রথযাত্রা। পর্ব :-০৫
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি রথযাত্রার সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু অনেক সময় হলো আমরা এই রথের মেলা ঘুরে দেখছিলাম। আসলে এবছর রথের মেলাটা তেমন একটা বেশি জমজমাট হয়নি। কেননা প্রতিবছর বৃষ্টি হলেও রথের মেলা যেন জমজমাট হয়। কিন্তু এই বছরটা বৃষ্টি না হলেও মেলা কেমন যেন অনেকটা ছোট হয়েছে এবার। এছাড়াও লোকজনের সংখ্যা অনেক বেশি কম। যাইহোক আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করছিলাম এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার কেনাকাটি করছিলাম। এরপর রথের মেলায় যাব আর জিলাপি কিনব না তা কি কখনো হয়। আসলে রথের মেলার দিনে প্রতিটা বাঙালি তার ঘরে জিলাপি কিনে নিয়ে যায়। অর্থাৎ মনে হয় যেন রথের মেলা মানে জিলাপি উৎসব। যাইহোক আমিও বাড়ির জন্য জিলাপি নেওয়ার জন্য জিলাপির দোকানে গেলাম।
আসলে সবাই চায় যে গরম গরম জিলাপি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাই আমিও অন্য জনের মত আলাদা নয়। আমিও তাই একটা ভালো জিলাপির দোকান দেখে গেলাম যেখানে জিলাপি ভাজা হচ্ছিল। আসলে এই জিলাপির প্যাচ কিন্তু সবাই দিতে পারে না। অর্থাৎ কিছু কিছু মানুষের মনে সব সময় জিলাপির প্যাচ থাকে। আসলে এই জিলাপির সাথে মানুষের বাস্তব জীবনেরও অনেকটা মিল রয়েছে। যাইহোক আমি দোকানে গিয়ে গরম গরম জিলাপি নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে রইলাম। যেহেতু ওই লোকটি জিলাপি তৈরি করছিল তাই আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম যাতে করে এই ভাজা জিলাপিটা আমি বাড়ি নিয়ে যাব। আসলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওই লোকটির জিলাপি ভাজা দেখছিলাম।
এরপর জিলাপি কেনা শেষে আমরা যখন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম তখন রাস্তার পাশে দেখলাম যে একজন বিক্রেতা তার দোকানে বিভিন্ন ধরনের মাটির তৈরি সবজি এবং ফল বিক্রি করছে। আসলে প্রথম দেখাতে মনে হচ্ছিল যেন লোকটি এই মেলার মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং ফল বিক্রি করতে এসেছে। যাইহোক প্রথমে উনার কাছে গিয়ে দেখলাম যে জিনিসগুলো সব কিছু মাটির তৈরি এবং দেখতে প্রায় অবিকল আসল ফলের মত। যাই হোক আমি এই জিনিসগুলো দেখে অনেকটা মজা পেলাম এবং দেখলাম যে একটা বাচ্চা মেয়ে একটা ঝুড়িতে করে বিভিন্ন ধরনের ফল এবং সবজি কিনছিল। আসলে এই ধরনের মাটির তৈরি জিনিসগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর এটা একটা ঐতিহ্য যেটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
আসলে মৃৎশিল্পের এইসব জিনিসগুলো দিন হারিয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের ঐতিহ্যগুলো কেমন যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আসলে এইসব শিল্পকে ধরে রাখা কিন্তু আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কারণ আমরা যদি এই শিল্প গুলো ধরে না রাখতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা কখনো আমাদের এইসব সুন্দর সুন্দর শিল্প গুলো কখনোই দেখাতে পারব না। আসলে আমারও কিছু সবজি ও ফল কিনতে ইচ্ছা করলো। যাইহোক না কিনে মন খারাপ করে চলে এলাম। এরপর যেহেতু বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছিলাম এবং আগে যে বাদাম কিনেছিলাম তার প্রায় সবটাই কিন্তু খাওয়া হয়ে গিয়েছিল। আসলে এজন্য আমি আবার ভাবলাম যে পুনরায় বাদাম কিনে বাড়ি নিয়ে যাব।
আসলে ওই একই জিলাপির মত আমরা সবাই একটু গরম গরম বাদাম খেতে পছন্দ করি। আরেকটা জিনিস আপনারা বোধহয় জানেন যে একদম গরম বাদাম খেতে মোটেও ভালো লাগেনা। কেননা তখনও কিন্তু বাদামের ভিতরে সেই কাঁচা গন্ধটি থেকে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন বাদাম হালকা ঠান্ডা হয়ে যায় তখন কিন্তু বাদামের এই গন্ধটা চলে যায় এবং তখন বাদাম খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই বাদামের দোকানে বাদাম কিনতে গিয়ে প্রথমে আমি হাত দিয়ে দেখলাম যে বাদাম গরম না ঠান্ডা। এরপর দেখলাম যে এক সাইডে মিডিয়াম টাইপের গরম বাদাম রয়েছে এবং আমি সেখান থেকে ২০০ গ্রাম বাদাম কিনে কিনলাম এবং বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আর এখানেই আমার রথের মেলা দেখা শেষ হলো।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।