স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমার যাত্রার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজকের পোস্টি আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
তো প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আমাদের শ্রদ্ধেয় @rme দাদাকে। দাদার মাধ্যমেই আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে প্রথম আসা। আসলে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে আমার আগে কোনরকম ধারণা ছিল না। তো আমি আমার প্রাথমিক ধারণা পাই দাদার কাছ থেকে। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার স্টিমিটে আসার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তো হঠাৎ একদিন দাদা আমায় এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসলো এবং আমাকে কিছু প্রাথমিক শিক্ষা দিল স্টিমিট সম্পর্কে। প্রথম দিকে আমার কাছে কিছুটা কঠিন মনে হলেও দাদার সহযোগিতায় আমি আস্তে আস্তে অনেক কিছুই শিখে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আমাকে দাদা ডিসকোর্স একটা অ্যাকাউন্ট খুলে দেন এবং সেই সাথে আমাকে আমার বাংলা ব্লগ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করে দেন।
তো প্রাথমিক অবস্থায় আমি একটু নার্ভাস ফিল করছিলাম। কারণ এত বড় একটা প্লাটফর্মে আমি নতুন হিসেবে জয়েন করেছি আর এতে আমার একটু ভয় ভয়ও কাজ করছিল। তো পরবর্তীতে আমি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম।
কিছুদিন পর দাদা আমাকে বলল যে, একটা পরিচিত মূলক পোস্ট করতে হবে। আসলে কিভাবে পোস্ট করতে হয় সেটি আমার জানা ছিল না। আর তাই দাদা আমাকে সবকিছু হাতে-কলমে বুঝিয়ে দিলেন। তো আমি আমার পরিচিত মূলক পোস্ট করলাম সর্বপ্রথম। আসলে আমার এই পোস্টে আপনারা অনেকেই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। এতে আমার উৎসাহ আরো অনেক গুণ বেড়ে গেল।
তো আমার বাংলা ব্লগ কমিটিতে আমাদের যে ক্লাস হয় সেখানে দাদা জয়েন হবার জন্য আমাকে বললেন। তো আমি ক্লাসে জয়েন হয়ে ক্লাস শুরু করতে লাগলাম। আসলে স্টিমিটে অনেক কিছুই শেখার আছে। তা আগে না জানলেও ক্লাস করতে করতে আমি বুঝতে পারছিলাম। তোর ক্লাসের আমাদের এডমিন এবং মডারেটররা আমাদের খুব যত্নশীল ভাবে বিভিন্ন পদ্ধতির শিখাতে শুরু করুন। আসলে কোন জিনিস সিরিয়াস না নিলে সে জিনিস কখনোই সফল হয় না। তাই আমি ক্লাসটিকে খুব সিরিয়াসলি গ্রহণ করলাম।
প্রথমদিকে আমাদের কিভাবে পোস্ট করতে হয় সেগুলো শেখানো হলো এবং যখন আমি প্রথম ক্লাস উত্তীর্ণ করলাম আমাকে একটি ভাইবা এবং একটি রিটেন পরীক্ষাও দিতে হয়েছিল। যাইহোক আমি খুব ভালোভাবেই এই দুটো পরীক্ষায় সফল হলাম এবং দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণ হলাম।
কিন্তু এই দ্বিতীয় ধাপে ঘটে গেল আমার সাথে একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা। আর এর আগে সবাইকেই বলছি যে আপনারা আপনাদের ল্যাপটপ বা ফোনে অবশ্যই এন্টিভাইরাস ইউজ করবেন। আর এই এন্টিভাইরাস ইউজ না করার ফলে আমার সাথে একটি বিপদজ্জনক ঘটনা ঘটে গেল।
তো প্রথমে আমি আমার অ্যাকাউন্ট দিয়ে বরাবরের মতো পোস্ট করতে লাগলাম। প্রথমদিকে আমার পোষ্টের সংখ্যা খুব কম থাকলেও পরবর্তী দিকে আমার পোস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে শুরু করলাম। তো সেই সময় আমার ল্যাপটপে কোন এন্টিভাইরাস ছিল না। আর এর ফলে একদিন হঠাৎ করে আমি আমার ল্যাপটপ বা ফোন দিয়ে আমার একাউন্টে ঢুকতে পারছিলাম না। প্রথমদিকে আমি বুঝতে না পারলেও পরবর্তীতে আমি আমার বিভিন্ন ধরনের পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টা করতে লাগলাম।
তো অনেক চেষ্টার পর আমি আমার একাউন্টে ঢুকতে না পারলে আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম এবং সাথে সাথে দাদাকে পুরো ঘটনাটাই জানালাম। তখন দাদা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও আমার একাউন্টে ঢুকতে পারছিল না এবং পরবর্তীতে টের পায় আমার একাউন্টের পাওয়ার ডাউন দেওয়া হয়েছে এবং সাথে সাথেই দাদা বুঝতে পারেন যে আমার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে গেছে।
এতে আমি খুব হতাশ হয়ে বললাম। তখন দাদা আমাকে জিজ্ঞাসা করল তোর ল্যাপটপে কি এন্টিভাইরাস নেই। তখন আমি দাদাকে বললাম যে আমার ল্যাপটপের এন্টিভাইরাস তিনমাস আগে এক্সপায়ার হয়ে গেছে। আমার এই কথা শুনে দাদা প্রথমে আমাকে বকে নিলেন।
এর পরবর্তীতে দাদার প্রচেষ্টায় আমি আমার আবার অ্যাকাউন্টটি ফিরে পেলাম। কিন্তু ততক্ষণে আমি অনেক দেরি করে ফেলেছিলাম। আসলে প্রথমদিকে আমি বুঝতে পারিনি। আমার অ্যাকাউন্ট থেকে চলে যায় প্রায় ১০০ ডলার।
কিন্তু একটি মজার ঘটনা হলো দ্বিতীয় ধাপের ক্লাসে এই হ্যাকিং সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছিলাম। আর পুরো ঘটনাটাই ঘটে গেল আমার সাথে। যাই হোক আমি একমাত্র ব্যক্তি যার সাথে প্র্যাকটিক্যালি ঘটনাটি ঘটে গেল। তো পরবর্তীতে দাদা তার নিজের খরচে আমার ল্যাপটপে একটি অ্যান্টিভাইরাস কিনে দিলেন।
আর এর ফলে আমার দ্বিতীয় ধাপের ক্লাসটা থেকে আমি অনেকটা পিছিয়ে গেলাম এবং আমার এই পুরো ঘটনাটি আপনাদের সবাই জানে। যাই হোক এরপর থেকে আমি সতর্ক হয়ে গেলাম। তো পরবর্তীতে আমি আমার ক্লাস আবার পুনরায় শুরু করলাম এবং আমি আমার ক্লাসের প্রত্যেকটা জিনিস খুব মনোযোগ সহকারে শুনতে শুরু করলাম।
আস্তে আস্তে আমার সবকটি ক্লাসই শেষ হয়ে গেল এবং ক্লাস শেষে আমি একজন ভেরিফাই মেম্বার হয়ে গেলাম আমার বাংলা ব্লগ পরিবারে। আসলে বাংলা ব্লগ পরিবারে এসে আমার সাথে এই ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছিল। আর আজ দেখতে দেখতে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের দুই বছর পূরণ হয়ে গেল। তো আজ আমি অনেক খুশি। কারণ আমি আমাদের বাংলা ব্লগ পরিবারে এতটা সময় আপনাদের মনের মত হয়ে থাকতে পেরেছি এবং নিজের মনের আবেগ অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি।
আশাকরি কবিতাটি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
তো দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন দাদা। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আপনার আগমনের কথাগুলো আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে এরকম একটি প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করাটা আমাদের সকলের জন্য একই রকমের ছিল না। তবে আপনার কথাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি যেন স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের সামনের দিকে আরো এগিয়ে যেতে পারেন এমনটাই আমি প্রত্যাশা করি।