসটি খেলো। যাইহোক আমি আমার গিন্নিকে খুব ভালোবাসি। আর আমি ওকে নিয়ে খুব সুখী।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 23/09/2023
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আসলে ভাইয়া ভালোবাসাটা এমনি হওয়া উচিত একজনের প্রতি আরেকজনে। আপনারা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে দশ টাকার ফুচকায় হাজার টাকার সমান। আরো অনেক ভালো লেগেছে আপনি নিজ হাতে তার প্রিয় জিনিস রান্না করে দিয়েছেন বলে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বেশি ভালো লাগলো এই কথা শুনে যে আপনি আপনার অর্ধাঙ্গিনী জন্য নিজের হাতে পায়েস রান্না করেছেন ও সে ভক্তি নিয়েই খেয়েছে। উনাকে দেখতে ইচ্ছে বেশ। যাইহোক দুজনে খুব ভালো সময় অতিক্রম করেছেন।
বৌদিদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনাদের দুইজনের জন্য। এমন ভালোবাসা অনন্তকাল চির-অটুট থাকুক। গণেশ পুজো দেখা, চুড়ি কিনে দেয়া, দশটাকার ফুচকা ও রেস্টুরেন্টে চাওমিন ও মোমো খাওয়া সব মিলিয়ে আশা করছি বেশ ভালো সময় কেটেছে।
শুরুতেই বৌদিকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা এবং বিশ্বাস থাকলে ভালো থাকার জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না।তাই হয়তোবা এই বিশেষ দিনে বৌদি আপনার কাছে মাত্র ১০ টাকার ফুচকা খেতে চেয়েছিলো।বিশেষ দিনে ঘোরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া এবং গণেশ পূজোর মণ্ডপ দর্শন করা সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি দিন কাটিয়েছেন তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।ঈশ্বর আপনাদের এই বন্ধন চির অটুট রাখুক এই প্রার্থনা করি।শুভকামনা রইলো❤️❤️
তাহলে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে দারুণ কিছু মুহুর্ত দারুণভাবে উপভোগ করলেন। এটা আমার কাছে সেরা আইডিয়া, কারন কেক কাটাটা আমার কাছে মোটেও ভালো লাগে না, তার চেয়ে বাহিরে ঘুরে, মজার খাবারের সাথে সময়গুলোকে উপভোগ করাকে আমি বেশী গুরুত্ব দেই। আপনার প্রিয় মানুষটির জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল, ভালোবাসা এই বন্ধন টিকে থাকুক যুগ যুগ ধরে।
সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া শুনে আপনি আপুর জন্য পায়েস রান্না করেছেন। আপনাদের ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হলাম। আপুর জন্য জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার প্রিয় মানুষটার জন্মদিন উপলক্ষে চমৎকার মহূর্ত কাটিয়েছেন। প্রথমেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আপনাদের জন্য অনেক দোয়া রইল। এভাবেই যেনো সারাটি জীবন এক সাথে থাকতে পারেন এই কামনাই করি।
প্রথমে বৌদি জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। শুভ জন্মদিন। জন্মদিনে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। জন্মদিনের অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। আপনাদের এই পবিত্র বন্ধন চির অটুট থাকবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। এত চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।