বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ০১
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি খুব খুশি কারণ আমি বাংলাদেশ ভ্রমণ সম্পর্কে আজ পোস্ট করতে যাচ্ছি। " আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালোবাসি " সত্যিই এই সোনার বাংলাদেশের সৌন্দর্যের কোনো তুলনাই হয় না।
স্টেশন যাবার সময় একটা সেলফি।
অনেক দিন ধরে ভাবছি বাংলাদেশ ঘুরতে যাবো। কিন্তু যাবো যাবো করে আর যাওয়া হচ্ছে না। তো একদিন গিন্নি রেগে বললো তোমার আর পাসপোর্টও করা হবে না আর বাংলাদেশেও যাওয়া হবে না। কথাটা শুনে আমার খুব রাগ হলো।
ট্রেনে উঠে দুজনে জানালার পাশে বসে একটা সেলফি।
তো গিন্নিকে না জানিয়ে দুইজনের পাসপোর্টের আবেদন করে দিলাম। দশ দিন পর পাসপোর্ট পেয়ে বাংলাদেশের জন্য ভিসার আবেদন করলাম।
চারিদিক কুয়াশার চাদরে ঢাকা।
সাত দিনের মাথায় গিয়ে ভিসা পেয়ে গিন্নিকে বললাম তোমার জন্য একটা সারপ্রাইস আছে। আমরা দুই দিন পর বাংলাদেশে ঘুরেতে যাবো। গিন্নি শুনে খুব খুশি হলো।
রেলাইনের পাশে একটা ফুলের বাগান।
যাবার আগের দিন আমরা আমাদের ব্যাগ গোছালাম। কারণ আমাদের খুব ভোরের ট্রেনে উঠতে হবে। পরের দিন ভোরে উঠে হাত মুখ ধুয়ে বের হলাম।
এদিকে আমাদের ট্রেনের টাইম হয়ে গেছে। তো জোর পায়ে আমরা হাঁটতে শুরু করলাম। স্টেশনে গিয়ে দেখি ট্রেন ঢুকছে। আমি গিন্নিকে বললাম তুমি ট্রেনে ওঠো আমি টিকিট কেটে দ্রুত উঠে যাবো। টিকিট কেটে ট্রেনে উঠতেই ট্রেন ছেড়ে দিলো। আর একটুর জন্য আমরা ট্রেনটি পেলাম।
ইজি-বাইকে উঠে বর্ডারের দিকে যাচ্ছি।
ট্রেনে উঠেই আমরা বসার জায়গা পেয়ে গেলাম। কারণ ভোরের ট্রেন অনেকটাই ফাঁকা থাকে। আমাদের গন্তব্য স্টেশন হলো বসিরহাট। বসিরহাট একটু গ্রামের দিকে হবার কারণে লাইনের দুইদিক কুয়াশায় ঢাকা ছিল।
বসিরহাটের নদী পার হচ্ছি।
ঘন্টাখানেক পর আমরা বসিরহাট পৌঁছলাম। সেখান থেকে একটা ইজি-বাইক নিয়ে আমরা বর্ডারের দিকে রওনা হলাম। স্টেশন থেকে বর্ডারে যেতে আমাদের প্রায় ত্রিশ মিনিট সময় লেগেছিলো।
বর্ডার অফিসের সামনে একটা সেলফি।
বর্ডারে নেমে আমরা তাড়াতাড়ি হাঁটতে লাগলাম। কারণ আগে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমাদের ইন্ডিয়ার বর্ডারের কাজ শেষ হয়ে গেলো।
লাইনটি তেমন একটা বড়ো ছিল না।
তারপর আমরা বাংলাদেশে যাবার আগে আমাদের ব্যাগ একটি স্ক্যানারের মধ্যে স্ক্যান করা হলো। শেষে কয়েকজন ইন্ডিয়ান সৈনিক পুনোরায় আমাদের ব্যাগ চেক করলেন।
তারপর আমরা বাংলাদেশের দিকে হাঁটতে লাগলাম। এই দুই দেশের মাঝ দিয়ে ছোট্ট একটা খাল বয়ে গেছে। খালের উপরের ব্রিজ পার হবার পর বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড আমাদের পাসপোর্ট এবং ব্যাগ পুনরায় চেক করলেন।
পরবর্তীতে আমরা বাংলাদেশ বর্ডার অফিসে প্রবেশ করলাম। ওখানে গিয়ে দেখি ওনাদের কম্পিউটারে লিংক নেই। তো আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে লাগলাম। কুঁড়ি মিনিট পর সংযোগ আসার পর আমাদের পাসপোর্টে তারা সিল মেরে দিলেন।
বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম সেলফি।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 19/12/2022
অবশেষে আমরা সোনার বাংলাদেশে প্রবেশ করলাম।
আজ এই পর্যন্ত। দেখা হবে পরবর্তী পর্বে। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
যাক আপু রাগ হয়ে বলেছে বিদায় আপনি ও রাগ করে পার্সপোট টা করলেন।অবশেষে সোনার বাংলা দেশে প্রবেশ করা হলো।আপনাদেরকে স্বাগতম বাংলাদেশে।আশা করি দিনগুলো ভালো কাটবে।ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ।
বাংলাদেশে স্বাগতম।বৌদি রাগ না হলে আরো দেরি হত এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত। বৌদির জন্যই তারাতারি আসতে পারলেন।যাই হোক আপনাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ভাল লাগল। আপনাদের বাংলাদেশ ভ্রমণ সুখের হোক।এই প্রার্থনা করি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশে স্বাগতম জানাই দাদা।
বৌদি রাগ করার কারনেই হয়তো আজ বাংলাদেশে আসতে পেরেছেন। আসলে প্রিয়জনদের রাগ অনেক সময় দারুন কিছু বয়ে আনে। আপনাদের সুন্দর সময় কাটুক এই প্রত্যাশা করছি।
তা ঠিক।কিন্তু প্রিয়জনদের রাগ অনেক সময় টাকা ও খরচ করায়।
এটা ঠিক বলেছেন ভাই।
বৌদির উপর রাগ করেছিলেন বলেই পুরো প্রসেসটা আরো বেশি দ্রুত করার চেষ্টা করেছেন। আর বাংলাদেশে চলে এসেছেন। সত্যি কথা বলতে অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও আমরা অনেক কিছু সময়ের অভাবে করতে পারি না। যাইহোক আমাদের দেশে ঘুরতে এসেছেন জেনে সত্যিই ভালো লাগলো দাদা।
ধন্যবাদ আপু।