এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -৫০
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
এবার একটু অন্য ধরনের ফটোগ্রাফি করার জন্য একটু দূরেই গেলাম। আসলে ফটোগ্রাফির জন্য আমাদের বেশি দূরে যেতে হয় না। আপনি যে কোন জায়গায় ভালো করে লক্ষ্য করলেই ভালো ভালো ধরনের অনেক ফটোগ্রাফি আপনি দেখতে পাবেন। আসলে আজকের ফটোগ্রাফিটায় আমি সাধারণত বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়েছিলাম। যেহেতু আড্ডা দিতে গিয়েছিলাম তাই সঙ্গে আমি আমার ক্যামেরাটি নিয়ে গেলাম। এরপরে আমরা একটু গ্রামের দিকে চলে গেলাম। আসলে এই ছবিটি হল রেললাইনের তারের উপরে বসে একটি ঘুঘু পাখি মনের আনন্দে ডাকছিল।
আসলে আমরা ট্রেনে উঠে একটু গ্রাম টাইপের জায়গার দিকে যেতে শুরু করলাম। যেতে যেতে একটা গ্রামীণ স্টেশনে গিয়ে আমরা নেমে গেলাম। আসলে ওই স্টেশনের দুই ধারে রয়েছে বড় বড় মাছের পুকুর। এছাড়াও রেললাইনের দুপাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা। আসলে আমরা যে কোন একটা ফাঁকা জায়গা দেখে সেখানে সবাই মিলে বসে পড়লাম। জায়গাটি ছিল রেললাইনের একদম পাশে। যদিও আমরা সবাই রেললাইন থেকে নিরাপদ দূরত্বে গিয়েই বসে ছিলাম। আরেকটি বন্ধু রেল লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। যদিও তার পায়ের কাছের প্যান্টের অংশটি হাঁটতে হাঁটতে ছিঁড়ে গেছে।
এরপর রেল লাইনের পাশে আমি একটা গাছে দেখতে পেলাম যে একটা লাল ধরনের ফুল ফুটে আছে। আসলে এই ফুলটি যে কি ফুল সেটি আমার জানা আছে কিন্তু এখন আমার নামটি মনে নেই। আসলে আপনাদের এই ফুলের নামটি জানা থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন কিন্তু। এই ফুলটি সাধারণত বর্ষাকালের দিকে ফুটে থাকে। কিন্তু এ অসময়ে এই ফুলটির ফোঁটা দেখে আমি সত্যিই একটু হতবাক হয়ে গেলাম। তাই ফুলটির ছবি আমি আমার ক্যামেরায় বন্দি করে নিলাম।
আর রেললাইনের পাশে রয়েছে সেই হোগলা বাগান। এই হোগলাকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের নামে চেনে। সাধারণত আমাদের অঞ্চলে একে হোগলা বলেই আমরা চিনি। আসলে এই হোগলা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করা হয়। নিচের মাদুর তৈরি করতে এই হোগলার ব্যবহার অস্বীকার্য। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য এই হোগলা ব্যবহার করা হয়।
শীতকালের এই সময়টিতে এই হোগলা গাছে হোগলার ফুল দেখা দেয়। আর যখন প্রায় শীত চলে যায় তখন এই হোগুলার ফুলগুলো ফোটে এই ফুলের বীজ চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। ছোটবেলায় আমরা মজা করে এই হোগুলার ফুল যখন পেকে যেত তখন হাত দিয়ে জোরে চিপে ধরলে এই হোগুলার ফুলটা একদম ফেটে যেত এবং হাতে তুলো লেগে যেত। আমরা সবাই চিন্তা করতাম যে এই ফুলের ভিতর এত অল্প জায়গায় এত সংখ্যক তুলা কিভাবে এক জায়গায় রয়েছে।
এরপরে এক ব্যক্তিকে দেখলাম যে সেই ব্যক্তি নৌকায় করে এই বড় পুকুরে মাছের খাবার দিচ্ছিল। যদিও সেই সময়টা প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল। আসলে এই বড় মাছের পুকুর গুলোতে সন্ধের একটু আগে অর্থাৎ বিকালের দিকে এইসব ব্যক্তিরা মাছের খাবার দিতে যান। আর পুকুর যদি বড় হয়ে যায় তাহলে সেই পুকুরের ভিতরে একটা নৌকায় করে খাবার নিয়ে পুকুরের চারিদিকে লোকজন মাছের খাবার দিয়ে দেয়।
তার পাশের অন্য একটি পুকুরে দেখলাম যে এক ব্যক্তি জলের ভিতর নেমে মাছের খাবার দিচ্ছিল। যদিও সময়টি ঠান্ডার সময়। কিন্তু এই ঠান্ডার ভিতর লোকটি কোমর সমান জলে নেমে মাছের খাবার দিচ্ছিল এবং চারিদিকে ঘুরে ঘুরে কি যেন দেখছিল। আসলে এই অঞ্চলের লোকেদের আয়ের প্রধান উৎস হল মাছ চাষ। এই মাছ চাষের মাধ্যমে এসব এলাকার লোক জীবিকা নির্বাহ করে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Nikon
ক্যামেরা মডেল : Nikon 5200D
ক্যামেরা লেংথ : 50 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
দাদা আপনার ফটোগ্রাফি মানেই স্পেশাল কিছু। সত্যি বলতে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে মনে হয় যেন ফটোগ্রাফি গুলো কথা বলছে। অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
বিভিন্ন পর্যায়ের রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যেখানে সুন্দর সুন্দর ফটো দেখতে পারলাম। তবে নৌকার সুন্দর এই দৃশ্যটা আমাকে মুগ্ধ করলো।
আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দাদা।আপনি ফটোগ্রাফিগুলো এত সুন্দর ভাবে করেন যা নজর কারে।এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।